কেন যাত্রাপুস্তক ৬ঃ৩ পদে বলা হয়েছে আব্রাহাম, ইসহাক, ইয়াকোভ ঈশ্বরের ইয়াহুয়া নাম জানত না।
(এই নিবন্ধে নামের ক্ষেত্রে হিব্রু উচ্চারণগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কারণ প্রপার নেমের কোন ভাষান্তর হয় না। আরেকটি বিষয় হল আমরা যেন বাইবেলের মূল ভাষা, হিব্রু ও গ্রীক এর সাথে আরো অধিক পরিচিত হই। তবে বুঝার সুবিধার্থে প্রচলিত শব্দগুলোকে ব্র্যাকেটে রাখা হয়েছে।)
উত্তরঃ বাইবেল ঈশ্বরের বই যা গভীর নিগুঢ়তত্ত্ব প্রকাশ করে। এ থেকে আমরা মানব জাতির জন্য এলোহিমের(ঈশ্বরের) ব্যবস্থার কথা জানতে পারি যা ইস্রায়েল জাতির মাধ্যমে এলোহিম(ঈশ্বর) সম্পন্ন করেছেন। বাইবেল গভীরভাবে জানা ও বুঝার অক্ষমতার কারণে অনেক বিষয় আমাদের বুঝতে সমস্যা হয়। আর ঈশ্বর বিরোধী ব্যক্তিরাও এর সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে প্রয়াস পায়। এখন এমনই একটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করব। আমরা প্রথমে নীচের দুটি বাইবেল পদের দিকে লক্ষ্য করি--
✡️এছাড়াও তিনি অব্রামকে বললেন, “আমি সেই ইয়াহুয়া(সদাপ্রভু) যিনি তোমাকে এই দেশের অধিকার দেওয়ার জন্য কলদীয় দেশের ঊর থেকে এদেশে বের করে এনেছি।”
আদি পুস্তক 15:7✡️
✡️ইস্হাক তাঁর ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন, “বাছা, এত তাড়াতাড়ি তুমি কীভাবে তা খুঁজে পেলে?”
“আপনার এলোহিম(ঈশ্বর) ইয়াহুয়া (সদাপ্রভু) আমাকে সফলতা দিয়েছেন,” তিনি উত্তর দিলেন।
আদি পুস্তক 27:20✡️
উপরের দুটি পদের প্রথমটিতে এলোহিম(ঈশ্বর) আব্রাহামকে নিজ নাম "ইয়াহুয়া" প্রকাশ করেছিলেন। আবার দ্বিতীয় পদটিতে ইয়াকোভ(যাকোব) ইসহাককে এলোহিমের নাম "ইয়াহুয়া" এটা প্রকাশ করেছেন। অর্থাৎ আব্রাহাম, ইসহাক ও ইয়াকোভ এলোহিমের(ঈশ্বরের) নাম "ইয়াহুয়া" এটা জানতেন। কিন্তু যাত্রাপুস্তক ৬ঃ৩ পদে এলোহিম(ঈশ্বর) বলছেন "ইয়াহুয়া"(সদাপ্রভু) নাম আব্রাহাম, ইসহাক ও ইয়াকোভ জানতেন না-
✡️যাত্রাপুস্তক 6
2 ঈশ্বর মোশির সহিত আলাপ করিয়া আরও কহিলেন, আমি ইয়াহুয়া [সদাপ্রভু];
3 আমি অব্রাহামকে, ইস্হাককে ও যাকোবকে "এল সাদ্দাই" (‘সর্ব্বশক্তিমান্ ঈশ্বর’) বলিয়া দর্শন দিতাম, কিন্তু আমার ইয়াহুয়া [সদাপ্রভু] নাম লইয়া তাহাদিগকে আমার পরিচয় দিতাম না।✡️
সমালোচকদের দাবী এটা বাইবেলের একটা কন্ট্রাডিকশন। আসলেই কি তাই?
আমরা এই পদের(যাত্রাপুস্তক ৬ঃ৩) কিং জেমস অনুবাদটি একটু খেয়াল করব-
✡️ Exodus 6:3
[3]And I appeared unto Abraham, unto Isaac, and unto Jacob, by the name of God Almighty, but by my name JEHOVAH was I not known to them. ✡️
আমরা এই পদের অনুবাদ ইহুদিদের উৎস থেকেও দেখব কারণ হিব্রু ভাষার ধারক ও বাহক প্রাচীন কাল থেকে তাঁরাই ছিল-
✡️I appeared to Abraham, Isaac, and Jacob as El Shaddai, but I did not make Myself known to them by My name יהוה. ✡️
https://www.sefaria.org/Exodus.6.3
এখানে আমরা কিং জেমস ভার্সন এবং ইহুদিদের করা অনুবাদ দু'জায়গাতেই একটা বিশেষ বিষয় খেয়াল করব, এই দুই অনুবাদেই " by my name" বাক্যাংশটি উপস্থিত যা একটা বিশেষ তাৎপর্য উপস্থাপন করে। ইহুদিদের অনুবাদে অনুবাদটি আরো অর্থপূর্ণ "I did not make myself known to them by my name----"। এর অর্থ দ্বারায় আমি নিজেকে তাদের(আব্রাহাম, ইসহাক ও ইয়াকোভের) কাছে নিজের নাম দ্বারা পরিচিত করি নাই। এই লিংক থেকে আমরা সম্পূর্ণ টেক্সট এনালাইসিস দেখতে পাব-
https://biblehub.com/text/exodus/6-3.htm
এখানে এলোহিম(ঈশ্বর) এটা বলছেন না যে, আব্রাহাম, ইসহাক ও ইয়াকোভ আমার "ইয়াহুয়া" নাম জানত না বরং তিনি এটাই বলছেন যে, তাঁরা আমাকে আমার "ইয়াহুয়া" নাম দ্বারা পরিচিত ছিল না, অর্থাৎ "ইয়াহুয়া" নামের "যে অর্থ বা তাৎপর্য" দাঁড়ায় সেই অর্থ বা তাৎপর্য দ্বারা তাঁরা আমার সাথে পরিচিত ছিল না। জাগতিক উদাহরণ দিয়ে যদি ব্যাপারটাকে বুঝাতে চাই তাহলে বলতে পারি, আমরা অনেক সময় কোন মানুষের সাথে সামান্য চেনা জানা থাকে ও তার নামও জানা থাকে কিন্তু তার সাথে প্রতিনিয়ত থেকে ও কথা বলে তার সম্পর্কে যে গভীরভাবে জানা তা আমাদের সাথে হয়ে ওঠে না। তাই এ ধরনের মানুষ সম্পর্কে আমাদের চেনা থাকলেও বিস্তারিত জানা থাকে না। রাব্বি রাশিও এমন এই পদের এমন ব্যাখ্যাই দিয়েছেন-
ושמי ה׳ לא נודעתי להם BUT BY MY NAME THE LORD WAS I NOT KNOWN TO THEM — It is not written here לא הודעתי [My name the Lord] I did not make known to them, but לא נודעתי [by My name, the Lord], was I not known [unto them] — i. e. I was not recognised by them in My attribute of “keeping faith”, by reason of which My name is called ה׳, which denotes that I am certain to substantiate My promise, for, indeed, I made promises to them but did not fulfill them [during their lifetime].
https://www.sefaria.org/Rashi_on_Exodus.6.3.3
এখন আমরা "ইয়াহুয়া" নামের অর্থ জানব তাহলে বিষয়টি আরো পরিস্কার হবে। ইয়াহুয়া নামের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আমরা যাত্রাপুস্তক ৩ঃ১৪ পদে পাই। এর পরের পদেই(যাত্রাপুস্তক ৩ঃ১৫) এলোহিম(ঈশ্বর) আপন নাম "ইয়াহুয়া" -কে প্রকাশ করেন-
✡️যাত্রাপুস্তক 3
14 ঈশ্বর মোশিকে কহিলেন, “আমি যে আছি সেই আছি”; আরও কহিলেন, ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে এইরূপ বলিও, “আমি আছি” তোমাদের নিকটে আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন।
15 ঈশ্বর মোশিকে আরও কহিলেন, তুমি ইস্রায়েল-সন্তানদিগকে এই কথা বলিও, ইয়াহুয়া [সদাপ্রভু], তোমাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর, অব্রাহামের ঈশ্বর, ইস্হাকের ঈশ্বর ও ইয়াকোভের ঈশ্বর তোমাদের নিকটে আমাকে পাঠাইয়াছেন; আমার এই নাম অনন্তকালস্থায়ী, এবং এতদ্দ্বারা আমি পুরুষে পুরুষে স্মরণীয়।✡️
✡️ Exodus 3:14-15
[14]And God said unto Moses, I AM THAT I AM: and he said, Thus shalt thou say unto the children of Israel, I AM hath sent me unto you.
[15]And God said moreover unto Moses, Thus shalt thou say unto the children of Israel, The LORD God of your fathers, the God of Abraham, the God of Isaac, and the God of Jacob, hath sent me unto you: this is my name for ever, and this is my memorial unto all generations.✡️
এলোহিমের(ঈশ্বরের) ইয়াহুয়া নামের এই অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হচ্ছে "আমি আছি" যা এর পূর্বে এলোহিম(ঈশ্বর) কারো কাছে প্রকাশ করেননি। "আমি আছি" এই দুটি শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক। এই এলোহিম(ঈশ্বর) অনাদিকাল থেকে ছিলেন আছেন ও থাকবেন। তিনি তাঁর লোকদের কখনও ভুলে যান না, বরং তাদের করুনা, যত্ন ও উদ্ধারের ব্যাবস্থা করেন। আক্ষরিক ও তাত্ত্বিক উভয় ক্ষেত্রেই একমাত্র মোশির সময়েই ইয়াহুয়া তার নাম(আমি আছি) দ্বারা নিজেকে প্রকাশ করেছিলেন।
আক্ষরিকভাবে কিভাবে এলোহিম(ঈশ্বর) তাঁর নাম ইয়াহুয়া দ্বারা নিজেকে প্রকাশ করেছিলেনঃ
মোশির সাথে এলোহিম(ঈশ্বর) ইয়াহুয়া যেভাবে কোন রকম সরাসরি কথা বলতেন তা অন্য কারো সাথে এর আগে বলেননি। অর্থাৎ ইয়াহুয়া নিজের প্রকাশ্য রূপেই মোশির সাথে কথা বলতেন-✡️তখন সদাপ্রভু এক মেঘস্তম্ভে অবতরণ করলেন; তিনি তাঁবুর প্রবেশপথে দাঁড়িয়ে হারোণ ও মরিয়মকে ডাকলেন। তারা উভয়েই যখন সম্মুখে এগিয়ে গেলেন, তিনি বললেন, “আমার কথা শ্রবণ করো,
“তোমাদের মধ্যে থেকে যখন কোনো ভাববাদীর নিকটে,
আমি, সদাপ্রভু, দর্শনের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করি,
আমি স্বপ্নে তাঁর সঙ্গে আলাপ করি।
কিন্তু আমার দাস মোশির সম্পর্কে তদ্রূপ নয়,
সে আমার সমস্ত গৃহের মধ্যে বিশ্বাসভাজন।
আমি তাঁর সঙ্গে সরাসরি আলাপ করি,
স্পষ্টভাষায় বলি, হেঁয়ালি করে নয়,
সে সদাপ্রভুর অবয়ব প্রত্যক্ষ করে।
তাহলে তোমরা ভীত হলে না কেন,
আমার সেবক মোশির বিপক্ষে কথা বলতে?””
গণনা পুস্তক 12:5-8✡️
এলোহিম(ঈশ্বর) মোশির সময় স্বমহিমায় উপস্থিতির মাধ্যমে তিনি তার নামের অর্থ "আমি আছি"-কে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন। তিনি তাঁর নাম দ্বারা মোশির কাছে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু এর পূর্বে এলোহিম(ঈশ্বর) নিজেকে এমন স্বমহিমায় নিজেকে উপস্থাপন করেননি। সুতরাং আব্রাহাম, ইসহাক বা ইয়াকোভ ইয়াহুয়া নাম জানলেও এই নামের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য " আমি আছি" এর বাস্তব অভিজ্ঞতা তাঁরা লাভ করেননি।
আবার মোশির সময়ে দিনরাত যে ঈশ্বরের মহিমা মেঘের রূপে সর্বক্ষণ ইস্রায়েলীদের ও মোশির সাথে ছিলেন এমন সার্বক্ষণিক অভিজ্ঞতাও এর আগের কেউ কখনও লাভ করেনি। এখানেও এলোহিম(ঈশ্বর) তাঁর "আমি আছি" নামের প্রতীক "ইয়াহুয়া" কে বাস্তব অভিজ্ঞতায় পরিণত করেছিলেন। আমরা বাইবেলে এর বিবরণ দেখি-
✡️অতএব ইস্রায়েলীদের সব যাত্রায় তাদের সকলের দৃষ্টিগোচরে দিনের বেলায় সদাপ্রভুর(ইয়াহুয়ার) মেঘ সমাগম তাঁবুর উপরে থাকত, এবং রাতের বেলায় সেই মেঘে আগুন থাকত।
যাত্রা পুস্তক 40:38✡️
আবার তাঁরা(ইস্রায়েলীরা) প্রতিদিন যেমন ইয়াহুয়া থেকে প্রতিনিয়ত মান্না খাদ্যরূপে পেয়ে ঈশ্বরের উপস্থিতি নিজেদের সাথে উপলব্ধি করতেন এটাও এর আগে কোন জনগোষ্ঠী কখনও অভিজ্ঞতা লাভ করেনি-
✡️শিশির সরে যাওয়ার পর, মরুভূমির জমিতে হিমকণার মতো পাতলা আঁশ আবির্ভূত হল। ইস্রায়েলীরা যখন তা দেখল, তখন তারা পরস্পরকে বলল, “এটি কী?” কারণ সেটি কী তা তারা জানতে পারেনি।
মোশি তাদের বললেন, “এ হল সেই খাদ্য যা সদাপ্রভু তোমাদের খেতে দিয়েছেন।
ইস্রায়েলীরা যতদিন না স্থায়ী এক দেশে এল, ততদিন 40 বছর ধরে মান্না খেয়েছিল; কনানের সীমানায় পৌঁছানো পর্যন্ত তারা মান্না খেয়েছিল।”
যাত্রা পুস্তক 16:14-15, 35✡️
উপরের বর্ণনায় আমরা এটা বুঝলাম যে, এলোহিম(ঈশ্বর) তাঁর ব্যক্তিগত নাম "ইয়াহুয়া", যে নামের মূল তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ হল " আমি আছি" এই নামের আক্ষরিক অর্থ দ্বারাই ইস্রায়েলীদের সাথে বাস্তবে দর্শনীয় ও কার্যকারণরূপে ছিলেন। সুতরাং আলোচনার মূল বিষয় " ইয়াহুয়া নামের দ্বারা এলোহিম(ঈশ্বর) আব্রাহাম, ইসহাক ও ইয়াকোভের কাছে পরিচিত ছিলেন না" এটি শুধুমাত্র আক্ষরিকভাবেই সত্য তা নয় বাইবেলের নিগুঢ়তত্ত্ব ও জ্ঞানের অন্যতম প্রকাশও বটে।
তাত্ত্বিকভাবে কিভাবে এলোহিম(ঈশ্বর) তাঁর নাম ইয়াহুয়া দ্বারা নিজেকে প্রকাশ করেছিলেনঃ
শুধু আক্ষরিকভাবেই নয়, তাত্ত্বিকভাবেও "ইয়াহুয়া" নামটি শুধুমাত্র মোশির সময়ে পূর্ণতা পেয়েছিল। এলোহিম(ঈশ্বর) মোশিকে যেমন বিস্তারিত বিধি বিধান ও আজ্ঞা দিয়েছিলেন, এর পূর্বে আর কারো কাছেই এমনভাবে তা প্রকাশ করা হয়নি। বাইবেল বলছে-
✡️পরে মোশি এই বিধান লিখলেন এবং লেবি গোষ্ঠীর যাজকেরা, যারা সদাপ্রভুর নিয়ম-সিন্দুক বয়ে নিয়ে যেতেন, তাঁদের ও ইস্রায়েলের সমস্ত বয়স্ক নেতাদের হাতে দিলেন।
দ্বিতীয় বিবরণ 31:9✡️
এই বিধি বিধান পালনের মধ্য দিয়ে ইস্রায়েল সন্তানদের সাথে এলোহিমের(ঈশ্বরের) সাথে সহাবস্থান নিশ্চিত হত। এই কথাটি আমরা বাইবেলের এই বাক্যাংশ থেকে নিশ্চিত হব-
✡️আর ইয়াহুয়া(সদাপ্রভু) মোশিকে বললেন, “তুমি তোমার পূর্বপুরুষদের কাছে বিশ্রাম করতে যাবে, কিন্তু যে দেশে এই লোকেরা ঢুকতে যাচ্ছে সেখানে খুব শীঘ্রই তারা বিজাতীয় দেবতাদের কাছে নিজেদের বিক্রি করবে। তারা আমাকে ত্যাগ করবে এবং আমি তাদের জন্য যে বিধান স্থাপন করেছি তা ভেঙে ফেলবে। আর সেদিন ক্রোধে আমি তাদের ত্যাগ করব; আমি তাদের কাছ থেকে আমার মুখ ফিরিয়ে নেব আর তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাদের উপরে অনেক বিপর্যয় ও দুঃখকষ্ট নেমে আসবে আর সেদিন তারা জিজ্ঞাসা করবে, ‘আমাদের ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে নেই বলেই কি এই বিপর্যয় আমাদের উপরে এসেছে?’”
দ্বিতীয় বিবরণ 31:16-17✡️
এলোহিমের(ঈশ্বরের) এই পূর্ণাঙ্গ বিধান এর পূর্বের লোকেরা পায়নি এবং জাতি হিসাবে এলোহিমের সাথে থাকার অনুভূতিও তারা অর্জন করতে পারেনি।
বাইবেলের অনেক স্থানে এলোহিমের(ঈশ্বরের) নামকে একটা বৃহৎ বিষয়ের সংক্ষিপ্তরূপে দেখানো হয়েছে। যেখানে ইয়াহুয়া নামকে শুধুমাত্র নাম নয়, বরং এর সাথে জড়ানো আদেশ, নিষেধ, প্রথা সবকিছুকেই একত্রে বুঝিয়েছে। আমরা নীচের ভার্সগুলো একটু অনুধাবন করলেই ব্যাপারটি বুঝতে পারব-
✡️দিনরাত এই মন্দিরের প্রতি, এই যে স্থানটির বিষয়ে তুমি বলেছ যে তুমি সেখানে তোমার নাম বজায় রাখবে, তোমার চোখ-দুটি যেন খোলা থাকে। এই স্থানটির দিকে তাকিয়ে করা তোমার দাসের প্রার্থনা যেন তুমি শুনতে পাও।
2 বংশাবলি 6:20
সব জাতির লোকেরা তাদের নিজস্ব
দেবতার নামে চলতে পারে,
কিন্তু আমরা চিরকাল আমাদের
ঈশ্বর ইয়াহুয়ার(সদাপ্রভুর) নামে চলব।
মীখা 4:5
আর যে কেউ ইয়াহুয়ার(সদাপ্রভুর) নামে ডাকবে,
সে পরিত্রাণ পাবে;
কারণ ইয়াহুয়ার(সদাপ্রভুর) কথামতো সিয়োন পর্বত ও জেরুশালেমে,
কিছু মুক্তিপ্রাপ্ত লোকের দল থাকবে;
আর অবশিষ্ট লোকেদের মধ্যেও থাকবে,
যাদের ইয়াহুয়া(সদাপ্রভু) আহ্বান করেছেন।
যোয়েল 2:32
তখন যদি যারা আমার নামে পরিচিত, আমার সেই প্রজারা নিজেদের নম্র করে ও প্রার্থনা করে ও আমার মুখের অন্বেষণ করে এবং তাদের পাপপথ ছেড়ে ফিরে আসে, তবে স্বর্গ থেকে আমি তা শুনব, ও আমি তাদের পাপ ক্ষমা করব এবং তাদের দেশকে সারিয়ে তুলব।
2 বংশাবলি 7:14✡️
সুতরাং ইয়াহুয়ার নামে পরিচিত মানুষ কিভাবে হবে? শুধুই তাঁর পবিত্র নামে নয়, বরং এই নাম ও নামের সাথে জড়ানো আদেশ, নিষেধ, ব্যবস্থার মাধ্যমে।
সুতরাং আক্ষরিক ও তাত্ত্বিক উভয় ক্ষেত্রেই একমাত্র মোশির সময়েই এলোহিম(ঈশ্বর) তাঁর মহাপবিত্র নাম "ইয়াহুয়া" কে বাস্তব রূপ দিয়েছিলেন। এই কারণে এই নাম পূর্ববর্তীগণ জানলেও এই নামের বাস্তব পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা তাঁরা বা তাঁদের বংশধররা অর্জন করে নাই।
>>>>Daniel Stephen
0 coment rios: