লেখকঃ পাষ্টর
জনসন সরকার
পল উইলিয়ামস কেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন সেই ভিডিওতে
তিনি প্রথমে বলেছেন তিনি প্রথমে নাস্তিক ছিলেন পরে তিনি চার্চে গিয়ে ঈশ্বর
সম্পর্কে অনুভূতি পেয়েছিলনে তারপরে তিনি পবিত্র বাইবেল অধ্যায়ন করেন অনেক সমস্যা
খুজে পান যার সমাধান নাকি কোন খ্রীষ্টান দিতে পারে নি তাই তিনি কুরআন নিয়ে গবেষণা
করে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। আমি তার ভিডিও দেখে ২৬টি প্রশ্ন পেয়েছি যা তিনি সেই
ভিডিওতে বলেছেন।
১। যীশু খ্রীষ্ট খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচার করেন নি।
উত্তরঃ গ্রিক শব্দ Χριστιανούς (Christianous) এর অর্থ Follower
of Christ (যীশু
খ্রীষ্টের /ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকে অনুসারী)।
অনেকে মনে করেন এই নামটি ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক (যীশু
খ্রীষ্ট) তার অনুসারীদের জন্য কখনই ব্যবহার
করেন নি। এই দাবি সত্য নয়। কারন ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক তার অনুসারীদের সংজ্ঞা দিয়ে ছিলেন যা পবিত্র বাইবেলেই
লেখা আছ, মার্ক ৯:৪১ পদে
New King James Version
For whoever gives you a cup of water to drink in My name, because
you belong to Christ, assuredly, I say to you, he will by no
means lose his reward.
New American Standard Bible
For whoever gives you a cup of water to drink because of your name as followers of Christ, truly I say to you, he shall
by no means lose his reward.
NASB 1995
“For whoever gives you a cup of water to drink because of your name as
followers of Christ, truly I say to you, he will not lose his reward.
NASB 1977
“For whoever gives you a cup of water to drink because of your name as followers of Christ, truly I say to you, he shall
not lose his reward.
Amplified Bible
For whoever gives you a cup of water to drink because of your name as
followers of Christ, I assure you and most
solemnly say to you, he will not lose his reward.
কেরী
বাস্তবিক যে কেহ তোমাদিগকে খ্রীষ্টের লোক বলিয়া এক বাটি জল পান
করিতে দেয়, আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, সে কোন মতে আপন পুরস্কার হইতে বঞ্চিত হইবে
না।
অনুবাদ গুলো পড়ে স্পষ্ট
বোঝা যায়, যারা ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁকের নাম ধারন করে তাকে অনুসরন করে তারাই
খ্রীষ্টান/ খ্রীষ্টের লোক, কারন খ্রীষ্টান নামের অর্থই: Follower of Christ এবং প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট সয়ং
তার অনুসারিদের Definition দিয়ে গেছেন। এছাড়াও তিনি মানুষদের তার অনুসারী (Christian) হতে বলেছেন,
My sheep listen to
my voice; I know them, and they follow me.” John 10:27
As Jesus went on
from there, he saw a man named Matthew sitting at the tax collector’s booth. ‘Follow me’, he told him, and Matthew got up
and followed him.” Matthew
9:9
এখানে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তার অনুসারিদের “খ্রীষ্টের
লোক/ Followers of Christ” বলেছেন এবং তিনি তার অনুসারীদের তাকে
অনুসরন করতে/Follow me
বলেছেন।
“Come to me, all you who are
weary and burdened, and I will give you rest. Take my yoke
upon you and learn from me, for I am
gentle and humble in heart, and you will find rest for your souls. For
my yoke is easy and my burden is light.”
কেরী
হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি
তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব। আমার জোয়ালি আপন
স্কন্ধে তুলিয়া লও, এবং আমার নিকটে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত;
তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে। কারণ আমার জোয়ালি সহজ ও আমার
ভার লঘু।–মথি১১:২৮-৩০;
মথি১১:২৯; পদে জোয়ালির
জন্য যে গ্রিক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তার অর্থ হলো “in general, anything
which joins two pieces together: cross-bar, plank, beam”[1] এবং বাংলাতেও জোয়াল
শব্দের অর্থ
হলোঃ লাঙ্গল
বা গাড়ী টানায় নিযুক্ত পশুর স্কন্ধে স্থাপিত কাঠখন্ড। অর্থাৎ
দাসত্ব করার জন্য পশুপাখি এবং প্রাচীণ মানুষদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বস্তু। প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন তার তার জোয়ালিতে আবদ্ধ হয়ে তার দাসত্ব করতে এবং তার কাছ থেকে
শিক্ষা নিতে এবং তিনি বলেছেন তার জোয়ালির
ভার কম এবং তার শিক্ষা সহজ আমরা যদি তার শিক্ষা অনুসারে চলি তবে আমরা প্রত্যেকে
আমাদের প্রাণের বিশ্রাম পাবো (স্বর্গে যাব)
( তাই এটা স্পষ্ট যে পল উইলিয়ামসের মিথ্যা
কথা বলেছেন।)
উত্তরঃ প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট ভবিষ্যৎবানী করেছিলেন তিনি প্রেরিত পিতরের মধ্য দিয়ে তার মন্ডলী (ἐκκλησίαν/একলেসীয়া) ঘঠন করবেন “আর আমিও তোমাকে কহিতেছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরে
আমি আপন মণ্ডলী ((ἐκκλησίαν/একলেসীয়া) গাঁথিব, আর পাতালের পুরদ্বার সকল তাহার বিপক্ষে প্রবল
হইবে না।”(মথি ১৬:১৮;) প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজে
মন্ডলী(চার্চ) তৈরী করবেন এই কথা ত তিনি বলেন নি! যেটা তিনি বলেন নি সেই কথা দিয়ে
বিচার করাটা বোকামী। প্রভু যীশু খ্রীষ্টের এই ভবিষ্যৎবানীর পূর্নতা পায় পঞ্চাশত্তমীর দিনে (ἡμέραν (hēmeran) Πεντηκοστῆς (Pentēkostēs) প্রেরিত পিতর পবিত্র আত্মার শক্তিতে প্রচার
করেন এবং ৩ হাজার মানুষকে খ্রীষ্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত
করেন এবং মন্ডলী স্থাপন করেন “তখন যাহারা তাঁহার কথা গ্রাহ্য করিল, তাহারা বাপ্তাইজিত
হইল; তাহাতে সেই দিন কমবেশ তিন হাজার লোক তাঁহাদের সহিত সংযুক্ত হইল।”(প্রেরিত২:৪১;)। (এ থেকে বোঝা যায় পল উইলিয়ামস
পবিত্র বাইবেল ভাল করে জানতেন না।)
৩। তিনি তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদ প্রচার করতেন।
উত্তরঃ প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট পিতার বিষয়ে কথা বলতেন কিন্তু তিনি তার পাশাপাশি নিজের বিষয়েও প্রচার
করতেন এবং লোকেদের বোঝাতেন তিনি এবং পিতা একি সত্তা
১। “সকলই আমার পিতা কর্তৃক
আমাকে সমর্পিত হইয়াছে; আর পুত্রকে কেহ জানে না, কেবল পিতা জানেন; এবং পিতাকে কেহ জানে
না, কেবল পুত্র জানেন, এবং পুত্র যাহার নিকটে তাঁহাকে প্রকাশ করিতে ইচ্ছা করেন, সে
জানে।” মথি১১:২৭;
২। “কেননা মনুষ্যপুত্র
বিশ্রামবারের কর্তা।”মথি১২:৮;
৩।“আমি পিতা হইতে বাহির
হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি।” যোহন১৬:২৮;
৪। “আমি আপন পিতার নামে আসিয়াছি,” যোহন৫:৪৩;
(এ থকে বোঝা যায় পল উইলিয়ামসের দাবিটি দূর্বল।)
৪। তিনি অবতারবাদ প্রচার করেনি।
জবাবঃ পবিত্র শাস্ত্র
প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে আলাদা হিসাবে চিহ্নিত করেছে “একজাত পুত্র” উপাধিটির দ্বারাঃ
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজের বিষয়ে বলেছেন
“কারণ
ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলন যে, আপনার এক জাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।–যোহন৩:১৬;
(কেরী)
গ্রিক শব্দ μονογενῆ
(monogenē) শব্দের অর্থ হলো “একমাত্র/Only, only-begotten; unique” অনেকে এই গ্রিক শব্দের ভুল অর্থ করে
বলে μονογενῆ
(monogenē) শব্দের অর্থ হলো “ওরসজাত পুত্র” যা
একেবারে ভূল অর্থ কারন পবিত্র বাইবেলে μονογενῆ
(monogenē) শব্দের
অর্থ “একমাত্র” এবং এই গ্রিক শব্দ পবিত্র বাইবেলে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ক্ষেত্রে Unique( অদ্বিতীয়;
তুলনাহীন, অনুপম) হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং
অন্যান্যদের ক্ষেত্রে Only (একমাত্র) হিসাবে
হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে তাই এই শব্দের অর্থ মোটেই ওরসজাত সন্তান নয়ঃ
International
Standard Version
"For this is how God loved the world: He gave his unique Son so
that everyone who believes in him might not be lost but have eternal life.
পিতা এবং পুত্র জাতগত দিক দিয়ে এক এবং অভিন্ন সেই জন্যই
প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে ঈশ্বরের একজাত পুত্র বলা হয়। এর মানে এই নয় যে ঈশ্বর বিয়ে
করে সন্তান জন্ম দিয়েছে এটা হাস্যকর দাবি যারা মূলত পবিত্র বাইবেলের বিষয়ে নূন্যতম
ধারনা রাখেনা তারা এমন উদ্ভট দাবি করতে পারে! প্রভু যীশু খ্রীষ্ট অবতারবাদ নিয়ে
স্পষ্ট কথা বলেছেন, “আমি পিতা হইতে বাহির
হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি।” যোহন১৬:২৮; (এ থেকে বোঝা যায় পল উইলিয়ামস
মিথ্যা কথা বলেছেন।)
৫। তিনি প্রায়শ্চিত্তের প্রচার করে নি।
উত্তরঃ প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট প্রায়শ্চিত্তের বিষয়ে স্পষ্ট বলেছেন “যেমন মনুষ্যপুত্র পরিচর্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু পরিচর্যা
করিতে, এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মথি২০:২৮)
“কারণ বাস্তবিক মনুষ্যপুত্রও পরিচর্যা পাইতে আসেন নাই,
কিন্তু পরিচর্যা করিতে এবং অনেকের পরিবর্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মার্ক১০:৪৫;) (এ থেকে বোঝা যায় পল
উইলিয়ামস মিথ্যা কথা বলেছেন।)
৬। যীশুতে ঈশ্বরের মানব রুপে আবির্ভাবের ধারনাটি নূতন
যীশুর সময় কালে এটি ছিল না এটি শুধুমাত্র যোহনের সুসমাচারে পাওয়া যায়।
উত্তরঃ যোহনের
সুসমাচার ছাড়াও “ প্রভু যীশুতে ঈশ্বরের মানব রুপে আবির্ভাবের ধারনাটি” রয়েছেঃ
১।“আর তিনি পুত্র প্রসব করিবেন, এবং তুমি
তাঁহার নাম যীশু [ত্রাণকর্তা] রাখিবে; কারণ তিনিই আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে
ত্রাণ করিবেন। এই সকল ঘটিল, যেন ভাববাদী
দ্বারা কথিত প্রভুর এই বাক্য পূর্ণ হয়, “দেখ, সেই কন্যা গর্ভবতী হইবে, এবং পুত্র
প্রসব করিবে, আর তাঁহার নাম রাখা যাইবে ইম্মানূয়েল;”
অনুবাদ করিলে ইহার অর্থ, ‘আমাদের সহিত ঈশ্বর’।” মথি১:২১-২৩;
২। “ইনিই (প্রভু যীশু খ্রীষ্ট) সেই ব্যক্তি, যাঁহার বিষয়ে যিশাইয় ভাববাদী দ্বারা এই
কথা কথিত হইয়াছিল,“প্রান্তরে একজনের রব, সে ঘোষণা করিতেছে, তোমরা প্রভুর পথ প্রস্তুত কর, তাঁহার রাজপথ সকল সরল কর।”(মথি৩:৩;)
এটি নবী যিশাইয়ের
লেখা ভবিষ্যৎবানী “একজনের রব, সে ঘোষণা করিতেছে,
‘তোমরা
প্রান্তরে সদাপ্রভুর পথ প্রস্তুত কর, মরুভূমিতে আমাদের ঈশ্বরের জন্য রাজপথ সরল কর।”
নবী যিশাইয়ের
লেখা ভবিষ্যৎবানী করা হয়েছে ইয়াওয়ে এলোহীমর (সদাপ্রভু ঈশ্বরের) পথ প্রস্ততের জন্য
এবং মথির সুসমাচার স্পষ্ট বলছে এই
ভবিষ্যৎবানী প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পূর্ন করেছেন তাই এখানে স্পষ্ট ভাবে প্রমান
পাই যে যোহনের সুসমাচার ছাড়াও অন্যান্য সুসমাচারে “প্রভু যীশুতে
ঈশ্বরের মানব রুপে আবির্ভাবের ধারনাটি” উল্লেখিত রয়েছে।
এমনকি পুরাতন নিয়মে উল্লেখিত রয়েছে ইয়াওয়ে এলোহীম
(সদাপ্রভু ঈশ্বর) মানুষের রূপ ধারন করে অব্রাহামের সাথে দেখা করেছিলেন
(আদিপুস্তক১৮:১-১৫;) অথচ পল উইলিয়ামস দাবি করেছেন “ঈশ্বরের মানব রুপে আবির্ভাবের ধারনাটি”
যীশু খ্রীষ্টের অমল পর্যন্ত নূতন ছিল (বা কেউ জানতো না) যেখানে পবিত্র বাইবেলের
প্রথম পুস্তকেই এই ধারনাটি পাওয়া যায়।
(এ থেকে বোঝা
যায় পল উইলিয়ামস মিথ্যা কথা বলেছেন।)
৭। গসপেল অব জন (যোহনের সুসমাচার ) সব থেকে কম ঐতিহাসিক
সমর্থিত।
জবাবঃ
১। হাস্যকর বিষয় হলো সয়ং ইসলাম ধর্ম বলে যে যোহনের
সুসমাচার সহি (খাঁটি) হযরত মুহাম্মদের জীবনী গ্রন্থে ইবনে হীশাম লিখেছেনঃ প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের শিষ্য যোহন (আবরীঃ ইউহোন্না) তিনি এই সুসমাচার লিখেছেন, ২। যোহন
লিখিত সুসমাচার ঈশ্বরের শক্তিতে লিখিত হয়েছে।
ইনজীলে রাসূলুল্লাহর (সা) বিবরণ
ইবনে ইসহাক বলেন, হযরত মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সম্পর্কে ঈসা আলাইহিস্ সালামের যে বিবরণ ও প্রতিশ্রুতি ঈসার সহচর ইউহান্না কর্তৃক
সংকলিত ইনজীলে বর্ণিত হয়েছে এবং যা স্বয়ং ঈসা আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ওহী অনুসারে
লিপিবদ্ধ করিয়েছেন, আমার জানা মতে তা এইঃ-(সীরাতে ইবনে হীশাম
পৃঃ৫২;) (তাই পল উইলিয়ামস নিজেই নিজের কথার জালে নিজেই ফেসে গেছেন)
২। প্রথম শতাব্দির চার্চ ফাদারদের লেখায় যোহনের সুসমাচারের
উদৃতি পাওয়া যায়ঃ
বিশপ Ignatius of Antioch যিনি
৩৫ খ্রীঃ জন্ম গ্রহন করেন এবং ১১০ সালের মধ্যে মৃত্যু বরন করেন তিনি প্রেরিত
যোহনের শিষ্য ছিলেন তিনি তার লেখায় যোহন লিখিত সুসমাচারের উদৃতি ব্যবহার করেছেনঃ John 3:8. The Gospel reads: to pneuma . . . pnei
. . . all’ ouk oidas pothen erchetai kai pou hupagei
(“The wind . . . blows . . . but you do not know where [it] comes from and where [it] goes”).
Justin Martyr
যিনি ১০০ খ্রীষ্টাব্দের জন্ম গ্রহণ করেছেন এবং ১৬৫খ্রীষ্টাব্দে
মৃত্যু বরন করেছেন তিনি যোহন লিখিত সুসমাচারের ৩:৩ পদের
উল্লেখ করেছেন
In the name of God, the Father and Lord of the universe,
and of our Saviour Jesus Christ, and of the Holy Spirit, they then receive the
washing with water. For Christ also said, “Except ye be born again, ye shall
not enter into the kingdom of heaven.”
(First Apology
[Defense] 1.61
Chapter
LXI.—Christian baptism.[2]
ঐতিহাসিক দলিল প্রমানিত করে যোহন লিখিত সুসমাচারের নামে পল উইলিয়ামস
মিথ্যা কথা বলেছেন।
৮। I AM কথাটী শুধু মাত্র গসপেল অব জনে রয়েছে।
উত্তরঃ
মার্কের সুসমাচারে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের “I AM”( ἐγώ εἰμι) দাবি পাওয়া যায় যা পল উইলিয়ামস
জানতেন না,
International Standard Version
But he kept silent and didn't answer at all. The high priest asked
him again, "Are you the Messiah, the Son of the Blessed One?" Jesus said, "I AM, and 'you will see the Son of Man
seated at the right hand of the Power' and 'coming with the clouds of
heaven." Then the high priest tore his clothes. "Why do we still
need witnesses?" he asked. "You have heard his blasphemy! What is
your verdict?" All of them condemned him as deserving death. (Mark14:61-64)
কিন্তু তিনি নীরব
রহিলেন, কোন উত্তর দিলেন না। আবার মহাযাজক তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কি সেই খ্রীষ্ট,
পরমধন্যের পুত্র? যীশু কহিলেন, আমি সেই; আর
তোমরা মনুষ্যপুত্রকে পরাক্রমের দক্ষিণ পার্শ্বে বসিয়া থাকিতে ও আকাশের মেঘসহ আসিতে
দেখিবে। তখন মহাযাজক আপন বস্ত্র ছিঁড়িয়া কহিলেন, আর সাক্ষীতে আমাদের কি প্রয়োজন? তোমরা ত ঈশ্বর-নিন্দা শুনিলে; তোমাদের কি বিবেচনা
হয়? তাহারা সকলে তাঁহাকে দোষী করিয়া বলিল, এ মরিবার যোগ্য।(মার্ক১৪:৬১-৬৪)
ইহুদি ধর্মযাজক
প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি তাদের স্পষ্ট বলেন তিনি "I AM” ( ἐγώ εἰμι) যা শোনার পর ইহুদি
ধর্মযাজক নিজের পোষাক ছিড়ে
ফেলেন এবং বলেন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট ঈশ্বর নিন্দা করেছেন। পল উইলিয়ামস তার
ভিডিওতে বারবার দাবি করেছেন মার্কের সুসমাচার সবচেয়ে প্রাচীণ আর সেই আর সেই
সুসমাচারেই প্রভু যীশু খ্রীষ্টের "I AM” ( ἐγώ εἰμι) দাবিটি রয়েছে।
তাই তিনি যে দাবি করেছেন শুধু মাত্র যোহনের সুসমাচারেই I AM” ( ἐγώ εἰμι) দাবিটি রয়েছে তা
শতভাগ মিথ্যা কথা।
৯। যীশু বার্তা নন তিনি বার্তাবাহক।
উত্তরঃ প্রভু
যীশু খ্রীষ্ট নিজেই বাক্য যা পবিত্র শাস্ত্রে স্পষ্ট বর্ণিত রয়েছে,
“আদিতে বাক্য ছিলেন,
এবং বাক্য ঈশ্বরের সহিত ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন।”(যোহন১:১;)
“আর সেই বাক্য মাংসে
মূর্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন
পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা; তিনি অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ।” (যোহন১:১৪;)
এমনকি কুরআন প্রভু যীশু খ্রীষ্টের এই উপাধি (Word of God) ব্যবহার করেছেঃ (সূরা৩:৪৫;)
[And mention] when the angels said, "O Mary,
indeed Allah gives you good tidings of a word from Him, whose name will
be the Messiah, Jesus, the son of Mary - distinguished in this world and the
Hereafter and among those brought near [to Allah]. Sahih
International
স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম, নিশ্চয় আল্লাহ
তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটি কালেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম মসীহ ঈসা ইবনে
মারইয়াম, যে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত এবং নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত’। আল-বায়ান
এই আয়াতের প্রাচীন তাফসীর দেখলে বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়ে
উঠেঃ
হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, হচ্ছে
ঈসা (আ.)। ৭০৬২. ইব্ন ওয়াকী হকরামা (র.) সূত্রে বর্ণনা করেন, ইব্ন আববাস (রা.) আল্লাহ্
তা'আলার إِذْ
قَالَتِ الْمَلَئِكَةُ
يَا مَرْيَمُ
إِنَّ اللَّهَ
يُبَشِّرِكَ
بِكَلِمَةٍ
مِّنْهُ -এর ব্যাখ্যায় বলেছেন,
ঈসা (আ.) ই আল্লাহ্ তা'আলার কালিমা।- আল
তাবারী খন্ডঃ৫ পৃঃ৩৯১
৬৯৫৯. রবী' (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি অত্র আয়াতাংশের ব্যাখ্যায় বলেন, এর অর্থ
হচ্ছে, ইয়াহ্ইয়া (আ.) ছিলেন সর্ব প্রথম ব্যক্তি, যিনি ঈসা (আ.)-কে সমর্থন করেছিলেন।
আর ঈসা (আ.) ছিলেন আল্লাহ্ তা'আলার বাণী ও আল্লাহ্ প্রদত্ত আত্মা।-আল তাবারী খন্ডঃ৫ পৃঃ৩৭০
৬৯৬৩. হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি আলোচ্য আয়াতাংশের
তাফসীর প্রসঙ্গে বলেন, ঈসা (আ.) ও ইয়াহ্ইয়া (আ.) উভয়ে খালাতো ভাই ছিলেন। ইয়াহ্ইয়া
(আ.)-এর মাতা মারয়াম (র.)-কে বলতেন, আমার পেটে যে সন্তান রয়েছে, আমি দেখছি যেন তোমার
পেটের সন্তানকে সিজদা করছে। আর এ তথ্যটির দিকে আল্লাহ্ তা'আলা مصدقا بكلمة من الله আয়াতাংশ দ্বারা
ইংগিত করেছেন। এখানে مصدق-এর অর্থ হচ্ছে পেটে থাকা অবস্থায়
সিজদা করা। বস্তুত তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যে ঈসা (আ.)-কে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং
ঈসা (আ.)-এর নবুওয়াতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন। অথচ ইয়াহ্ইয়া (আ.) ঈসা (আ.)
থেকে বয়সে ছিলেন বড়। -আল তাবারী খন্ডঃ৫ পৃঃ৩৭০;
(পবিত্র বাইবেলের এবং কুরআনের সাথে পল উইলিয়ামসের দাবি
একেবারেই বেমানান।)
১০।গসপেলের ঐতিহাসিক প্রমান নাই?
উত্তরঃ পল উইলিয়ামসের
এই দাবিটি খুবই দূর্বল এবং ভিত্তিহীন কারন
সুসমাচারের জন্য এতোটি ঐতিহাসিক দলিল রয়েছে যা এই বিশ্বে আর দ্বিতীয় কোন গ্রন্থের
নেই ৫,৭০০
হচ্ছে শুধু মূল গ্রীক ভাষায় পাণ্ডুলিপির সংখ্যা—প্রাচীন সিরিয়, মিশরীয়, ল্যাটিন,
আর্মেনীয়, জর্জিয় এবং গথিক ভাষায় প্রাচীন অনুবাদে ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ পাণ্ডুলিপি
আছে যার ধারের কাছেও কুরআন শরীফ নেই।
রচনা লেখার কত বছর পরে প্রথম
পাণ্ডুলিপি[3]
রচনা |
লেখার কত বছর পরে প্রথম পাণ্ডুলিপি |
প্রাচীন পাণ্ডুলিপির সংখ্যা |
প্লেটো |
১,৩০০ বছর |
৭ |
হোমারের ‘ইলিয়াদ’ |
৪০০ বছর |
৬৪৩ |
সিজারের ‘গ্যালিক যুদ্ধ’ |
১,০০০ বছর |
১০ |
লিবীর ‘রোমের ইতিহাস’ |
৪০০ বছর |
২৭ |
তাকিতুসের ‘পঞ্জিকা’ |
১,০০০ বছর |
২০ |
থুকিডাইডেসের ‘ইতিহাস’ |
১,৩০০ বছর |
৮ |
হিরোডোটাসের ইতিহাস |
১,৩৫০ বছর |
৮ |
সুসমাচার(নূতন নিয়ম) |
৫০ বছর |
৫,৭০০(মূল ভাষায়) |
প্রাচীন চার্চ ফাদারদের
লেখায় সুসমাচারের উদ্ধৃতি [4]
লেখক (সময়) |
চারখানা সুসমাচার |
প্রেরিত |
পৌলেরচিঠিগুলো |
অন্যান্য চিঠিগুলো |
প্রকাশিত কালাম |
মোট |
জাস্টিন মার্টার(১০০–১৬৫) |
২৬৮ |
১০ |
৪৩ |
৬ |
৩ |
৩৩০ |
এরেনেস(১২৫–২০২) |
১,০৩৮ |
১৯৪ |
৪৯৯ |
২৩ |
৬৫ |
১,৮১৯ |
ক্লেমেন্ত(১৫০–২১৫) |
১,১০৭ |
৪৪ |
১,১২৭ |
২০৭ |
১১ |
২,৪০৬ |
ওরিজেন(১৮৫–২৫৪) |
৯,২৩১ |
৩৪৯ |
৭,৭৭৮ |
৩৯৯ |
১৬৫ |
১৭,৯৯২ |
তেরতুল্লিয়ান(১৬০–২২০) |
৩,৮২২ |
৫০২ |
২,৬০৯ |
১২০ |
২০৫ |
৭,২৫৮ |
হিপ্পোলুতস(১৭০–২৩৬) |
৭৩৪ |
৪২ |
৩৮৭ |
২৭ |
১৮৮ |
১,৩৭৮ |
ইউসেবিয়ুস(২৬৩–৩৩৯) |
৩,২৫৮ |
২১১ |
১,৫৯২ |
৮৮ |
২৭ |
৫,১৭৬ |
এই চার্চ ফাদারদের মধ্যে অনেকে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বারোজন শিষ্যদের ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন যারা সুসমাচার লিখে রাখতেন। যেমন ইগ্নাতিয়ুস (৭০-১১০ খ্রীঃ) সেই বারজন শিষ্যদের সঙ্গে মেলামেশা করতেন এবং তিনি সুসমাচারের অধিকাংশ খণ্ড থেকে উদ্ধৃতি দিতেন। রোম শহরের উপরোক্ত ক্লেমেন্ত (৯৫ খ্রীঃ) প্রেরি পিতরের মনোনীত উত্তরাধিকারীদের শিষ্য ছিলেন, এবং পলিকার্প (৭০-১৫৬ খ্রীঃ) ছিলেন প্রেরিত যোহনের শিষ্য। সুসমাচারের মাত্র ৭,৯৫৬ পদ (আয়াত) আছে, এবং এর তুলনায় ৩২৫ খ্রীষ্টাব্দে নাইসিয়া মহাসভা (Council of Nicea)-এর আগে থেকেই ৩২ হাজার সুসমাচারের উদ্ধৃতি আছে (সুসমাচারের পদের (আয়াতের) চারগুণ বেশী!)[5]
১১। যীশু মনে করতেন না তিনি ঈশ্বরের অবতার পুত্র।
উত্তরঃ প্রভু
যীশু বলেছেন, “যীশু তাঁহাকে বলিলেন,
ফিলিপ, এতদিন আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি, তথাপি তুমি আমাকে কি জান না? যে আমাকে দেখিয়াছে,
সে পিতাকে দেখিয়াছে; তুমি কেমন করিয়া বলিতেছ, পিতাকে আমাদের দেখাউন?”(যোহন১৪:৯;)
“আমি পিতা হইতে বাহির
হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি।”
(যোহন১৬:২৮;)
কেননা আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, তোমরা
এখন অবধি আমাকে আর দেখিতে পাইবে না, যে পর্যন্ত না বলিবে,
“ধন্য তিনি, যিনি প্রভুর (ইয়াওয়ের/সদাপ্রভুর) নামে আসিতেছেন!” (মথি২৩:৩৯; গীতসংহিতা১১৮:২৬;)
“আমি আপন পিতার (ইয়াওয়ের/সদাপ্রভুর) নামে আসিয়াছি,” যোহন৫:৪৩;
প্রেরিতেরা জানতেন
“এখন আমরা জানি, আপনি সকলই জানেন, কেহ যে আপনাকে
জিজ্ঞাসা করে, ইহা আপনার আবশ্যক নয়; ইহাতে আমরা বিশ্বাস করিতেছি যে, আপনি ঈশ্বরের নিকট
হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছেন।(যোহন১৬:৩০;)
(প্রভু যীশু খ্রীষ্টের এতো স্পষ্ট দাবি থাকা সত্বেও জানি না এসব লোক কিভাবে এই ধরনের দূর্বল দাবি পেশ করে।)
১২।পৃথিবীতে দুঃখ কষ্ট এবং মন্দের সমস্যা কেন?
উত্তরঃ এই
পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র খ্রীষ্ট ধর্মই রয়েছে যে ধর্মে বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা
হয়েছে কেন এই পৃথিবীতে দুঃখ কষ্ট এবং মন্দতা রয়েছে।
আদিপাপঃ ইয়াওয়ে এলোহীম যখন এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন তখন
সব কিছু উত্তম (
טֽוֹב׃ (ṭō·wḇ)) ছিল(আদিপুস্তক১:১১-৩৩)।
কিন্তু মানুষ যখন পাপ করে ইয়াওয়ের বিরুদ্ধে পাপ করে তাঁর সমতূল্য হতে চায় এবং
শয়তানের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে (আদিপুস্তক৩:৫;) নিষিদ্ধ
গাছের ফল ভক্ষণ করে তখনই এই পৃথিবীতে পাপ কর্তিত্ব করা শুরু করে এবং মৃত্যু এই
জগতে প্রবেশ করে(রোমীয়৫:১২; ১যোহন৫:১৯;)।
আমার কাছে পল উইলিয়ামসের এই দাবিটি খুবই আশ্চর্য লেগেছে কারন “পৃথিবীতে দুঃখ কষ্ট
এবং মন্দের সমস্যা কেন?” এর উত্তর পবিত্র বাইবেলে প্রথম পুস্তকের ৩ অধ্যায়ে
উল্লেখিত রয়েছে যা অধিকাংশ খ্রীষ্টানরাই জানে
“আর তিনি আদমকে কহিলেন,
যে বৃক্ষের ফলের বিষয়ে আমি তোমাকে বলিয়াছিলাম, তুমি তাহা ভোজন করিও না, তুমি তোমার
স্ত্রীর কথা শুনিয়া তাহার ফল ভোজন করিয়াছ, এই জন্য তোমার নিমিত্ত ভূমি অভিশপ্ত হইল;
তুমি যাবজ্জীবন ক্লেশে উহা ভোগ করিবে; আর উহাতে তোমার জন্য কণ্টক ও শেয়ালকাঁটা জন্মিবে,
এবং তুমি ক্ষেত্রের ওষধি ভোজন করিবে। তুমি ঘর্মাক্ত মুখে আহার করিবে, যে পর্যন্ত তুমি
মৃত্তিকায় প্রতিগমন না করিবে; তুমি তো তাহা হইতে গৃহীত হইয়াছ; কেননা তুমি ধূলি, এবং
ধূলিতে প্রতিগমন করিবে।”আদিপুস্তক৩:১৭-১৯;
অথচ পল উইলিয়ামস বলেছেন পৃথিবীতে দুঃখ কষ্ট এবং মন্দের
সমস্যা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে নাকি ইসলাম ধর্মের ধারনা খ্রীষ্টানদের ধার
করতে হবে যা সত্যই হাস্যকর বিষয়। তার প্রধান
কারন হলো এই প্রশ্নের জবাব ইসলাম পৃথিবীতে আসার হাজার-হাজার বছর আগে থেকেই
ইহুদিরা জানতো।
১৩। ঐতিহাসিকদের মতে কি প্রভু যীশু খ্রীষ্ট কি শুধু নবী ছিলেন ?
উত্তরঃ জানিনা
পল উইলিয়ামস কোন ইতিহাসের বই পড়ে এমন অবাস্তব দাবি করেছেন ! যেখানে Pliny the
Younger নামক প্রাচীণ রোমন ঐতিহাসিক যিনি জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ৬১
খ্রীষ্টব্দে এবং মৃত্যুবরন করেছিলেন ১১৩ খ্রীষ্টাব্দে তিনি তার ঐতিহাসিক চিঠিতে
স্পষ্ট লিখেছিলেন খ্রীষ্টানরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে ঈশ্বর মানত এবং তার উপাসনা
করত, তারা প্রভুর সান্ধ ভোজ পালন করতঃ
Pliny
the Younger, in Letters 10:96, recorded early Christian worship
practices including the fact that Christians worshiped Jesus as God and were
very ethical, and he includes a reference to the love feast and Lord’s Supper.
১৪। কুরআন বলে তিনি মসীহ।
উত্তরঃ পল
উইলিয়ামস বলেছেন কুরআন বলে ঈসা “মসীহ” ছিলনে কিন্তু পল উইলিয়ামস ভাই হয়ত জানেন না কুরআনে মসীহ শব্দের অর্থের
ঐতিহাসিক ভুল অর্থ আছে। ইহুদিরা তানাখে (পুরাতন নিয়মে) ম্যাসিয়াঁক (মসীহ) শব্দের
অর্থ করেছেন “অভিষিক্ত ব্যক্তি” (Hebrew word mashiach (מָשִׁיחַ, messiah), is
'anointed',) এবং খ্রীষ্টানদের সুসমাচারে (গসপেলে) এর শব্দের অর্থের
বিন্দু মাত্রও পরিবর্তন হয় নি
The woman
told him, "I know that the Anointed One is coming, who is being
called 'the Messiah'. When that person comes, he will explain
everything."- John 4:25 International
Standard Version
কিন্তু আশ্চর্য জনক বিষয় হলো কুরআনে মসীহ শব্দের ভুল
অনুবাদ করা হয়েছেঃ “স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম,
নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটি কালেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম মসীহ
ঈসা ইবনে মারইয়াম, যে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত এবং নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত’।”সূরা৩:৪৫ আল-বায়ান
তাফসীরে আহসানুল বায়ান
(মাসীহ) مَسَحَ ধাতু থেকে গঠিত। খুব
বেশী যমীনে ভ্রমণকারীকে বলা হয় مَسَحَ الأَرْضَ । অথবা এর অর্থ হল,
হাত বুলিয়ে দেওয়া। কেননা, ঈসা (আঃ) রোগীদেরর উপর হাত বুলিয়ে দিলে তারা আল্লাহর নির্দেশে
আরোগ্য লাভ করত। এই উভয় অর্থের দিক দিয়ে فَعِيل এখানে
فَاعِل এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। কিয়ামতের
নিকটতম সময়ে প্রকাশ লাভকারী দাজ্জালকে যে মাসীহ বলা হয়, সেটা হয় مَمسوح العَين (কানা)
অর্থের দিক দিয়ে অথবা সেও যেহেতু সারা দুনিয়া ভ্রমণ করবে এবং মক্কা ও মদীনা ব্যতীত
সব স্থানেই প্রবেশ করবে। (বুখারী-মুসলিম) কোন কোন বর্ণনায় বায়তুল মুক্বাদ্দাসেরও উল্লেখ
আছে।
(কুরআনের এই ভুল অনুবাদটি কিভাবে পল উইলিয়ামসের ভাল লাগলো
তা সত্যি ভাবার বিষয়)
১৫। ঈশ্বর কখনই মরতে পারেন না?
উত্তরঃ খ্রীষ্টানরাও বিশ্বাস করে, “ঈশ্বর কখনই মরতে পারেন
না” প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দেহের মৃত্যুর বিষয়ে পবিত্র শাস্ত্রে উল্লেখিত রয়েছে তার
আত্মার মৃত্যুর বিষয়ে কোথাও লেখা নেই প্রেরিত পিতর এই বিষয়টি স্পষ্ট করে উল্লেখ
করেছেন যে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দেহের মৃত্যুর পরে তিনি আত্মায় কোথায় গিয়েছিলেন
এবং কি কার্য সাধন করেছিলেন:
কারণ খ্রীষ্টও একবার
পাপসমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন- সেই ধার্মিক ব্যক্তি অধার্মিকদের নিমিত্ত- যেন
আমাদিগকে ঈশ্বরের নিকট লইয়া যান। তিনি মাংসে হত, কিন্তু আত্মায় জীবিত হইলেন। আবার আত্মাতে
গমন করিয়া কারাবদ্ধ সেই আত্মাদের কাছে ঘোষণা করিলেন, যাহারা পূর্বকালে, নোহের সময়ে,
জাহাজ প্রস্তুত হইতে হইতে যখন ঈশ্বরের দীর্ঘসহিষ্ণুতা বিলম্বিত করিতেছিল, তখন তাহারা
অবাধ্য ছিল। সেই জাহাজে অল্প লোক অর্থাৎ আটটি প্রাণ, জল দ্বারা রক্ষা পাইয়াছিল।-১পিতর৩:১৮-২০;
১৬। “মানব বলিদান/ নরবলী” অযৌক্তিক?
উত্তরঃ ইসলামে
ঈসা মসীহের মৃত্যুর বিষয়ে যে সাক্ষ্য দেওয়া হয় সেখানেই আমরা “মানব বলিদানের/
নরবলীর” ধারনা পাই সেখানে বলা হয়ছে ঈসা মসীহের বদলে অন্য এক জনকে আল্লাহ ঈসার
চেহারা দিয়েছিলেন এবং সেই ব্যক্তিকে ইহুদিরা ক্রশবিদ্ধ করেছিল। অর্থাৎ একজনের
প্রাণের বলিদানের দ্বারা কুরআনের ঈসার জীবন রক্ষা পেয়েছিল
(ইসলামে ঈসা মসীহের মৃত্যুর বিষয়ে যে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে
যদি তা বিশ্বাস যোগ্য নয় কারন একেক জনের বর্ণনা ভিন্ন।)
“(১) এখানে স্পষ্ট
ঘোষণা করা হয়েছে যে, ওরা ঈসা আলাইহিস সালাম-কে হত্যাও করতে পারেনি, শুলেও চড়াতে পারেনি,
বরং আসলে ওরা সন্দেহে পতিত হয়েছিল। কিন্তু তাদের সন্দেহ কি ছিল এ ব্যাপারে বিভিন্ন
বর্ণনা এসেছে, সব বর্ণনার সার কথা হচ্ছে, ইয়াহুদীরা যখন ঈসা আলাইহিস সালাম-কে হত্যা
করতে বদ্ধপরিকর হলো, তখন তার ভক্ত-সহচরবৃন্দ এক স্থানে সমবেত হলেন। ঈসা আলাইহিস
সালামও সেখানে উপস্থিত হলেন। তখন চার হাজার ইয়াহুদী দূরাচার একযোগে গৃহ অবরোধ করলো।
তখন ঈসা আলাইহিস সালাম স্বীয় ভক্ত অনুচরগণকে সম্বোধন করে বললেন, তোমাদের মধ্য থেকে
কেউ এই ঘর থেকে বের হতে ও নিহত হতে এবং আখেরাতে জান্নাতে আমার সাথী হতে প্রস্তুত আছো
কি? জনৈক ভক্ত আত্মোৎসর্গের জন্য উঠে দাঁড়ালেন। ঈসা আলাইহিস সালাম নিজের জামা ও পাগড়ী
তাকে পরিধান করালেন। অতঃপর তাকে ঈসা আলাইহিস সালাম-এর সাদৃশ করে দেয়া হলো। যখন তিনি
ঘর থেকে বের হলেন, তখন ইয়াহুদীরা ঈসা আলাইহিস সালাম মনে করে তাকে বন্দী করে নিয়ে
গেল এবং শুলে চড়িয়ে হত্যা করলো। অপরদিকে ঈসা আলাইহিস সালাম-কে আল্লাহ্ তা'আলা আসমানে
তুলে নিলেন।
অন্য এক বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, ইয়াহুদীরা এক লোককে ঈসা আলাইহিস সালাম-কে
হত্যা করার জন্য পাঠিয়েছিল। কিন্তু ইতোপূর্বে আল্লাহ্ তা'আলা তাকে আকাশে তুলে নেয়ায়
সে তার নাগাল পেল না। বরং ইতিমধ্যে তার নিজের চেহারা ঈসা আলাইহিস সালাম-এর মত হয়ে
গেল। ব্যর্থ মনোরথ হয়ে সে যখন ঘর থেকে বেরিয়ে এল তখন অন্যান্য ইয়াহুদীরা তাকেই ঈসা
আলাইহিস সালাম মনে করে পাকড়াও করলো, এবং শুলে বিদ্ধ করে হত্যা করলো। উক্ত বর্ণনা দুটির
মধ্যে যে কোনটিই সত্য হতে পারে। কুরআনুল কারীম এ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু ব্যক্ত করেনি।
অতএব, প্রকৃত ঘটনার সঠিক খবর একমাত্র আল্লাহ্ তা'আলাই জানেন। অবশ্য কুরআনুল কারীমের
আয়াত ও তাফসীর সংক্রান্ত বর্ণনার সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত করা যায় যে, প্রকৃত ঘটনা ইয়াহুদী-খৃষ্টানদেরও
অজ্ঞাত ছিল। তারা চরম বিভ্রান্তির আবর্তে নিক্ষিপ্ত হয়ে শুধু অনুমান করে বিভিন্ন উক্তি
ও দাবী করছিল।
ফলে উপস্থিত
লোকদের মধ্যেই চরম মতভেদ ও বিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল। তাই কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে
যে, যারা ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে নানা মত পোষন করে নিশ্চয় এ ব্যাপারে তারা
সন্দেহে পতিত হয়েছে। তাদের কাছে এ সম্পর্কে কোন সত্যনির্ভর জ্ঞান নেই। তারা শুধু
অনুমান করে কথা বলে। আর তারা যে ঈসা আলাইহিস সালাম-কে হত্যা করেনি, এ কথা
সুনিশ্চিত। বরং আল্লাহ্ তা'আলা তাকে নিরাপদে নিজের কাছে তুলে নিয়েছেন। কোন কোন
বর্ণনায় এসেছে যে, সম্বিত ফিরে পাওয়ার পর কিছু লোক বললো, আমরা তো নিজেদের লোককেই
হত্যা করে ফেলেছি। কেননা, নিহত ব্যক্তির মুখমণ্ডল ঈসা 'আলাইহিস সালাম-এর মত হলেও
তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য রকম। তদুপরি এ ব্যক্তি যদি ঈসা আলাইহিস সালাম হয়, তবে
আমাদের প্রেরিত লোকটি গেল কোথায়? আর এ ব্যক্তি আমাদের হলে ঈসা আলাইহিস সালামই বা
কোথায় গেলেন? মোটকথা: ঈসা আলাইহিস সালাম সম্পর্কে ইয়াহুদী ও নাসারা যারাই কথা
বলে তারাই বিভ্রান্তিতে লিপ্ত। তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোন জ্ঞান নেই।
-তাফসীরে জাকারিয়া
[1] এই আয়াত
থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ইয়াহুদীরা ঈসা (আঃ)-কে হত্যা করতে বা শূলে চড়াতে (ক্রুসবিদ্ধ
করতে) কোনটিতেই সফল হয়নি যেমনটি তাঁদের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা ও অভিপ্রায় ছিল। এ
প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা সূরা আলে-ইমরানের ৫৫নং আয়াতের টীকায় বর্ণনা করা
হয়েছে।
[2] এর
ব্যাখ্যা হলো, যখন ঈসা (আঃ) ইয়াহুদীদের হত্যা করার চক্রান্তের কথা জানতে
পারলেন, তখন তাঁর ভক্ত ও সহচরবৃন্দকে এক স্থানে সমবেত করলেন, যাদের সংখ্যা ১২ অথবা
১৭ ছিল। এবং তাঁদেরকে বললেন, তোমাদের মধ্যে কে আমার স্থানে নিহত হুতে প্রস্তুত আছ?
যাকে আল্লাহ তা'আলা আমার মত আকার-আকৃতি দান করবেন। তাঁদের মধ্যে একজন যুবক
প্রস্তুত হয়ে গেলেন। সুতরাং ঈসা (আঃ)-কে আল্লাহর নির্দেশে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হল।
এরপর ইয়াহুদীরা এসে ঐ যুবককে নিয়ে গেল এবং ক্রুসবিদ্ধ করল, যাঁকে মহান আল্লাহ ঈসা
(আঃ)-এর মত আকৃতি দান করেছিলেন। আর ইয়াহুদীদের ধারণা হল যে, তারা ঈসাকেই
ক্রুসবিদ্ধ করতে কৃতকার্য ও সক্ষম হয়েছে। অথচ তিনি ঐ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না;
বরং তাঁকে জীবিত অবস্থায় সশরীরে নিরাপদে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। (ফাতহুল
ক্বাদীর, ইবনে কাসীর)
[3] ঈসা
(আঃ)-এর মত আকৃতিবিশিষ্ট লোকটিকে হত্যা করার পর ইয়াহুদীদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি
হয়; একদল বলে, ঈসাকে হত্যা করা হয়েছে। অন্য একদল বলে, ক্রুসবিদ্ধ ব্যক্তি ঈসা নয়;
বরং অন্য কোন ব্যক্তি। এরা ঈসা (আঃ)-কে হত্যা ও ক্রুসবিদ্ধ করার কথা অস্বীকার করে।
আবার অন্য একদল বলে, তারা ঈসা (আঃ)-কে আসমানে চড়তে স্বচক্ষে দেখেছে। কিছু মুফাসসির
বলেন, উক্ত মতভেদ থেকে উদ্দেশ্য হল, স্বয়ং নাসারাদের নাস্তরিয়া নামক একটি ফির্কা
বলে যে, ঈসা (আঃ)-কে তাঁর মানবিক দেহ হিসাবে ক্রুসবিদ্ধ করা হয়েছে; কিন্তু ঈশ্বর
হিসাবে নয়। আবার মালকানিয়া নামক একটি ফির্কা বলে, মানবিক ও ঐশ্বরিক উভয়ভাবেই তাঁকে
হত্যা ও ক্রুসবিদ্ধ করা হয়েছে। (ফাতহুল ক্বাদীর) যাই হোক তারা মতবিরোধ, সংশয় ও
সন্দেহের শিকার।
তাফসীরে
আহসানুল বায়ান
উক্ত বর্ননায়
আমরা “মানব বলিদানের/ নরবলীর” স্পষ্ট প্রমাণ পাই অথচ পল উইলিয়ামসের কাছে এই
মানব বলিদানের বিষয়টি গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। অথচ একি বিষয় যখন খ্রীষ্ট ধর্মের
বিষয়ে বলা হয়েছে তখন তার কাছে এটি অযৌক্তিক মনে হয়েছে!
মুসলিমদের বর্ননায়
প্রকাশ্য কিছু ভুলঃ এই সব বর্ননায় বলা হয়েছে ইহুদিরা কুরআনের ঈসাকে ধরতে এসেছিল
এবং তারাই অন্য লোককে ঈসা ভেবে হত্যা করেছে এই কথাটি ১০০% ভূল ইহুদিরা মোটেই প্রভু
যীশু খ্রীষ্টকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেনি বরং রোমন সেনারা তার করেছিল।
১৭। পিতা পুত্র পবিত্র তিন জন আলাদা হলে কিভাবে এক ঈশ্বর
হতে পারে?
উত্তরঃ পবিত্র
বাইবেলে বলা হয়েছে, “হে ইস্রায়েল, শুন;
আমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু একই সদাপ্রভু; 5 আর তুমি তোমার সমস্ত
হৃদয়, তোমার সমস্ত প্রাণ, ও তোমার সমস্ত শক্তি দিয়া আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে প্রেম করিবে।”
দ্বিতীয় বিবরন৬:৪-৫; এখানে “এক” বোঝানোর জন্য যে হিব্রু শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তা হচ্ছে “אֶחָד/এখাদ” যার অর্থঃ “United/মিলিত
একক” ঈশ্বরত্বের “United”
কি প্রকারের তাও প্রভু যীশু খ্রীষ্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেনঃ
“অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর;”- মথি২৮:১৯;
পবিত্র শাস্ত্র থেকে উদাহরনঃ
১। এইরূপে যাকোব রাহেলের জন্য সাত বৎসর দাস্যকর্ম করিলেন;
রাহেলের প্রতি তাঁহার অনুরাগ প্রযুক্ত এক এক বৎসর তাঁহার কাছে এক এক (אֲחָדִ֔ים) দিন মনে হইল।– আদিপুস্তক২৯:২০;
২।“কিন্তু তাহারা( וּבְאַחַ֖ת) নির্বিশেষে পশুবৎ ও স্থূলবুদ্ধি; অসার লোকদের শিক্ষা!
উহা কাষ্ঠমাত্র।”যিরমিয়১০:৮;
একটি উদাহরনঃ সূর্য একটি বস্তু তার আলো
রয়েছে এবং তাপ রয়েছে যা আমরা দেখতে এবং অনুভব করতে পারি যদিও আমাদের জানামতে
আমাদের গ্যালাক্সিতে একটি সূর্য রয়েছে। পল উইলিয়ামসের
কাছে ত্রিত্ববাদ অযৌক্তিক মনে হয়েছে এথেকে স্পষ্ট বোঝা যায় তিনি ভাল করে শাস্ত্র
অধ্যায়ন করেন নি।
১৮। ত্রিত্ববাদ তৃতীয় শতাব্দি হয়েছীল?
উত্তরঃ সম্পূর্ন
মিথ্যা কথা প্রথম শতাব্দি থেকেই ত্রিত্ববাদের শিক্ষা চার্চে দেওয়া হতোঃ
The Didache (c. 70)
And concerning baptism, baptise this way: Having first said all these things,
baptise into the name of the Father, and of the Son,
and of the Holy Spirit, in living [running] water. … But if you have
neither, pour out water three times upon the head into the
name of Father and Son and Holy Spirit. — Didache 7:1, A.D. 70.
Clement of
Alexandria (c. 95-140)
Do we not
have one God and one Christ and one Spirit of grace which was poured out
upon us? And is there
not one calling in Christ? — 1 Clement 46:6, ~A.D. 95
Brothers, we ought to think of Jesus Christ, as we do of God, as ‘Judge of the
living and the dead’ — 2 Clement 1:1, ~A.D. 95–140
Justin Martyr (c. 150)
…and that we reasonably worship Him, having learned that He is the Son of
the true God Himself, and holding Him in the second place, and the prophetic
Spirit in the third, we will prove. For they proclaim our madness to
consist in this, that we give to a crucified man a place second to the
unchangeable and eternal God, the Creator of all… — First Apology 13:5–6,
~A.D. 150
Irenaeus (c. 189)
For the Church, although dispersed throughout the whole world even to
the ends of the earth, has received from the apostles and from their disciples
the faith in one God, the Father Almighty … and in one Jesus Christ, the Son
of God, who became flesh for our salvation; and in the Holy Spirit” — Against
Heresies 1:10:1, A.D. 189.
১৯। ১যোহন৫-৭; যোগ করা আয়াত।
উত্তরঃ আমাদের কাছে পবিত্র বাইবেলের
পূর্নাঙ্গ গ্রীক পান্ডূলীপি রয়েছে সেগুলো ৪র্থ শতাব্দির (Codex Vaticanus The codex has been dated to the 4th
century, Codex Sinaiticus is generally dated to the fourth century, and
sometimes more precisely to the middle of that century.)
Tertullian (c. 200 A.D.) -- “The connection of the Father in the Son, and of the Son in the Comforter, makes an unity of these three, one with another, which three are one,--not one person; in like manner as it is said, I and my Father are one, to denote the unity of substance, and not the singularity of number” (Against Praxeas, II, Ante-Nicene Fathers)
Cyprian
of Carthage (c. 250 A.D.) -- “The Lord says ‘I and the Father
are one’ and likewise it is written of the Father and the Son and
the Holy Spirit, ‘And these three are one’” (De Unitate Ecclesiae, [On The Unity of the Church], The Ante-Nicene Fathers: (
Tertullian এবং Cyprian of Carthage লেখার সময় ছিল ২০০-২৫০ খ্রীঃ যা গ্রীক পান্ডূলীপি (Codex Vaticanus/ Codex Sinaiticus) লেখার অনেক পূর্বের। Early Church Fathers দের লেখায় প্রমানিত হয় KJV ১যোহন ৫:৭; অনুবাদ সঠিক।
২০। মথি, মার্ক, লূক, যোহন এই সুসমাচার লিখেছেন তার প্রমান
নেই।
উত্তরঃ আমাদের
কাছে ঐতিহাসিক দলিল আছে যে মথির সুসমাচার মথি লিখেছেন মার্কের সুসমাচার মার্ক
লিখেছেন এবং যোহনের সুসমাচার যোহন লিখেছেনঃ
- Ireneaus lived from 130AD to 202AD. He was a
disciple of Polycarp, who was a disciple of the Apostle John. And he
became a Bishop in Gaul (modern France). In the 3rd book of his 5 volume set, Against Heresies, he writes this:
“Matthew also issued a written Gospel among the Hebrews in
their own dialect, while Peter and Paul were preaching at Rome, and laying the
foundations of the church. After their departure, Mark, the disciple and
interpreter of Peter, did also hand down to us in writing what had been
preached by Peter. Luke also, the companion of Paul, recorded in a book the
Gospel preached by him. Afterwards, John, the disciple of the Lord, who
had leaned upon his breast, did himself publish a Gospel during his residence
at Ephesus in Asia.”
কিন্তু কুরআন কে লিখেছে তা কি পল উইলিয়ামসের জানা আছে নাকি অন্যান্য মুসলিম ভাইদের জানা আছে?
২১। যোহনের সুসমাচারে মোহাম্মদের ভবিষ্যৎবানি!
উত্তরঃ
আশ্চর্য জনক বিষয় হলো পল উইলিয়ামস তার কথায় বার বার যোহনের সুসমাচার বিশ্বাস যোগ্য
না কারন সেখানে যীশু খ্রীষ্টের ঐশ্বরিক দাবি গুলো রয়েছে অথচ ইসলামকে সত্য প্রমানিত
করার জন্য মথি মার্ক লূক সুসমাচারের সাহায্য না নিয়ে তিনি যোহনের সুসমাচার থেকে হযরত মুহাম্মদের
ভবিষ্যৎ বানী খোজার চেষ্টা করছেন! অদ্ভুদ বিষয়। যদিও যোহনে সুসমাচারে হযরত মুহাম্মদের ভবিষ্যৎবানী নেই তবে
পল উইলিয়ামসের দাবিটি লূকের সুসমাচার দ্বারা খন্ডিত করছিঃ
“আর দেখ, আমার পিতা
যাহা প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, তাহা আমি তোমাদের নিকটে প্রেরণ করিতেছি; কিন্তু যে পর্যন্ত
ঊর্ধ্ব হইতে শক্তি পরিহিত না হও, সেই পর্যন্ত তোমরা এই নগরে অবস্থিতি কর।” লূক২৪:৪৯;
লুকের লেখায় এর পরিপূর্নতা আমরা দেখতে পাইঃ
আর তিনি তাঁহাদের
সঙ্গে সমবেত হইয়া এই আজ্ঞা দিলেন, তোমরা যিরূশালেম হইতে প্রস্থান করিও না, কিন্তু পিতার
অঙ্গীকৃত যে দানের কথা আমার কাছে শুনিয়াছ, তাহার অপেক্ষায় থাক। কেননা যোহন জলে বাপ্তাইজ
করিতেন বটে, কিন্তু তোমরা পবিত্র আত্মায় বাপ্তাইজিত হইবে, বেশী দিন পরে নয়। অতএব তাঁহারা
একত্র হইয়া তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, প্রভু, আপনি কি এই সময়ে ইস্রায়েলের হাতে রাজ্য
ফিরাইয়া আনিবেন? তিনি তাঁহাদিগকে বলিলেন, যে সকল সময় কি কাল পিতা নিজ কর্তৃত্বের অধীন
রাখিয়াছেন, তাহা তোমাদের জানিবার বিষয় নয়। কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে
তোমরা শক্তি প্রাপ্ত হইবে; আর তোমরা যিরূশালেমে, সমুদয় যিহূদিয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং
পৃথিবীর প্রান্ত পর্যন্ত আমার সাক্ষী হইবে।”-প্রেরিত১:৪-৮;
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এখানে যে পবিত্র আত্মার কথা বলেছেন তা স্পষ্ট এখানে তিনি কোন নবীর ভবিষ্যৎবানী করেন নি এই জন্য মুসলিম প্রচারকেরা ভুলেও লূক থেকে Quatation ব্যবহার করে না। যোহনের সুসমাচারেও স্পষ্ট বলা আছে সেই সহায় হলেন পবিত্র আত্মা কোন নবী ননঃ “কিন্তু সেই সহায়, পবিত্র আত্মা, যাঁহাকে পিতা আমার নামে পাঠাইয়া দিবেন, তিনি সকল বিষয়ে তোমাদিগকে শিক্ষা দিবেন, এবং আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সকল স্মরণ করাইয়া দিবেন।” (যোহন১৪:২৬;)
২২। হযরত মুহাম্মদের জীবনি পল উইলিয়ামসকে উদবুদ্ধ করেছে।
উত্তরঃ প্রভু
যীশু খ্রীষ্টের জীবনি পড়ার সময়ে তার মনে হলো যে গসপেল প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
মৃত্যুর অনেক পরে লেখা হয়েছে তাই তিনি নাকি তা বিশ্বাস করে নি (যদিও এটা ভূল দাবি)
তার জন্য তিনি হযরত মুহাম্মদের জীবনি পড়েছেন।
হযরত মুহাম্মদের জীবনি প্রথম লেখেন ইবনে ইসহাক যিনি ৭০৪ খ্রীঃ জন্ম গ্রহন
করেন এবং ৭৬৭ খ্রীঃ তিনি মৃতুবরন করেন যেখানে হযরত মুহাম্মদ ৬৩২ খ্রীঃ মৃত্যু বরন
করেন অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদের মৃতুর ১৩৫ বছর পরে ইবনে ইসহাক মৃত্যুবরন করেন। মানে
মাঝ খানে ১৩৫ বছরের ফাকা অথচ এটা পল উইলিয়ামসের চোখে বাদে নি। মুসলিম পন্ডিতরা
ইবনে ইসহাকের লেখা হযরত মুহাম্মদের জীবনি পড়ে অনেক স্থানে বিপদে পড়ে গেছেন তার
জন্য তারা এখন প্রাচীন জীবনির থেকে তার পরে যে কাটছাট করে জীবনি লেখা হয়েছে সেগুলো
বিশ্বাস করেন কারন সেই গুলোতে তাদের দূর্বলতা গুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য তারা
ইবনে হীশামের লেখা মুহাম্মদের জীবনি বেশি
প্রচার করে। ইবনে হীশাম ৮৩৩খ্রীঃ তিনি মৃতুবরন করেন অর্থাৎ হযরত মুহাম্মদের
মৃত্যুর ২০১ বছর পর। জানিনা কিভাবে পল উইলিয়ামস এস না বিচার করেই অন্ধের মতন
বিশ্বাস করে নিলেন।
২৩। যীশু খ্রীষ্ট শুধু যোহনের সুসমাচারের বলেছেন “আমি জগতের আলো” তাই এই দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয়।
উত্তরঃ জগতের
দীপ্তি নিয়ে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট অনেকবার আলোচনা করেছেন তিনি তার অনুসারীদের
বলেছেন, “তোমরা জগতের দীপ্তি;”(মথি৫:১৪) “তদ্রূপ তোমাদের দীপ্তি মনুষ্যদের সাক্ষাতে
উজ্জ্বল হউক্, যেন তাহারা তোমাদের সৎক্রিয়া দেখিয়া তোমাদের স্বর্গস্থ পিতার গৌরব করে।”(মথি৫:১৬;) যাকে অনুসরন করলে “মানুষেরা” জগতের আলো
হতে পারে সেই মহান ব্যক্তি নিজেকে জগতের দীপ্তি বলতে পারেন না এমন দাবি করা হাস্যকর।
মথির সুসমাচারেই প্রভু যীশু “জগতের দীপ্তি” কথাটি ব্যবহার করেছেন এবং যোহনের সুসমাচারে
প্রভুর এই উক্তিটি উল্লেখিত রয়েছে, “আমি জগতের জ্যোতি;”যোহন৮:১২; তাই পল উইলিয়ামস
দাবিটা দূর্বল এবং ভিত্তিহীন। কারন তার এই একি যুক্তি যদি কুরআনের ক্ষেত্রে ব্যবহার
করি তবে দেখুন কি সমস্যার সৃষ্টি হয়? কুরআনে ঈসা মসীহের মাত্র একটি বক্তিব্য ৩
জায়গায় ৩ ভাবে উল্লেখিত রয়েছে আর মাত্র একটি জায়গায় কুরআনে ঈসা মসীহ “আহমদ” নামক
কোন ব্যক্তির ভবিষ্যৎবানী করেছেনঃ
১। আর আমার সামনে পূর্ববর্তী কিতাব তাওরাতের যা রয়েছে তার সত্যায়নকারীরূপে
এবং তোমাদের উপর যা হারাম করা হয়েছিল তার কিছু তোমাদের জন্য হালাল করতে এবং আমি তোমাদের
নিকট এসেছি তোমাদের রবের পক্ষ থেকে নিদর্শন নিয়ে। অতএব, তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন
কর এবং আমার আনুগত্য কর’। সূরা ৩:৫০;
আল-বায়ান
২।আর
যখন ঈসা সুস্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আসল, তখন সে বলল, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের কাছে হিকমত
নিয়ে এসেছি এবং এসেছি তোমরা যে কতক বিষয়ে মতবিরোধে লিপ্ত তা স্পষ্ট করে দিতে। অতএব
তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর’।সূরা
৪৩:৬৩; আল-বায়ান
৩।আর যখন মারইয়াম পুত্র
ঈসা বলেছিল, ‘হে বনী ইসরাঈল, নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল। আমার পূর্ববর্তী
তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন,
যার নাম আহমদ’। অতঃপর সে যখন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বলল,
‘এটাতো স্পষ্ট যাদু’। সূরা ৬১:৬; আল-বায়ান
এখন আমরা প্রশ্ন করতে পারি কুরআনের একি বক্তব্যের ঘটনা ৩ জায়গায় ৩ রকমের
কেন? দুটি আয়াতে কোন জায়গায় “আহমদ” নামে কোন ভবিষ্যৎবানী নাই একটিতে কেন আছে? তার মানে
এই একটি বিশ্বাসযোগ্য নয়!
২৪। মোশী যীশু খ্রীষ্ট এবং মোহাম্মদ একি অঞ্চল থেকে এসেছেন।
উত্তরঃ না এটি
সম্পূর্ন ভূল দাবি মোশী যীশু খ্রীষ্ট এবং মোহাম্মদ মোটেই একি অঞ্চল থেকে আসেন নি।
মোশী জন্মগ্রহণ করেছেন Land
of Goshen প্রভু যীশু খ্রীষ্ট জন্মগ্রহণ করেছেন বেথেলহেমে আর হযরত মুহাম্মদ তিনি
এক ভিন্ন দেশে ভিন্ন জাতিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। পল উইলিয়ামস যে
কতটা ধর্ম জানতেন তা বোঝায় যাচ্ছে।
২৫।যীশু এবং মোহাম্মদ ছিলেন জাতির পিতা।
উত্তরঃ এই কথাটি
মিথ্যা কারন হযরত মুহাম্মদকে পিতা বলতে বারন করেছে কুরআন অথচ পল উইলিয়ামস তার
ভিডিওতে স্পষ্ট বলেছেন মুহাম্মদ ছিল তার জাতির পিতা।
“মুহাম্মাদ তোমাদের
কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল
ও সর্বশেষ নবী।* আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।”সূরা৩৩:৪০; আল-বায়ান”
২৬। ইসলাম ধর্ম নাকি ইউরোপে ত্যাগ করছে না।
উত্তরঃ
রিসার্চ মোটেও তা বলেনাঃ About a quarter
of adults who were raised Muslim (23%) no longer identify as members of the
faith, roughly on par with the share of Americans who were raised
Christian and no longer identify with Christianity (22%), according to a new
analysis of the 2014 Religious
Landscape Study. But while the share of American Muslim adults who are converts to Islam also is about
one-quarter (23%), a much smaller share of current Christians (6%) are
converts. In other words, Christianity as a whole loses more people than it
gains from religious switching (conversions in both directions) in the U.S., while the net effect on
Islam in America is a wash.[6]
পল উইলিয়ামস যে সব দাবি করেছেন তার প্রতিটি কথার জবাব রয়েছে
তিনি ভাল করে খ্রীষ্টধর্ম নিয়ে গবেষণা করেন নি এমন কি তিনি ইসলাম নিয়েও ভূল তথ্য
পেশ করেছেন। যেহেতু তিনি নাস্তিক ছিলেন তাই তার কাছে কানার হাতি দেখা গল্পটি মানায়।
[3] Statistics
taken from: Josh McDowell, The New Evidence That Demands A Verdict (Nelson,
Nashville, 1999) p.38.
[4] Taken
from: Josh McDowell, The New Evidence That Demands A Verdict (Nelson,
Nashville, 1999) p.43.
[5] Taken
from: Josh McDowell, The New Evidence That Demands A Verdict (Nelson,
Nashville, 1999) p.44-45.
0 coment rios: