কুরআনে ইসার ঈশ্বরত্বঃ কিয়ামতের জ্ঞান
ঈসা মসীহ-ই যখন আল্লাহ....
কুরআনের একাধিক আয়াতে বলা হয়েছে যে, কিয়ামাতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর নিকট রয়েছে; যেমন:
"নিশ্চয় আল্লাহর নিকট কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে..." (কুরআন ৩১:৩৪)
"কিয়ামাতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর কাছেই ন্যস্ত..." (কুরআন ৪১:৪৭)
"কিয়ামাতের জ্ঞান শুধু তাঁরই আছে এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।" (কুরআন ৪৩:৮৫)
"লোকেরা তোমাকে কিয়ামাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বলঃ এর জ্ঞান শুধু আল্লাহরই আছে। তুমি এটা কি করে জানবে যে, সম্ভবতঃ কিয়ামাত শীঘ্রই হয়ে যেতে পারে?" (কুরআন ৩৩:৬৩)
"তারা তোমাকে কিয়ামাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে কখন তা সংঘটিত হবে। বল, ‘এ বিষয়ে জ্ঞান রয়েছে আমার প্রতিপালকের নিকট। তিনি ছাড়া কেউ প্রকাশ করতে পারে না কখন তা ঘটবে। আসমান ও যমীনে তা হবে বড় এক কঠিন দিন। আকস্মিকভাবে তা তোমাদের উপর এসে পড়বে।’ লোকেরা তোমাকে এ সম্পর্কে এমনভাবে জিজ্ঞেস করছে যেন তুমি আগ্রহ সহকারে এটার খোঁজে ব্যস্ত আছ। বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান তো শুধু আল্লাহরই নিকট আছে। কিন্তু অধিকাংশ লোকই জানে না।’" (কুরআন ৭:১৮৭)
উক্ত আয়াতগুলোতে কিয়ামাতের "জ্ঞান" এর ক্ষেত্রে মূল আরবি শব্দ عِلْم (ইলম্) ব্যবহার করা হয়েছে আর প্রত্যেক ক্ষেত্রে এই বিষয়টাই জানানো হয়েছে যে, আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে কিয়ামাতের ইলম্ বা জ্ঞান নেই।
অথচ কুরআনের অন্য একটি আয়াতে এই একই আরবি শব্দ عِلْم (ইলম্) ব্যবহার করে বলা হয়েছে যে, ঈসার নিকট কিয়ামাতের ইলম্ রয়েছে।
সূরা যুখরুফ (সূরা নং ৪৩) এর ৬১ নং আয়াতে বলা হয়েছে:
وَإِنَّهُۥ لَعِلْمٌ لِّلسَّاعَةِ فَلَا تَمْتَرُنَّ بِهَا وَٱتَّبِعُونِۚ هَٰذَا صِرَٰطٌ مُّسْتَقِيمٌ
(ওয়া ইন্নাহু লা'ইলমুল্ লিস্-সা'আতি ফালা তাম্-তারুন্না বিহা ওয়াত্তাবি'ঊনি হায্বা সিরাতুম্মুস্তাকীম্)
"ঈসা এর নিকটে রয়েছে কিয়ামাতের জ্ঞান; সুতরাং তোমরা কিয়ামাতে সন্দেহ পোষণ কোরো না এবং আমাকে অনুসরণ করো। এটাই সরল পথ।" (কুরআন ৪৩:৬১)
উক্ত আয়াতে স্পষ্টই لَعِلْمٌ ("লা'ইলমুন") শব্দ রয়েছে যা عِلْم (ইলম্) থেকে এসেছে যার অর্থ "জ্ঞান"।
অর্থাৎ উক্ত কুরআন ৪৩:৬১ আয়াতের মূল আরবিতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে যে, কিয়ামাতের জ্ঞান ঈসা মাসীহ এর নিকট রয়েছে।
আর আমরা একটু আগেই দেখলাম যে, কুরআনের একাধিক আয়াত বলছে যে, কিয়ামাতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর নিকট রয়েছে।
সুতরাং, যদি কিয়ামাতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর নিকট থাকে আর ঈসা মাসীহ সেই জ্ঞানের অধিকারী হন, তাহলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, ঈসা মাসীই হলেন স্বয়ং আল্লাহ।
আর যদি আল্লাহ বলে তাঁকে না মানা হয়, তবে পরোক্ষভাবে এটা নির্দেশিত হয় যে, আল্লাহ ও ঈসা একক ইলাহী অস্তিত্বে বিদ্যমান - যা ত্রিত্ববাদী উলুহিয়াতের দিকের ইঙ্গিত করে!
এ সংক্রান্ত আরো পড়ুনঃ
ইসলামের সৃষ্টিকার্যে তৃত্ত্ব
https://www.responsetoantichrist.com/2022/07/blog-post_15.html
ঈশ্বরের বাক্য/ কালাম কি ঐশ্বরিক নয়ঃ বাইবেল কি বলে ও কুরআন কি বলে- https://www.responsetoantichrist.com/2022/10/blog-post_60.html
___________________________________________________
- MyBeloved Yashu
0 coment rios: