লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার
“অব্রাহামের জন্মের পূর্বাবধি আমি আছি।”[1]
মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান মিনার সাহেবের ১ম দাবিঃ
এভাবে ‘I am’ বা ‘আমি’ বলার বহু উদাহরণ বাইবেলে দেখা যায়।আদিপুস্তক(Genesis) ২২:১১তে আব্রাহাম [ইব্রাহিম(আ)] বলছেনঃ ‘I am’, যাত্রাপুস্তক(Exodus) ৩:৪এ মোশি [মুসা(আ)] বলছেনঃ ‘I am’, যোহন(John) ৯:৯ এ একজন ভিক্ষুক পর্যন্ত বলছেনঃ ‘I am’। এতগুলো মানুষ এই এক কথা বলেছেন, তাহলে শুধু যিশুকে ঈশ্বর বলে দাবি করার যৌক্তিকতা কী? এ কথা বলে তারা যদি ঈশ্বর না হন, তাহলে যিশুও ঈশ্বর নন।
জাবাবঃ কেউ I AM বললে সে ঈশ্বর
হয় না, কিন্তু যদি কেউ নিজেকে “I AM” বলে দাবি করে তবে
অবশ্যই সে ঈশ্বরত্বের দাবি করে। অব্রাহাম, মোশী কেউ দাবি করে নি, আমি “I
AM” কিন্তু প্রভু যীশু নিজেকে অসংখ্যবার “I AM” বলে দাবি করেছেন।
সমালোচক মহাদয় এখানে পন্ডিতি করতে নিজের মূর্খতার প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেছেন নবী অব্রাহাম এবং নবী মোশী নিজেদের “I AM” বলে দাবি করেছেন যা ঈশ্বরও দাবি করেছেন।
কথাটি কতটুকু সত্য আসুন বিচার করি।
নবী অব্রাহাম মোটেই দাবি করেন নি তিনি “I AM” আমরা
অব্রাহামের এবং ঈশ্বরের বলা “I AM” শব্দের মধ্যে পার্থক্য দেখবঃ
পিতা ঈশ্বর মোশীর কাছে নিজের নাম প্রকাশিত করলেন, εγώ ειμι
[2]
এবারে আমরা নবী মোশীর কথাটি দেখব যে তিনি নিজেকে εγώ ειμι [I AM] বলেছেন কিনা?
[3]
দেখুন পাঠক কেমন মিথ্যাচার করছেন শ্রদ্ধেয় মিনার ভাই।
নবী মশী বলেছেন, “τι εστιν” [What is it?]
যা মোটেই যাত্রপুস্তক৩:১৪ পদের “εγώ ειμι” [I AM] নয়। দুটি আলাদা শব্দ কিন্তু মুসলিম দাঈরা এমনি
মিথ্যাচার করে থাকে।
এবারে আমরা দেখব যে নবী অব্রাহাম কি নিজেকে εγώ ειμι [I AM] বলেছেন কিনা?
[4]
এখানেও শ্রদ্ধেয় মিনার ভাই মিথ্যাচার
ধরা পড়ে গেছে এখানেও নবী অব্রাহাম εγώ ειμι [I AM] বলেন নি বরং
তিনি আলাদা শব্দ ব্যবহার করেছেন ιδού
εγώ
[ Behold it is I], তাই মুসলিম দাঈদের দেওয়া রেফারেন্স না পরীক্ষা
করে কেউ গ্রহন করবেন না, কারন মিথ্যাচার করাই তাদের স্বভাব।
তারা আবার দাবি করে যোহন৯:৯ পদে এক অন্ধ থেকে সুস্থ হওয়া লোক নিজেকে εγώ ειμι [I AM] বলেছেন “কেহ
কেহ বলিল, সেই বটে; আর কেহ কেহ বলিল, না, কিন্তু তাহারই মত; সে বলিল, আমি সেই।”
কিন্তু এখানেও CONTEXT ছাড়া একটি পদের ভূল ব্যাখ্যা
করা হয়েছে কিভাবে দেখুন?
তখন প্রতিবাসীরা, এবং
যাহারা পূর্বে তাহাকে দেখিয়াছিল যে, সে ভিক্ষা করিত, তাহারা বলিতে লাগিল, এ কি সেই
নয়, যে বসিয়া ভিক্ষা চাহিত? কেহ কেহ বলিল, সেই বটে; আর কেহ কেহ বলিল, না, কিন্তু তাহারই মত; সে
বলিল, আমি সেই।”[5]
লোকেরা প্রশ্ন করছিল “যে আগে যাকে ভিক্ষা করতে
দেখেছিলাম এই লোকটা কি সে নয়? তখন সেই অন্ধ ভিক্ষুক লোকটি বলেছেন “আমি সেই”। এখানে CONTEXT অনুসারে
বোঝা যায় সে যে সেই অন্ধ ভিক্ষুক ছিল, তার স্বীকারত্বি দিয়েছিল। সে
যে ঈশ্বর তা ত বলে নি। কিন্তু প্রভু যীশু যখন বলেন, “অব্রাহামের জন্মের আগে থেকে
আমি আছি” এটা তার তার ঈশ্বরত্বের প্রামাণ করে। কারন যখন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজেই εγώ ειμι [I AM] বলেছেন তখন শত্রুরা ভয়ে মাটিতে পড়ে গেছিলঃ
“তিনি যখন তাহাদিগকে বলিলেন, আমিই তিনি, (εγώ ειμι
[I
AM])
তাহারা পিছাইয়া গেল, ও ভূমিতে পড়িল।”[6]
এছাড়াও তিনি যখন ইহুদের সামনে নিজেকে εγώ ειμι [I AM] বলেছেন তখন তারা তাঁকে পাথার মারার চেষ্টা
করেছিল কারন তারা শতভাগ নিশ্চিত ছিল যে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট কি দাবি করেছেনঃ “তুমি কি অব্রাহামকে দেখিয়াছ? যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন,
সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, অব্রাহামের জন্মের পূর্বাবধি আমি আছি (εγώ ειμι [I AM])। তখন তাহারা
তাঁহার উপর ছুড়িয়া মারিবার জন্য পাথর তুলিয়া লইল, যীশু কিন্তু অন্তর্হিত হইলেন, ও ধর্মধাম
হইতে বাহিরে গেলেন।”[7]
পাঠক নিশ্চই বুঝতে পারেছেন যে অন্ধ
ভিক্ষুকের εγώ ειμι [I AM] বলে
নিজের পরিচয় দেওয়া আর প্রভু যীশু খ্রীষ্টের εγώ ειμι [I AM]
বলে পরিচয় দেওয়ার মধ্যে আকাশ পাতালের পার্থক্য
রয়েছে ।
মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান মিনার সাহেবের ২য় দাবিঃ
যাত্রাপুস্তক (Exodus) ৩:১৪এর “তখন তাদের বলবে ‘আমিই’ আমাকে পাঠিয়েছেন”—এখানে
ঈশ্বরের নাম হিসাবে বাংলা অনুবাদে ‘আমিই’ এবং ইংরেজিতে “I AM” আছে।কিন্তু ঈশ্বরের নামের
স্থলে মূল গ্রীকে আছেঃ ὁ ὤν(হো অন)। গ্রীক
সেপ্টুয়াজিন্ট ওল্ড টেস্টামেন্টে এভাবেই গ্রীক শব্দটি আছে।যোহন(John) ৮:৫৮তে মূল গ্রীক
বইতে “I am” এর জায়গায় পাওয়া যায়ঃ ἐγὼ εἰμί (এগো এইমি)। গ্রীক “এগো এইমি”
থেকে ইংরেজিতে “I am” ও বাংলায় ‘আমি ছিলাম’ অনুবাদ করা হয়েছে।সেখানে ঈশ্বরের নাম হিসাবে
যাত্রাপুস্তকে ব্যবহৃত ὁ ὤν(হো অন) কথাটি
নেই।
জাবাবঃ এখানেও শ্রদ্ধেয় মিনার ভাই মিথ্যাচার করেছেন তার প্রামাণ আপনি নিজেই দেখুন! যাত্রাপুস্তক ৩ অধ্যায়
১৪ পদে পিতা ঈশ্বর বলেছেন, εγώ ειμι [I AM]
[8]
এবং যোহন ৮ অধ্যায় ৫৮ পদে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন,
εγώ ειμι [I AM]
[9]
এই জন্য আমি প্রায় বলি কোন মুসলিম দাঈ [প্রচারক] যদি
আপনার কাছে পবিত্র বাইবেলের ব্যাখ্যা দিতে আসে কোন মতেই তা গ্রহন করবেন না, কারন
তারা মিথ্যাবাদি। এছাড়াও তার মূর্খতার
আরেকটি প্রমাণ দেখুনঃ
শ্রদ্ধেয় মিনার ভাই আসলে এসব
যিহোবার সাক্ষি নামক ভ্রান্ত দলের কাছ থেকে এই দূর্বল ও ভিত্তিহীন যুক্তিটি নিয়ে
এসেছেন যা আগে খন্ডন হয়ে আছে আসুন আমরা আবার যাত্রাপুস্তক ৩:১৪
পদ টা দেখবঃ
[10]
এখানে পিতা ঈশ্বর ইয়াওয়ে এলোহীম বলেছেন, “I AM”[ εγώ ειμι] “THE ONE BING” [ο ων] সমালোচকের
দাবি হলো প্রভু যীশু খ্রীষ্ট কেন “THE ONE BING” [ο ων] টা বলে নি?
এখনে হাস্যকর বিষয় হলো আমাদের দাবি এটা নয় যে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে I AM “THE ONE
BING” [ο ων] বলতে হবে! আমাদের দাবি εγώ ειμι [I AM]। পিতা ঈশ্বর অনেক জায়গায়
নিজেকে εγώ ειμι [I AM] বলেছেন এবং তার
পাশাপাশি প্রেক্ষপট অনুসারে তার নূতন কথা প্রকাশিত করেছেন উদাহরন স্বরূপ যিশাইয়৫১:১২ যেখানে পিতা ঈশ্বর বলেছেন I AM, I AM
HE. এখানে প্রমানিত হয় I AM[εγώ ειμι] আলাদা শব্দ এবং এর দ্বারা ঈশ্বর নিজের নামের প্রকাশ
করেছেন তারপরে তিনি সাথে আর কি কি বলেছেন সেটার সাথে I AM[εγώ ειμι] এর কোন সম্পর্ক নেই।
[11]
মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান মিনার সাহেবের ৩য় দাবিঃ
এরপরেও
খ্রিষ্টানরা আরেকটি যুক্তি দেখাতে পারেন, আর তা হচ্ছেঃ যিশু যোহন(John) ৮:৫৮তে
বলছেন যে তিনি আব্রাহামের জন্মের আগে থেকে আছেন। এর মানে পৃথিবীতে আসার আগেও তাঁর
অস্তিত্ব ছিল।এবং বাস্তবিকই এই যুক্তি দেখিয়ে খ্রিষ্টানরা দাবি করেন যে এমন
বৈশিষ্ট্য ঈশ্বর ছাড়া আর কারো হতে পারে না।কিন্তু খ্রিষ্টানদের এই দাবি তাদের নিজ
গ্রন্থ দ্বারাই খণ্ডণ হয়। মুসলিমদের বিশ্বাস হচ্ছেঃ পৃথিবীতে আসার আগে মানুষ ছিল
রুহের জগতে, কুরআনে সুরা আ'রাফ এর ১৭২ নং
আয়াতে পৃথিবীতে আসার আগেই সকল মানুষের সাথে আল্লাহর কথোপককথনের বিবরণ আছে।
কাছেই পৃথিবীতে আসার আগে মানুষের অস্তিত্বের ব্যাপারে মুসলিমদের কোন কনফিউশন নেই,
এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। একই রকম বিবরণ বাইবেলেও পাওয়া যায়। বাইবেলে যিরমিয়(Jeremiah) ১:৫ এ
বলা আছে যেঃ মাতৃগর্ভে সৃষ্টি করার পূর্বেই ঈশ্বর যিরমিয়কে নির্বাচিত করেছিলেন;
জাতিসমূহের কাছে ভাববাদী(নবী) হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। সুতরাং বাইবেল বলছে যেঃ
পৃথিবীতে আসবার আগে ভাববাদী যিরমিয় এরও এক প্রকারের “অস্তিত্ব” ছিল। অথচ যিরমিয়কে
কিন্তু খ্রিষ্টানগণ ঈশ্বর বলে দাবি করেন না! জন্মের পূর্বে অস্তিত্ব থাকার পরেও
যদি যিরমিয় ঈশ্বর না হন, তাহলে যিশুকে কেন ঈশ্বর বলে দাবি করা হবে?? এটা কি ডাবল
স্টান্ডার্ড নয়?
জবাবঃ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “অব্রাহামের
জন্মের পূর্বাবধি আমি আছি।”[12] এখন সমালোচক দাবি
করেছেন সূরা ৭ আরাফ আয়াত ১৭২ আয়াত অনুসারে মানুষ পৃথিবীতে সৃষ্টি হওয়ার আগেই তাদের
আল্লাহর সাথে কথা বলেছে, তাই প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যদি বলেন, “আমি অব্রাহামের জন্মের
আগে থেকে আছি” এর দ্বারা নাকি তাঁর ঈশ্বত্ব প্রামাণিত হয় না!!! চলুন প্রথমে আমরা সূরা
৭ আরাফ আয়াত ১৭২; এর রহস্য ভেদ করি
মিশকাতুল মাসাবিহ১১৯
আবুদ্ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নাবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ সৃষ্টির প্রাক্কালে আল্লাহ্ তা’আলা যখন
আদাম (আঃ)-কে সৃষ্টি করলেন তখন তাঁর কাঁধের উপর তাঁর হাত মারলেন। এতে ক্ষুদ্র
পিঁপড়ার দলের ন্যায় সুন্দর ঝকঝকে একদল আদাম সন্তান বেরিয়ে আসল। তিনি আবার তাঁর
বাম কাঁধের উপর হাত মারলেন এবং কয়লার ন্যায় কালো অপর একদল আদাম সন্তান বেরিয়ে
আসল। তারপর আল্লাহ্ তা’আলা আদাম (আঃ)-এর ডান দিকের সন্তানদের ইঙ্গিত করে
বললেন, এ দল জান্নাতী। এতে আমি কারো পরোয়া করি না। অতঃপর আবার তিনি বাম
দিকের আদাম সন্তানদের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, এ দল জাহান্নামী। এ সম্পর্কেও
আমি কারো পরোয়া করি না।[13]
হাদিসে সুস্পষ্ট ভাবে লেখা আছে আল্লাহ
যখন আদমের ডান কাঁধের উপরে হাত মারলেন, তখন সাদা চামড়া লোকেদের সৃষ্টি হলো আর
আল্লাহ যখন আদমের বাম কাঁধের উপরে হাত মারলেন, তখন কাল চামড়া [কৃষ্ণঙ্গ] লোকেদের
সৃষ্টি হলো আল্লাহ সাদা চামড়া লোকেদের জান্নামতের জন্য
সৃষ্টি করলেন এবং আর কালো কাল চামড়ার [কৃষ্ণঙ্গ] লোকেদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি
করলেন। হাদিসটি বিশুদ্ধ, জাল নয়। কিন্তু বাংলা অনুবাদকেরা এখানেও একটু খানি
অনুবাদে বিকৃতি করেছেন আর তা আমি ধরিয়ে দিচ্ছি। বাংলা অনুবাদে, “আল্লাহ আদমের “ডান কাঁধের” উপরে হাত মারলেন”
এখানে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে “ডান কাঁধ” কথাটি
বাদ দিয়েছেন কারন এটা লেখা থাকলে জনগন সহজেই বুঝে যাবে যে শুধু সাদা চামড়ার লোকেরা
জান্নাতে যাবে আর কালো চামড়ার লোকেরা কেউ বেহেস্তে যেতে পারবেন না।
[14]
তবে পাঠক দেখুন তারা কত বড় জালিয়াতিবাজ নিজেদের স্বার্থের
বিরুদ্ধে গেলে তারা কালাম বিকৃত করতেও পিছু পা হয় না। তারাই আবার দাবি করে ইহুদি-খ্রীষ্টানরা
কিতাব বিকৃত করেছে যা সত্যি হাস্যকর!!! যারা নিজেরাই কালাম বিকৃত করে তারাই আবার অন্যদের বলে তোমারা
কিতবা বিকৃত করেছ, এই জন্যই কথায় আছে, “চোরের মন পুলিশ পুলিশ!” যদি
কোন কাল চামড়ার মুসলিম লোক আমার গ্রন্থটা পড়েন!!! তবে আপনার কাছে আমার অনুরোধ
ইসলাম ত্যাগ করুন কারন আপনার ধর্ম অনুসারে বেহেস্তে যেতে পারবেন না।
এখান আসুন মিনার সাহেবের
উদ্ভট যুক্তিটি খন্ডন করিঃ আল্লাহ যখন সাদা চামড়ার লোকেদের সৃষ্টি
করেছিলেন তখন কোন সাদা চামড়ার লোক আল্লাহর সাথে কথা বলেছিল এর কোন প্রমাণ এই
হাদিসে নাই এবং যখন আল্লাহ কালো চামড়ার লোক আল্লাহর সাথে কথা বলেছিল এর কোন প্রমাণ
এই হাদিসে নাই। তাই আল্লাহর সাথে সব মানুষের কথপোকথনের যুক্তিটি ভিত্তিহীন।
উক্ত বিষয়ে আমি আরেকটি হাদিস পেশ করছি যা তার যুক্তিকে ব্রিন্দাবনে পাঠিয়ে দেবেঃ
জামে' আত-তিরমিজি ৩০৭৬
আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন আল্লাহ তা’আলা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন তখন তিনি তার পিঠ
মাসেহ করলেন। এতে তাঁর পিঠ থেকে তাঁর সমস্ত সন্তান বের হলো, যাদের তিনি ক্বিয়ামাত
পর্যন্ত সৃষ্টি করবেন। তিনি তাদের প্রত্যেকের দুই চোখের মাঝখানে নূরের ঔজ্জল্য
সৃষ্টি করলেন, অতঃপর তাদেরকে আদম (আঃ) এর সামনে পেশ করলেন। আদম (আঃ) বললেনঃ হে
প্রভু! এরা কারা? আল্লাহ বললেন, এরা তোমার সন্তান। আদমের দৃষ্টি তার সন্তানদের
একজনের উপর পড়লো যাঁর দুই চোখের মাঝখানের ঔজ্জল্যে তিনি বিস্মিত হলেন। তিনি বললেন,
হে আমার প্রভু! ইনি কে? আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ শেষ যামানার উম্মাতের অন্তর্গত তোমার
সন্তানদের একজন। তার নাম দাউদ (‘আঃ)। আদম (‘আঃ) বললেনঃ হে আমার রব! আপনি তাঁর বয়স
কত নির্ধারণ করেছেন? আল্লাহ বললেনঃ ৬০ বছর। আদম (‘আঃ) বললেনঃ পরোয়ারদিগার! আমার
বয়স থেকে ৪০ বছর (কেটে) তাকে দিন। আদম (‘আঃ) এর বয়স শেষ হয়ে গেলে তাঁর নিকট
মালাকুত মউত _ আযরাইল) এসে হাযির হন। আদম (‘আঃ) বললেনঃ আমার বয়সের কি আরো ৪০ বছর
অবশিষ্ট নেই? তিনি বললেনঃ আপনি কি আপনার সন্তান দাউদকে দান করেননি? রাসুলুল্লাহ
(সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ আদম (‘আঃ) অস্বীকার করলেন, তাই তার
সন্তানরাও অস্বীকার করে থাকে। আদম (‘আঃ) ভুলে গিয়েছিলেন, তাই তাঁর সন্তানদেরও
ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকে।[15]
এই হাদিসেও দেখা যায় আল্লাহ যাদের
সৃষ্টি করে রেখেছিলেন তারা কেউ তার সাথে কথা বলে নি তারা সবাই অবচেনত অবস্থায় ছিল।
আদম যখন নবী দায়ূদের সাথে কথা বলতে চাইলেন তখনও নবী দায়ূদ কোন জবাব দেন নি তার
কারন তার চেতনাই ছিল না। তাই শ্রদ্ধেয় মিনারের উদ্ভট যুক্তিটি ইসলামের দলিল ব্রিন্দাবনে পাঠিয়ে দিয়েছে।
তবে এই বাংলা হাদিসেও কালামের বিকৃতি করা হয়েছে। বাংলা হাদিসে লেখা
আছে, “আদম (‘আঃ) ভুলে গিয়েছিলেন, তাই তাঁর সন্তানদেরও ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকে।” কিন্তু এটা বিকৃত অনুবাদ কারন ইংরেজি অনুবাদ আমাদের
কাছে স্পষ্ট করে দিয়েছে যে এখানে মোটেই “ক্রুটি বিচ্যুতি” লেখা নেই বরং এখানে পাপের
কথা লেখা আছে,
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "When
Allah created Adam He wiped his back and every person that He created among his
offspring until the Day of Resurrection fell out of his back. He placed a ray
of light between the eyes of every person. Then He
showed them to Adam and he said: 'O Lord! Who are these people?' He said:
'These are your offspring.' He saw one of them whose ray between his eyes
amazed him, so he said: 'O Lord! Who is this?' He said: 'This is a man from the
latter nations of your offspring called Dawud.' He said: 'Lord! How long did
You make his lifespan?' He said: 'Sixty years.' He said: 'O Lord! Add forty
years from my life to his.' So at the end of Adam's life, the Angel of death of
came to him, and he said: 'Do I not have forty years remaining?' He said: 'Did
you not give them to your son Dawud?'" He said: "Adam denied, so his
offspring denied, and Adam forgot and his offspring forgot, and Adam sinned, so his offspring sinned."
Grade: |
Hasan (Darussalam)[16] |
||
Reference |
: Jami` at-Tirmidhi 3076 |
|
মিনার সাহেব যিরমিয়১:৫ পদ ব্যহার
করেছেন এবং দাবি করেছেন পবিত্র বাইবেলেও
নাকি এমন শিক্ষা আছে!!! প্রথমেই বলে রাখি পবিত্র বাইবেলে মোটেই এমন উদ্ভট শিক্ষা
নাই।
“উদরের মধ্যে তোমাকে গঠন করিবার পূর্বে আমি তোমাকে জ্ঞাত
ছিলাম, তুমি গর্ভ হইতে বাহির হইয়া আসিবার পূর্বে তোমাকে পবিত্র করিয়াছিলাম; আমি তোমাকে
জাতিগণের কাছে ভাববাদী করিয়া নিযুক্ত করিয়াছি।”
ইয়াওয়ে এলোহীম তিনি সর্বশক্তিমান তিনি
নবী যিরমিয়কে এই পৃথিবীতে পাঠনোর আগেই তাকে বেছে নিয়েছেন আর এটা ত সব নবীদের
ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য!!! জন্ম গ্রহন করার পরে কি ঈশ্বর কাউকে মনোনিত করেন? আর যদি তা
কারেন তবে তিনি সর্বশক্তিমান হতে পারেন না। প্রিতিটি নবীকেই তার জন্মের পূর্বে
ইয়াওয়ে এলোহীম বেছে নেন এখানে আশ্চর্যের কিছুই নেই। আর এর দ্বারা যিরমিয় ঈশ্বর
প্রমানিত হন না।
[1]যোহন ৮:৫৮;
[5]
যোহন৮:৮-৯;
[7]
যোহন৮:৫৮-৫৯; https://studybible.info/interlinear/John%208:58
[12]যোহন ৮:৫৮;
0 coment rios: