Wednesday, October 5, 2022

“ঈশ্বরের বাক্য” উপাধির দ্বারা কি মসীহের ঈশ্বরত্বের প্রকাশ পায়?


লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

সমালোচক দাবি করেছেন “ঈশ্বরের বাক্য” উপাধির দ্বারা নাকি মসীহের ঈশ্বরত্বের প্রকাশ পায় না। তার জন্য অনেক বড় ব্যাখ্যা করেছেন। আমি তার প্রতিটি পয়েন্ট খন্ডন করছি এবং প্রকৃত সত্যটি তুলে ধরছি।

 

“ঈশ্বরের বাক্য” বলতে ইহুদিরা কি বুঝে?

ইহুদিরা ঈশ্বরের বাক্যকে “হুবহু ঈশ্বরের প্রকাশ/ ঈশ্বর” হিসাবে জানেঃ

You have chosen the Word of the Lord to be King over you this day, that He may be your God.[1]

And the Word of the Lord said to Mosheh, He who spake to the world, Be, and it was; and who will speak to it, Be, and it will be. And he said, Thus shalt thou speak to the sons of Israel, EHEYEH hath sent me unto you.[2]

And Hagar gave thanks, and prayed in the Name of the Word of the Lord, who had been manifested to her, saying, Blessed be Thou, Eloha, the Living One of all Ages, who hast looked upon my affliction. For she said, Behold, Thou art manifested also unto me, even as Thou wast manifested to Sara my mistress.[3]

 

ইহুদিরা ঈশ্বরের বাক্যকে সৃষ্টা হিসাবে জানেঃ


1. From the beginning1 with wisdom  the M emra2 o f the Lordb 3 created and perfected the heavens and the earth. 2. And the earth was waste4 and unform ed/ desolate o f m ands and beast, empty o f plant cultivation and o f trees, and darkness was spread over the face of the abyss; and a spirit o f mercy from before the Lord was blowing over the surface of the waters. 3. And the Memra of the Lord said: “Let there be light”; and there was light according to the decree of his Memra.e 4. And it was manifest before the Lord that the light^ was good;

এখানে বলা হয়েছে ইয়াওয়ে এলোহীমের মেমরা/Wisdom  হলেন “ঈশ্বরের পুত্র”

“Text: “in wisdom the son of the Lord (br’ dyyyy)”[5]



হিব্রু মেমরা গ্রীক প্রতিশব্দ হলো লোগসঃ Ma'amar" or "Dibbur," "Logos"

"The Word," in the sense of the creative or directive word or speech of God manifesting His power in the world of matter or mind; a term used especially in the Targum as a substitute for "the Lord" when an anthropomorphic expression is to be avoided.- Kaufmann Kohler, Ph.D.

Rabbi Emeritus of Temple Beth-El, New York; President of the Hebrew Union College, Cincinnati, Ohio.[6]

 

And the Word of the Lord God said, Behold, Adam whom I have created is sole in my world, as I am sole in the heavens above. It is to be that a great people are to arise from him; from him will arise a people who will know how to discern between good and evil. And now it is good that we keep him from the garden of Eden before he stretch forth his hand and take also of the fruit of the tree of life, and eat, and live for ever.[7]

And the Word of the Lord created man in His likeness, in the likeness of the presence of the Lord He created him, the male and his yoke-fellow He created them.[8]

 

ইহুদিরা “ঈশ্বরের বাক্যকে” রাজা হিসাবে জানে, যিনি সমস্ত আত্না এবং সমগ্র মানব জাতিকে শাসন করেনঃ

The Word of the Lord the God who ruleth over the spirit of all flesh, appoint a praiseworthy man over the people of the conaregation.[9]

 

ইহুদিরা বিশ্বাস করে “ঈশ্বরের বাক্য এক সময়ে তাদের মধ্যেই প্রকাশিত হবেন এবং তাদের আশীর্বাদ করবেনঃ

And all the people saw the thunders and the lights, and the sound of the trumpet, and the mountain smoking; and the people saw and trembled, and stood afar off. An altar grounded in the earth shalt thou make unto My name, and shalt offer upon it your burnt offerings and sacred oblations, your sheep and your oxen. In every place in which ye shall memorialize My holy Name, My Word shall be revealed to you, and bless you.[10]

 

ইহুদিরা বিশ্বাস করে “ঈশ্বরের বাক্য” নবীদের কাছে প্রকাশিত হয়েছিলেনঃ                                       

And the Lord was revealed in His Word unto Abraham, to Izhak, and to Jakob, as the God of Heaven; but the Name of the Word of the Lord was not known to them.[11]

 

তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি যে খ্রীষ্ট ধর্মের সূচনার পূর্বেই ইহুদিরা ঈশ্বরের বাক্যকে “Image of God /Son of  God/ Divine Person” হিসাবে জানত, যিনি সৃষ্টির সময়ে ইয়াওয়ে এলোহীমের [সদাপ্রভু ঈশ্বরের] সাথে ছিলেন, যিনি নিজেই ইয়াওয়ে এলোহীমের হুবহু প্রকাশ ছিলেন, তাকে ছাড়া কোন কিছুই সৃষ্টি হয় নি। এই কথাটির সারমর্ম প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রিয় শিষ্য যোহন তার সুসমাচারের আরাম্ভে বলেছিলেন,

In the beginning was the Word, and the Word was with God, and the Word was God. And the Word was made flesh, and dwelt among us, (and we beheld his glory, the glory as of the only begotten of the Father,) full of grace and truth.[12]

 

“ঈশ্বরের বাক্য” বলতে খ্রীষ্টানরা কি বুঝে?

খ্রীষ্টানরা  ঈশ্বরের বাক্যকে “হুবহু ঈশ্বরের প্রকাশ” হিসাবে জানেঃ

In the beginning was the Word, and the Word was with God, and the Word was God.[13]

বাংলা অনুবাদঃআদিতে বাক্য ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বরের সহিত ছিলেন, এবং বাক্য ঈশ্বর ছিলেন”-উইলিয়াম কেরী

Who being the brightness of his glory, and the express image of his person, and upholding all things by the word of his power, when he had by himself purged our sins, sat down on the right hand of the Majesty on high:[14]

বাংলা অনুবাদঃ “সেই পুত্রই ঈশ্বরের মহিমার বিচ্ছুরণ এবং তাঁর সত্তার যথার্থ প্রতিরূপ, যিনি তাঁর তেজোদৃপ্ত বাক্যের দ্বারা সবকিছুই ধারণ করে আছেন সব পাপ ক্ষমা করার কাজ সম্পন্ন করার পর, তিনি স্বর্গে ঐশ-মহিমার ডানদিকে উপবেশন করেছেন”- বাংলা সমকালীন সংস্করণ

খ্রীষ্টানরা “ঈশ্বরের বাক্যকে” প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নামে জানে। যিনি প্রতিজ্ঞা অনুসারে তিনি ইহুদিদের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছিলেনঃ

 And the Word was made flesh, and dwelt among us, (and we beheld his glory, the glory as of the only begotten of the Father,) full of grace and truth.[15]

বাংলা অনুবাদঃ “আর সেই বাক্য মাংসে মূর্তিমান হইলেন, এবং আমাদের মধ্যে প্রবাস করিলেন, আর আমরা তাঁহার মহিমা দেখিলাম, যেমন পিতা হইতে আগত একজাতের মহিমা; তিনি অনুগ্রহে ও সত্যে পূর্ণ-উইলিয়াম কেরী

And he was clothed with a vesture dipped in blood: and his name is called The Word of God.[16]

বাংলা অনুবাদঃ আর তিনি রক্তে ডুবান বস্ত্র পরিহিত; এবং ‘‘ঈশ্বরের বাক্যএই নামে আখ্যাত -উইলিয়াম কেরী

খ্রীষ্টানরা ঈশ্বরের বাক্যকে সৃষ্টা হিসাবে জানেঃ

All things were made by him; and without him was not any thing made that was made.[17]

বাংলা অনুবাদঃ “সকলই তাঁহার দ্বারা হইয়াছিল, যাহা হইয়াছে, তাহার কিছুই তাঁহা ব্যতিরেকে হয় নাই”-উইলিয়াম কেরী

But Jesus answered them, My Father worketh hitherto, and I work.[18]

বাংলা অনুবাদঃ কিন্তু যীশু তাহাদিগকে এই উত্তর দিলেন, আমার পিতা এখন পর্যন্ত কার্য করিতেছেন, আমিও করিতেছি-উইলিয়াম কেরী

ইহুদি এবং খ্রীষ্টানদের মধ্যেঈশ্বরের বাক্যসম্পর্কে বিশ্বাস এক  দুই সম্প্রদায়ের লোকেরাই ঈশ্বরের বাক্যকে Image of God /Son of  God/Divine Person” হিসাবে বিশ্বাস করে  ইসলাম ধর্মের সূচনার পূর্ব থেকেই এই বিশ্বাস চলে আসছে এখন ইসলাম যদি এর ভিন্নরুপ ব্যাখ্যাও প্রদান করে তাতে করে আমাদের কিছুই আসে যায় না। কারন ইসলাম আসার হাজার-হাজার বছর আগে থেকে এই শিক্ষা পবিত্র শাস্ত্রের দ্বারা প্রমানিত হয়েছে।

 

ঈশ্বরের বাক্য/আল্লাহর কালাম” বলতে মুসলিমরা কি বুঝে?

প্রথমেই আমাদের যেটা জানা প্রয়োজন ইসলাম ধর্মের যে  থিওলজী গুলো আছে তার পক্ষে এবং বিপক্ষে  উভয় দিকেই ইসলামিক স্বলাররা আছে।  “ঈশ্বরের বাক্য/আল্লাহর কালাম” এই বিষয়েও সমালোচক মহাদয় ইসলামের এক পক্ষের রায় তার লেখায় পেশ করেছেন যা আমার কাছে খুবই দূর্বল বলে মনে হয়েছে। 

ইসলামিক স্বলাররা নিজেরাই এক মত নয় যে আল্লাহর কালাম সৃষ্ট নাকি অসৃষ্ট এই বিষয়েও তাদের থিওলজী দুই ভাগে বিভক্ত রয়েছেঃ

ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহর কথা থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, আল্লাহ তাআলা অনাদি থেকেই যখন ইচ্ছা কথা বলেন এবং আল্লাহ তাআলার কালাম কাদীম অনাদি শ্রেণীর সিফাতের অন্তর্ভুক্ত ফিকহুল আকবারে ইমাম আবু হানীফা রহিমাহুল্লাহ যা বলেছেন, তা থেকেও সুস্পষ্ট এটি বুঝা যাচ্ছে তিনি বলেন, কুরআন মুসহাফে লিখিত রয়েছে, হাফেযদের বক্ষে সংরক্ষিত আছে, মানুষের জবান দিয়ে তা পাঠ করা হচ্ছে, এটি নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর নাযিল হয়েছে, জবান দ্বারা আমাদের কুরআন পাঠ করা মাখলুক, কিন্তু কুরআন মাখলুক নয় আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে মুসা আলাইহিস সালাম ও অন্যান্য নাবীদের ব্যাপারে যা উল্লেখ করেছেন এবং ফেরাউন ও ইবলীস সম্পর্কে যা বর্ণনা করেছেন, তাও আল্লাহর কালাম আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পর্কে খবর দিয়েছেন মুসা আলাইহিস সালাম এবং অন্যান্য সৃষ্টির কালামও সৃষ্টি কুরআন আল্লাহর কালাম; সৃষ্টির কালাম নয় মুসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তাআলার কালাম শুনেছেন আল্লাহ তাআলা যখন মুসা আলাইহিস সালামের সাথে কথা বলেছেন, তখন তিনি তার সে অনাদি সিফাতের মাধ্যমে কথা বলেছেন তার সমস্ত সিফাত সৃষ্টির সিফাতের মতো নয় আল্লাহ তাআলার ইলম রয়েছে, কিন্তু তার ইলম আমাদের ইলমের মত নয়, তার ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু তার ক্ষমতা আমাদের ক্ষমতার মত নয়, তিনি দেখেন, কিন্তু তার দেখা আমাদের দেখার মত নয়, তিনি কথা বলেন, কিন্তু তার কথা আমাদের কথার মত নয়...... ইমাম আবু হানীফা রহিমাহুল্লাহর কথা এখানেই শেষ[19]

আল্লাহর অনেক সিফাত রয়েছেএই সিফাত সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রসিদ্ধ যে সিফাত রয়েছে,সেগুলোর অধিকাংশই আমরা হাদীসে বর্ণিত ৯৯টা সিফাতি নামে দেখতে পাই আল্লাহর সিফাত হল,কালামতথা আল্লাহ বক্তা,আল্লাহ কথা বলেন,আদেশ নাযিল করে,ইত্যাদি আমরা যদি কুরআন কে আল্লাহর সিফাতে কালাম মনে করি,তাহলে আল্লাহ যেভাবে ক্বাদীম,কুরআনও ঠিক সেভাবে ক্বাদীমযা কখনো শেষ হবে না, ধংস হবে না আর যদি আমরা কুরআনকে আল্লাহর তৈরীকৃত কোনো জিনিষ মনে করি,তাহলে এর অর্থ হবে,কুরআন নবসৃষ্ট, যার শুরু রয়েছে,এবং যা একদিন ধংস হয়ে যাবে সুতরাং কুরআন হল,আল্লাহর সিফাতে কালামের অংশ যা ক্বাদীম,হাদীস নয়[20]

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. বলেন,
والقرآن كلام الله، ليس بمخلوق، فمن زعم أن القرآن مخلوق فهو جهمي كافر ومن زعم أن القرآن كلام الله عز وجل ووقف ولم يقل مخلوق ولا غير مخلوق: فهو أخبث من الأول،
কুরআন আল্লাহ কালাম (বাণী); মাখলুক বা সৃষ্ট নয় যে ব্যক্তি মনে করে যে, কুরআন আল্লাহর মাখলুক (সৃষ্ট) সে জাহমী-কাফির আর যে ব্যক্তি কুরআন আল্লাহর কালাম বলে চুপ থাকে- মাখলুক না কি মাখলুক নয় সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করে না-সে ১ম ব্যক্তির থেকেও নিকৃষ্ট

ইমাম ইবনে আব্দুল ইয আল হানাফি (তাহাবীয়া গ্রন্থের ভাষ্যকার), বলেন:
فأهل السنة كلهم من أهل المذاهب الأربعة وغيرهم من السلف والخلف متفقون على أن كلام الله غير مخلوق
চার মাযহাব সহ পূর্বসূরি ও পরবর্তী মনিষীদের সকলেই একমত যে, আল্লাহর কালাম মাখলুক নয়

ইমাম ইবনে তাইয়িমা রাহ .এর ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ়তা সূলভ বক্তব্য আছে তিনিকুরআন আল্লাহর সৃষ্টিমতবাদে বিশ্বাসীদেরকে অত্যন্ত শক্তিশালীভাবে জবাব দিয়েছেন[21]

একদল বিশ্বাস করে আল্লাহর কালাম অসৃষ্ট আবার একদল আছে যারা বলে আল্লাহর কালাম সৃষ্ট

ইতিহাস বলে, সর্বপ্রথম কতিপয় বাতিল ফিরকা ও বিদআতি গোষ্ঠী যেমন মুতাযিলা, জাহমিয়া এবং আহলুল কালাম বা যুক্তিবিদরাকুরআন আল্লাহর সৃষ্টিবলে বিতর্ক সৃষ্টি করে এ মতবাদ দ্বারা তারা আল্লাহর সকল সিফাতকে অস্বীকার করতে চায়

এ মতবাদকে কেন্দ্র করে আব্বাসিয় ও উমাইয়া খেলাফত কালীন সময় মুসলিমদের মাঝে এক চরম ফিতনা-ফ্যাসাদের সৃষ্টি হয় বিদআতিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আব্বাসী খলীফা মামুন (আব্বাসীয় খেলাফতের ৭ম খলীফা হারুনুর রশীদ এর ছেলে তার প্রকৃত নাম আব্দুল্লাহ-মৃত্যু ২১৮ হিজরি) এই মতবাদে বিশ্বাসী হওয়ায় সমগ্র মুসলিম বিশ্বে তা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে এবং যারা এ মতবাদকে গ্রহণ করতে রাজি হয় নি তাদেরকে অনেক জুলুম-নির্যাতন করে বিরোধী মতের সকল কাজী বা বিচারকদেরকে পদচ্যুত করে আহলুস সুন্নাহর মহান ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ. সহ অনেক আলেমের প্রতি নিষ্ঠুর অত্যাচার করে অবশেষে খলীফা মুতাওয়াক্কিল ক্ষমতায় এসে এই ফেতনার সমাপ্তি ঘটান এবং জেলবন্দিদেরকে বের করে আনেন[22]

এখানে বিষয়টি পরিস্কার যে কালাম অসৃষ্ট নাকি সৃষ্ট তা নিয়ে তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত রয়েছে। এক দল বলছে কালাম অসৃষ্ট আবার এক দল বলছে কালাম সৃষ্ট। বর্তমানের মুসলিমরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টের বেলায় ২য় দলের ব্যাখ্যা প্রদান করেন যারা বিশ্বাস করেন যে আল্লাহর কালাম সৃষ্ট। তবে এটা তাদের গোজামেল মার্কা ব্যাখ্যা একটু পরেই তা বুঝতে পারবেন।

কুরআন আল্লাহর কালাম বলতে কি বুঝিয়েছে?

স্মরণ কর, যখন ফেরেশতারা বলল, ‘হে মারইয়াম, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটি কালেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন, যার নাম মসীহ ঈসা ইবনে মারইয়াম, যে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত এবং নৈকট্যপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত আল-বায়ান[23]

এখানে  ঈসা মসীহকে সরাসরি “বিকালিমাতিম্ আল্লাহর কালাম বলা হয়েছে ইবনে আব্বাস বলেছেন ঈসা মসীহ আল্লাহর কালামঃ

আল তাবারী খন্ডঃ৫ পৃঃ৩৯১

 

এই কালিমাতিম শব্দটি কুরআনে অন্যান্য জায়গায় ব্যবহৃত হয়েছে।

যেমন সূরা৩:৩৯,

অতঃপর ফেরেশতারা তাকে ডেকে বলল, সে যখন কক্ষে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিল, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাকে ইয়াহইয়া সম্পর্কে সুসংবাদ দিচ্ছেন, যে হবে আল্লাহর পক্ষ থেকে বাণীর সত্যায়নকারী, নেতা ও নারী সম্ভোগমুক্ত এবং নেককারদের মধ্য থেকে একজন নবী আল-বায়ান

এখাণে সুস্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে ঈসা মসীহ যে কালিমাতুল্লাহ তার সত্যায়নকারী হলেন ইয়াহইয়াএখানে কি সমালোচক মহাদয় বলতে পারবেন যে উক্ত আয়াতে আল্লাহর কালাম সৃষ্ট? বা এই আয়াতে মসীহের বিষয়ে বলছে না? এর উত্তর আমরা ইসলামের সবচেয়ে প্রাচীন তাফসীরকারী আল-তাবারীর কাছে নিই।

আল তাবারী খন্ডঃ৫ পৃঃ৩৬৯

এখানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে সূরা৩:৩৯ আল্লাহর বানী হলেন ঈসা মসীহ এখানে বলা হয় নি যে, ঈসা মসীহ কোন বাক্যের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছেন যেমন বর্তমান মুসলিমরা বলে থাকেন। এছাড়াও আল-তাবারীতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে ঈসা মসীহ তিনি আল্লাহর কালাম এবং তার রূহঃ 

   আল তাবারী খন্ডঃ৫ পৃঃ৩৭০

ইয়াহইয়া তার মায়ের গর্ভে থাকাকালীন সময়ে ঈসা মসীহকে সিজদা করে প্রমান দেন যে ঈসা মসীহই আল্লাহর জীবন্ত কালাম সেই সময়ে ঈসা মসীহ বিবি মরিয়মের গর্ভে ছিলেনঃ

   আল তাবারী খন্ডঃ৫ পৃঃ৩৭০

 

হযরত মুহাম্মদ পর্যন্ত স্বীকার করেছেন যে ঈসা মসীহ আল্লাহ কালাম এবং রূহঃ

হাদিস একাডেমি নাম্বারঃ ৪৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ২৮

৪৬-(৪৬/২৮) দাউদ ইবনু রুশায়দ ..... উবাদাহ্ ইবনু সামিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বলে, “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই, তিনি একক এবং মুহাম্মাদসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বান্দা ও রাসূল, আর নিশ্চয় ঈসা (আঃ) আল্লাহর বান্দা, তার বান্দীর (মারইয়ামের) পুত্র ও তার সে কালিমা- যা তিনি মারইয়ামকে পৌছিয়েছেন এবং তার পক্ষ থেকে প্রেরিত একটি রূহ মাত্র, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, আল্লাহ তাকে জান্নাতের আটটি দরজার যেটি দিয়ে প্রবেশ করাতে চাইবেন, প্রবেশ করাবেন।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৭, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪৮)[24]

এখানে কোন কিছুই রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয় নি কারন এখানে একই সাথে হযরত মুহাম্মদকে আল্লাহর বান্দা এবং রাসূল বলা হয়েছে। রূপক অর্থে যদি ব্যবহৃত হতো তবে আমিও দাবি করতে পারি হযরত আল্লাহর বান্দা নন এবং তার রাসূল নন, এর পাশাপাশি এটাও বলা যায় জান্নাত জাহান্নাম এসব রূপক কথা মাত্র!!! কিন্তু আশ্চর্য বিষয় হলো বর্তমান মুসলিম দাঈরা হযরত মুহাম্মদের বিষয়টাকে আক্ষরিক ভাবে নিচ্ছে জান্নাত জাহান্নামের বিষয় টাকেও আক্ষরিক ভাবে নিচ্ছে কিন্তু ঈসা মসীহের সময়ে তারা একি বাক্যে রূপক আবিস্কার করে ঈসা মসীহের প্রভুত্বকে অস্বীকার করছে। যদিও হযরত মুহাম্মদ বলে যান নাই যে ঈসা মসীহের সময়ে আমি রূপক বলেছি আর বাকি গুলো আমি আক্ষরিক বলেছি। (যদি এমন কোন দলিল কোন মুসলিম পেশ করতে পারে ত পেশ করুক।) এটাকে ইংরেজী ভাষায় বলে double standard

হাদিসে শেষ বিচারের দিনে সম্পর্কে  বলতে গিয়েও এটা স্বীকার করা হয়েছে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আল্লাহর কালাম এবং তার রূহঃ

সহিহ বুখারী৪৭১২

“…তোমরা অন্যের কাছে যাও- যাও ঈসা (‘.)-এর কাছে তখন তারা ঈসা (‘.)-এর কাছে এসে বলবে, হে ঈসা (‘.)! আপনি আল্লাহ্ রসূল এবং কালিমাহ , যা তিনি মারইয়াম (‘.)-এর উপর ঢেলে দিয়েছিলেন আপনিরূহ আপনি দোলনায় থেকে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন[25]

 

ঈশ্বরের বাক্য [আল্লাহর কালাম] সম্পর্কে ইসলাম ধর্মের এক দল স্কলারগন ইহুদি ধর্ম, খ্রীষ্ট ধর্মের সাথে একমত পোষণ করেন। কিন্তু আরেক দল কিছু গোজামেল যুক্তি দিয়ে দাবি করেন ঈসা মসীহ আল্লাহর কালাম নন, বরং এক ধাপ এগিয়ে  বলেন আল্লাহ কালামের দ্বারা সৃষ্টি। ইহুদিদের এবং খ্রীষ্টান থিওলজি আরবের লোকেদের বোঝা এতো সহজ ছিল না কারন তারা পৌত্তলিক সমাজ থেকে এসেছে। তাদের মধ্যে থেকে Jewish literature  এবং Christology  বোঝা এত সহজ ছিল নাযার জন্য উক্ত বিষয়ে তারা নিজেরাই দুই দলে বিভক্ত হয়েছে এবং নিজেদের মতন মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়েছেন।


সত্যি কি ঈসা মসীহ আল্লাহর কালামের দ্বারা সৃষ্টি?

মারইয়াম বলল, ‘হে আমার রব, কিভাবে আমার সন্তান হবে? অথচ কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি’! আল্লাহ বললেন, ‘এভাবেইআল্লাহ যা চান সৃষ্টি করেন তিনি যখন কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাকে শুধু বলেন, ‘হও ফলে তা হয়ে যায়  আল-বায়ান[26]

নিশ্চয় আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের মত, তিনি তাকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তাকে বললেন, ‘হও’, ফলে সে হয়ে গেল আল-বায়ান[27]

মুসলিম দাঈরা এই আয়াত দেখিয়ে দাবি করেন আল্লাহ কুন-ফায়াকুনের দ্বারা নাকি ঈসা মসীহের সৃষ্টি করেছেন কুন-ফায়াকুন এর দ্বারা মোটেই ঈসা মসীহের সৃষ্টি হয় নি আসুন দেখি এই আয়াতে কি ধরনের ভুল কথা লেখা আছে!!! 

প্রথম ভূলঃ  মোটেই ঈসা এবং আদম মতন মাটি দ্বারা সৃষ্টি  হন নাই

দ্বিতীয় ভূলঃ আল্লাহ মোটেই আদমকে কুন-ফায়াকুনের দ্বারা সৃষ্টি করেন নাই বরং আল্লাহ শুকনো মাটি দিয়ে একটি মানুষের মূর্তি তৈরী করে তার মধ্যে আত্মা প্রবেশ করে তার সৃষ্টি সম্পন্ন করেন:

আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে, কালচে কাদামাটি থেকে আল-বায়ান[28]

স্মরণ কর, যখন তোমার রব ফেরেশতাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আমি মাটি হতে মানুষ সৃষ্টি করবযখন আমি তাকে সুষম করব এবং তার মধ্যে আমার রূহ সঞ্চার করব, তখন তোমরা তার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত হয়ে যাও আল-বায়ান[29]

রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)  ১৮/ বিবিধ চিত্তকর্ষী হাদিসসমূহ 

তাওহীদ পাবলিকেশন নাম্বারঃ ১৮৫৫, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ১৮৪৬

৩৯/১৮৫৫ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’ফিরিশতাদেরকে জ্যোতি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে জিন জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে অগ্নিশিখা হতে আর আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে সেই বস্তু থেকে, যা তোমাদেরকে বর্ণনা করা হয়েছে [অর্থাৎ মাটি থেকে]’’ (মুসলিম)[1]

[1] মুসলিম ২৯৯৬, আহমাদ ২৪৬৬৮, ২৪৮২৬[30]

 সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

২৯৫৫. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... আবূ মূসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এক মুঠ মাটি নিয়ে আল্লাহ্ তাআলা আদম (আঃ)-কে বানিয়েছেন যমীনের বৈশিষ্ট্য অনুসারে আদম সন্তানরা এসেছে তাদের মধ্যে কেউ লাল, কেউ সাদা, কেউ কাল, আর কেউ বা এর মাঝামাঝি তাদের কেউ কোমল, কেউ কঠোর, কেউ মন্দ, কেউ বা ভাল

সহীহ, মিশকাত ১০০, সহীহাহ ১৬৩০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৯৫৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন: হাদীসটি হাসান-সহীহ[31]

এখানে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে আল্লাহর মুখের কথায় মোটেই আদম সৃষ্টি হন নি বরং কুরআনের এই দাবিটাই ভিত্তিহীন।

তৃতীয় ভূলঃ ঈসা মসীহ আল্লাহর কাথার দ্বারা সৃষ্টি হন নাই। কুরআনে ঈসা মসীহের জন্মের ঘটনায় কিছু নোংরা কথা রয়েছে যা একজন খ্রীষ্টান হিসাবে বিশ্বাস করা অসম্ভব।

আসুন কুরআন থেকে প্রমানিত করি যে ঈসা মসীহ এবং আদম আল্লাহর কুন-ফায়া-কুনের দ্বারা সৃষ্টি হন নাই।

আর স্মরণ কর এই কিতাবে মারইয়ামকে যখন সে তার পরিবারবর্গ থেকে পৃথক হয়ে পূর্ব দিকের কোন এক স্থানে চলে গেল আর সে তাদের নিকট থেকে (নিজকে) আড়াল করল তখন আমি তার নিকট আমার রূহ (জিবরীল) কে প্রেরণ করলাম অতঃপর সে তার সামনে পূর্ণ মানবের রূপ ধারণ করলমারইয়াম বলল, ‘আমি তোমার থেকে পরম করুণাময়ের আশ্রয় চাচ্ছি, যদি তুমি মুত্তাকী হও সে বলল, ‘আমি তো কেবল তোমার রবের বার্তাবাহক, তোমাকে একজন পবিত্র পুত্রসন্তান দান করার জন্য এসেছি মারইয়াম বলল, ‘কিভাবে আমার পুত্র সন্তান হবে? অথচ কোন মানুষ আমাকে স্পর্শ করেনি আর আমি তো ব্যভিচারিণীও নই সে বলল, ‘এভাবেই তোমার রব বলেছেন, এটা আমার জন্য সহজ আর যেন আমি তাকে করে দেই মানুষের জন্য নিদর্শন এবং আমার পক্ষ থেকে রহমত আর এটি একটি সিদ্ধান্তকৃত বিষয়তারপর সে তাকে গর্ভে ধারণ করল এবং তা নিয়ে দূরবর্তী একটি স্থানে চলে গেল  -আল-বায়ান[32]

এখানে ঈসা মসীহের জন্মের বিষয়ে লেখা হয়েছে কিন্তু এখানে দেখা যায় আল্লাহ তার রূহকে মরিয়মের কাছে পাঠালেন এবং তারপরে সে এসে তাকে গর্ববতী করে গেলেন ইসলামি বিশ্বাস অনুসারে মরিয়মের গোপন অঙ্গে ফুঁ দিয়ে তাকে গর্ববতী করা হয়েছিল (লজ্জার  বিষয়) এটা কুরআনেই লেখা আছে,


[33]

এখানে সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে মরিয়ম নিজের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে রেখে ছিল তারপরে আল্লাহ না হয় জিব্রাইল এনাদের মধ্যে কেউ একজন সেখানে ফুঁ দিয়ে ছিলেন চলুন এবারে আমরা আরবী থেকে আমার দাবিটি প্রমানিত করিঃ


অর্থাৎ আল্লাহ মরিয়মের ফারজাহা[فَرْجَهَا] তে ফু দিয়েছিলেন [ছি ছি ছি] এমন জঘন্য ইসলাম ধর্মের লোকেরা বিশ্বাস করলেও কোন খ্রীষ্টান বিশ্বাস করবে না। এখানে যে আরবী শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো ফারজাহা[فَرْجَهَا] যার অর্থ নারীর গোপন অঙ্গ। আপনি যদি গুগাল থেকেও আরবী থেকে বাংলায় ফারজাহা[فَرْجَهَا] অনুবাদ করেন তবে দেখতে পাবেন এর অর্থ নারীর গোপন অঙ্গ।

এটাই কি আল্লাহর “হও” বলার নমুনা?

তাহলে দেখুন ঈসা মসীহের জন্ম কুন-ফায়া-কুন [হও’, ফলে সে হয়ে গেল ] এর দ্বারা হয়নি যা কুরআন থেকেই প্রমানিত।

তাই মুসলিমদের ব্যাখ্যা এখানে ভিত্তিহীন প্রামানিত হয় যে, “ঈসা কুন-ফায়া-কুনের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে!!! তার জন্য তাকে কালেমতুল্লাহ বলা হয়।”

এছাড়া আদমও কুন-ফায়া-কুন [হও’, ফলে সে হয়ে গেল ] এর দ্বারা সৃষ্টি হয় নি। তাকে আল্লাহ বলেছেন আর সৃষ্টি হয়ে যায় নি তার মাটি দিয়ে পুতুল তৈরী করে তার মধ্যে রূহ প্রবেশ করিয়ে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহর কুন-ফায়া-কুন [হও’, ফলে সে হয়ে গেল ] এর অর্থ হলো আল্লাহ বললেন তাকে কিছু করা লাগল না এমনিতেই তা হয়ে গেল কিন্তু বাস্তবে তার হয় নি ঈসা মসীহ সেই ভাবে সৃষ্টি হন নাই এবং আদমও হন নাই।

ইবনে কাসীরের লেখাতেও উল্লেখি রয়েছে আল্লাহ/জিব্রাইল সরাসরি মরিয়মের যোনীতে ফুঁ দেন নি বরং ফুঁ দিয়েছিলেন ছিলেন তার বুকে এবং সেই ফুঁ গিয়ে মরিয়মের যোনীতে প্রবেশ করেছিল  [নাউযুবিল্লাহ]:


[34]


 

অর্থাৎ ইসলামের যে ব্যাখ্যাতে যাওয়া যাবে সেখানেই মরিয়মের যোনীতে ফুঁ পৌছানোর বিষয়টা আসবে হোক সেটা ডাইরেক্ট অথবা ইনডাইরেক্ট। এটাই হলো আল্লাহর কুন ফায়া কুনের  নমূনা!!!  ইসলাম বলে যীশু খ্রীষ্টকে খ্রীষ্ট ধর্ম থেকেও বেশি সম্মান দিয়েছে পাঠক এটাই তার সম্মানের নমূনা। আল্লাহ মসীহকে সৃষ্টি করতে তাঁর ফুঁ এক ফেরেস্তার মধ্যে দিয়ে পাঠিয়ে মরিয়মের যোনীর মধ্যে প্রবেশ করালেন যা সত্যি নেক্কার জনক ঘটনা।

কুরআনের আল্লাহ নিজেই ত্রিত্ববাদ সম্পর্কে ভূল ধারনা পোষন করেনঃ

 

পৃথিবীর কোন খ্রীষ্টান দল নেই যারা পিতা ঈশ্বরকে ত্রিত্ববাদে তৃতীয়জন হিসাবে মনে করে। ত্রিত্ববাদ অনুসারে সবার প্রথমে পিতা ঈশ্বরের নাম আশে এবং শেষে পবিত্র আত্মার নাম আশে। কিন্তু কুরআনের আল্লাহ খ্রীষ্টানদের আকিদাকে [বিশ্বাসকে] জানতেন না। আপনি চিন্তা করুন যে ঈশ্বর ত্রিত্ববাদের সংগা জানে না সে কি করে ত্রিত্ববাদের শিক্ষা বুঝবে? আর সেই ঈশ্বর “মসীহ” সম্পর্কে যে সব সঠিক তথ্য দেবে এর কোন  নিশ্চয়তা নেই।

 

সমালোচকের দাবি খন্ডনঃ

সমালোচক মহাদয় ভ্রান্ত দল যিহোবার সাক্ষিদের যুক্তি পেশ করেছেন

১। দাবিঃ কলসীয় ১:১৫ পদে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে প্রথমজাত/ Firstborn বলা হয়েছে তাই প্রভু যীশু খ্রীষ্ট অসৃষ্ট নন তিনি সৃষ্ট।

জবাবঃ পবিত্র বাইবেলে ইস্রায়েলকে প্রথমজাত/ Firstborn বলা হয়েছে,

And thou shalt say unto Pharaoh, Thus saith the Lord, Israel is my son, even my firstborn:[36]

ইফ্রায়িমকে প্রথমজাত/ Firstborn বলা হয়েছে,

for I am a father to Israel, and Ephraim is my firstborn.[37]

নবী দায়ূদকে প্রথমজাত বলা হয়েছে,

Also I will make him my firstborn, higher than the kings of the earth.[38]

পবিত্র বাইবেলে অনুসারে প্রথমজাত কথাটির দুটি অর্থ রয়েছে একটি আক্ষরিক প্রথম সন্তান অন্যটি ঈশ্বরের মনোনিত ব্যক্তি। ইস্রায়েল ,ইফ্রায়িম, নবী দায়ূদ এনারা আরক্ষরিক অর্থে কেউই “প্রথমজাত/Firstborn” ছিলেন না এনারা ছিলেন ঈশ্বরের মনোনিত সেই জন্য তাদের ক্ষেত্রে  “প্রথমজাত/Firstborn” কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যে পিতা ঈশ্বরের মনোনিত সেটা বোঝানোর  জন্য পবিত্র বাইবেলে “প্রথমজাত/Firstborn” কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।

 

 

২য় দাবিঃ ঈশ্বরকে কেউ কখনো দেখেনি


জবাবঃ পিতা ঈশ্বরকে কেউ দেখেনি কিন্তু পুত্র পিতাকে যুগে-যুগে প্রকাশিত করেছেন[39] এমন কি যখন তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন সেই সময়েও বলেছিলেন  “Jesus saith unto him, Have I been so long time with you, and yet hast thou not known me, Philip? he that hath seen me hath seen the Father; and how sayest thou then, Shew us the Father?[40]

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তার যুগের ইহুদিদের স্পষ্টভাবে বলেছেন, কিন্তু এখন তাহারা আমাকে ও আমার পিতাকে, উভয়কেই দেখিয়াছে, এবং দ্বেষ করিয়াছে[41] অর্থাৎ প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে দেখা আর পিতাকে দেখা যে একি তা তিনি নিজেই বলেছেন সেই যুগের ইহুদিরা পিতাকে পুত্রের দ্বারা দেখাছে কিন্তু তারা তাকে বিশ্বাস করে নি

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পিতা ঈশ্বরের অংশ যা তিনি নিজেও দাবি করেছেন, কারণ পিতা আপনি তোমাদিগকে ভাল বাসেন, কেননা তোমরা আমাকে ভাল বাসিয়াছ, এবং বিশ্বাস করিয়াছ যে, আমি ঈশ্বরের নিকট হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি আমি পিতা হইতে বাহির হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি তাঁহার শিষ্যেরা বলিলেন, দেখুন, এখন আপনি স্পষ্টরূপে বলিতেছেন, কোন উপমা দ্বারা কথা বলিতেছেন না এখন আমরা জানি, আপনি সকলই জানেন, কেহ যে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, ইহা আপনার আবশ্যক নয়; ইহাতে আমরা বিশ্বাস করিতেছি যে, আপনি ঈশ্বরের নিকট হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছেন[42] 

 

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন তিনি পিতার মধ্যে থেকে বের হয়ে [ἐξῆλθον.( exēlthon)] এসেছেন এবং শিষ্যরাও তাঁর কথায় বিশ্বাস করলেন। পিতা ঈশ্বরের অংশকে দেখা মানে পিতাকেই দেখা। সেই জন্য প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “যে আমাকে দেখিয়াছে সে পিতাকে দেখিয়াছে”[43]

অর্থাৎ পিতা ঈশ্বরকে যুগে যুগে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট প্রকাশিত করেছেন আর সেটাই যোহন১:১৮ পদে লেখা হয়েছে। তাই উক্ত পদ অনুসারে ত্রিত্ববাদ কোন ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ হয় না বরং আরো শক্তিশালী হয়।

৩য় দাবিঃ



জবাবঃ এই যুক্তি মূলত ভ্রান্ত দল যিহোবার সাক্ষীদের। তাদের দূবর্ল যুক্তি হলো যোহন১:১ পদে গ্রীক শব্দ τὸν (ton) Θεόν, (Theon) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে যা পিতা ঈশ্বরকে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং পুত্রের জন্য Θεὸς (Theos)শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তারা বলেন পিতা ঈশ্বরকে বোঝানোর জন্য The কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে আর পুত্রের ক্ষেত্রে The ব্যবহৃত হয় নি তার জন্য পুত্র ছোট হাতের god বড় হাতের God নন। এই যুক্তিটি খুবই দূর্বল কারন পবিত্র বাইবেলে  τὸν (ton) শব্দ ছাড়াই ঈশ্বরকে বোঝানো হয়েছে।

যেমন যোহন১:৬; Ἐγένετο ἄνθρωπος, ἀπεσταλμένος παρὰ Θεοῦ, ὄνομα αὐτῷ Ἰωάνης·

There was a man sent from God, whose name was John.-KJV Translation

যোহন১:১২; ὅσοι δὲ ἔλαβον αὐτόν, ἔδωκεν αὐτοῖς ἐξουσίαν τέκνα Θεοῦ γενέσθαι, τοῖς πιστεύουσιν εἰς τὸ ὄνομα αὐτοῦ,

But as many as received him, to them gave he power to become the sons of Godeven to them that believe on his name: -KJV Translation

যোহন১:১৩; οἳ οὐκ ἐξ αἱμάτων οὐδὲ ἐκ θελήματος σαρκὸς οὐδὲ ἐκ θελήματος ἀνδρὸς ἀλλ’ ἐκ Θεοῦ ἐγεννήθησαν.

Which were born, not of blood, nor of the will of the flesh, nor of the will of man, but of God. -KJV Translation

তবে দেখুন পবিত্র বাইবেলে  τὸν (ton) শব্দ ছাড়াই ঈশ্বরকে অসংখ্য বোঝানো হয়েছে আর আমি ত শুধু যোহন১ অধ্যায় থেকেই রেফারেন্স দিলাম। যেহেতু যোহন১ অধ্যায় নিয়ে অভিযোগ।

সমালোচক মহাদয় ২করিন্থীয়৪:৪ পদ ব্যবহার করে বলেছেন যেখানে শয়তানকে এই যুগের ঈশ্বর বলা হয়েছে,

In whom the god of this world hath blinded the minds of them which believe not, lest the light of the glorious gospel of Christ, who is the image of God, should shine unto them.

তার কথা হলো শয়তানকে ঈশ্বরবাচক শব্দের দ্বারা দেখানো হয়েছে। কুরআনের সূরা ইখলাসের দ্বিতীয় আয়াত বলছে, ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ (আল্লাহুস সামাদ) অর্থাৎ আল্লাহ হল 'সামাদ' (ٱلصَّمَدُ)। মুসলিমরা নিজেরাই বলে যে, এই 'সামাদ' এর অনুবাদ করা কঠিন। তার আসল কারণ হল, তারা এর অনেক রকম অর্থ বের করে আসল জিনিস ধামাচাপা দেওয়ার জন্য।

এই 'সামাদ' হল পৌত্তলিক মূর্তির নাম। ইবনে কাসীরের তাফসীরেই তার প্রমাণ আছে সূরা আরাফের ৭০-৭২ নং আয়াতের তাফসীরে: "মুহাম্মাদ ইবনে ইসহাক (রঃ) বলেন যে, হযরত হূদ (আঃ)-এর কওম মূর্তিসমূহের পূজা করতো।একটি মূর্তির নাম ছিল সামাদ, একটির নাম ছিল ‘সামুদ' এবং একটির নাম ছিল ‘হাবা’!..."

(তাফসীর ইবনে কাসীর/কুরআন ৭:৭০-৭২ আয়াতের তাফসীর হতে বিবৃত);[44]

আরবিতেও স্পষ্ট: 

أنهم كانوا يعبدون أصناماً، فصنم يقال له: صمد، وآخر يقال له: صمود، وآخر يقال له: الهباء

এখান থেকে চেক করে দেখতে পারেন:






স্পষ্ট তাফসীরে বলছে যে, يعبدون (ইয়াবুদুন) - (মুশরিকরা) ইবাদত করত! কীসের? أصناماً (আসনামান) অর্থাৎ মূর্তির। সেগুলোর একটার নাম কী ছিল??  صمد (সামাদ)!!!  সেই একই সামাদ , ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ (আল্লাহুস সামাদ) (কুরআন ১১২:২)

তাই সমালোচক মহাদয় যে যুক্তি ব্যবহার করেছেন সেই একি যুক্তি আল্লাহর ক্ষেত্রে ব্যবহার করে আল্লাহ পৌত্তলিক দেবতা প্রমানিত হয়ে যান যেহেতু ইসলাম ধর্মের লোকেরা পৌত্তলিক ঈশ্বরদের শয়তান মনে করে সেই যুক্তিতে আল্লাহর সামাদ নামটি শয়তানের নাম প্রমানিত হয়ে যায়।

৪র্থ অভিযোগঃ প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪ পদ অনুসারে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট সৃষ্ট।

জবাবঃ প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পিতা ঈশ্বরের মধ্য থেকে কোন এক সময়ে পৃথক হয়েছেন। আর প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪ পদে মূলত সেটাই বলা হয়েছে। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট “অসৃষ্ট” তবে তাকে পিতা ঈশ্বর নিজের মধ্যে হতে পৃথক করেছেন রুপ দান করেছেন তার জন্য প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পরে একটা রুপ পেয়েছেন। সেই জন্য পবিত্র বাইবেল বলে, “তিনি আদিতে ঈশ্বরের কাছে ছিলেন।” যোহন১:২; “সদাপ্রভু নিজ পথের আরম্ভে আমাকে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন,  তাঁহার কর্ম সকলের পূর্বে, পূর্বাবধি।”হিতোপদেশ৮:২২; পিতা ঈশ্বর যে প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে তার থেকে পৃথক করে রুপ দান করেছেন তা পবিত্র বাইবেল সমর্থিত, ‘‘তুমি যজ্ঞ ও নৈবেদ্য ইচ্ছা কর নাই,কিন্তু আমার জন্য দেহ রচনা করিয়াছ;[45]

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট পিতা ঈশ্বরের অংশ যা তিনি নিজেও দাবি করেছেন, কারণ পিতা আপনি তোমাদিগকে ভাল বাসেন, কেননা তোমরা আমাকে ভাল বাসিয়াছ, এবং বিশ্বাস করিয়াছ যে, আমি ঈশ্বরের নিকট হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি আমি পিতা হইতে বাহির হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি তাঁহার শিষ্যেরা বলিলেন, দেখুন, এখন আপনি স্পষ্টরূপে বলিতেছেন, কোন উপমা দ্বারা কথা বলিতেছেন না এখন আমরা জানি, আপনি সকলই জানেন, কেহ যে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, ইহা আপনার আবশ্যক নয়; ইহাতে আমরা বিশ্বাস করিতেছি যে, আপনি ঈশ্বরের নিকট হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছেন[46] 

 

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন তিনি পিতার মধ্যে থেকে বের হয়ে [ἐξῆλθον.( exēlthon)] এসেছেন এবং শিষ্যরাও তাঁর কথায় বিশ্বাস করলেন। পিতা ঈশ্বরের অংশকে দেখা মানে পিতাকেই দেখা। সেই জন্য প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “যে আমাকে দেখিয়াছে সে পিতাকে দেখিয়াছে”[47]


মনে করুন আপনি একটি বড় সমুদ্র হতে গ্লাস ভর্তি করে পানি নিয়েছেন এখন, আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় এই কাঁচের গ্লাসের পানি আর সমুদ্রের পানির গুনগত- জাতগত কোন পরিবর্তন রয়েছে? আপনি নিশ্চই বলবেন না কারন কাঁচের গ্লাসের পানি আর সমুদ্রের একি আর কাঁচের গ্লাসের পানি সমুদ্রের থেকে বের করে পৃথক করে একটি গ্লাসে আনা হয়েছে। তাই সেই পানির মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। পার্থক্য রয়েছে শুধুমাত্র আকারে একটি রয়েছে Limited অবস্থায় গ্লাসের মধ্যে আর আরেকটি Unlimited অবস্থায় রয়ছে সমুদ্র হয়ে। সমুদ্রের আর গ্লাসের দুটি পানি একি যার উপাদান এক এবং অভিন্ন। পিতা ঈশ্বর এবং পুত্র ঈশ্বরের মধ্যেও তেমনি জাতগত কোন পার্থক্য নেই। কারন প্রভু যীশু খ্রীষ্ট অনেকবার বলেছেন, ‘তিনি পিতার মধ্য হতে বের হয়ে এসেছেন,

যীশু তাহাদিগকে কহিলেন, ঈশ্বর যদি তোমাদের পিতা হইতেন, তবে তোমরা আমাকে প্রেম করিতে, কেননা আমি ঈশ্বর হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছি; আমি ত আপনা হইতে আসি নাই, কিন্তু তিনিই আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন।[48]

আমি পিতা হইতে বাহির হইয়াছি, এবং জগতে আসিয়াছি; আবার জগৎ পরিত্যাগ করিতেছি, এবং পিতার নিকটে যাইতেছি।তাঁহার শিষ্যেরা বলিলেন, দেখুন, এখন আপনি স্পষ্টরূপে বলিতেছেন, কোন উপমা কথা বলিতেছেন না। এখন আমরা জানি, আপনি সকলই জানেন, কেহ যে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, ইহা আপনার আবশ্যক করে না; ইহাতে আমরা বিশ্বাস করিতেছি যে, আপনি ঈশ্বরের নিকট হইতে বাহির হইয়া আসিয়াছেন। [49]

আমরা ইয়াওয়ে এলোহীমের দুটি গুনাবলি [Attributes] স্বীকার করি যা অসৃষ্ট। পবিত্র বাইবেলে তাদের ঈশ্বর বলা হয়েছে কারন তারা সত্তার দিক দিয়ে এক। ইয়াওয়ে এলোহীমের দুটি গুনাবলি [Attributes] দুটি রুপে বিরাজমান এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।

 

৫ম অভিযোগঃ বাইবেল ঈশ্বরের বানী তার মানে বাইবেলও ঈশ্বর।

জবাবঃ মোটেই পবিত্র বাইবেল আমাদের ঈশ্বর নন, পবিত্র বাইবেলে ঈশ্বরের লিখিত বাক্য আছে আর প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তিনি ঈশ্বরের লিখিত বাক্য নন বরং তিনি ঈশ্বরের জীবন্ত বাক্য। পবিত্র বাইবেলের ক্ষেত্রে যে পদ সাক্ষ্য প্রদান করে তা আমাদের দেখা প্রয়োজন

 All Scripture is given by inspiration of God, and is profitable for doctrine, for reproof, for correction, for instruction in righteousness, that the man of God may be complete, thoroughly equipped for every good work.[50]

ঈশ্বরের inspiration এর দ্বারা পবিত্র বাইবেলে লিখিত হয়েছে। তাই এখানে কোন সমস্যা নেই। এই একি যুক্তি আমরা কুরআনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারি ইসলাম অনুসারে “কুরআন অসৃষ্ট”

ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রা. বলেন,
والقرآن كلام الله، ليس بمخلوق، فمن زعم أن القرآن مخلوق فهو جهمي كافر ومن زعم أن القرآن كلام الله عز وجل ووقف ولم يقل مخلوق ولا غير مخلوق: فهو أخبث من الأول،
কুরআন আল্লাহ কালাম (বাণী); মাখলুক বা সৃষ্ট নয় যে ব্যক্তি মনে করে যে, কুরআন আল্লাহর মাখলুক (সৃষ্ট) সে জাহমী-কাফির আর যে ব্যক্তি কুরআন আল্লাহর কালাম বলে চুপ থাকে- মাখলুক না কি মাখলুক নয় সে ব্যাপারে কোন মন্তব্য করে না-সে ১ম ব্যক্তির থেকেও নিকৃষ্ট[51]

তবে পাঠক লক্ষ করুন ইসলামে আল্লাহর পাশাপাশি কুরআনও অসৃষ্ট তার মানে দুই জন ঈশ্বর। কারন যার কোন সৃষ্টি নাই তিনি ত ঈশ্বর। যার নিজের কাপড় ছিড়া সে আবার অন্যকে বলে এই তোমার কাপড়ে দাগ লেগেছে।



[4] Targum Neofiti 1: Genesis (The Aramaic Bible 1A)

[5] Targum Neofiti 1: Genesis (The Aramaic Bible 1A)

[12] John 1:1;14; KJV

[13] John 1:1 KJV

[14] Hebrews 1:3 KJV

[15] John 1:14 KJV

[16] Revelation 19:13 KJV

[17] John 1:3 KJV

[18] John 5:17 KJV

[23] সূরা৩:৪৫;

[26] সূরা :৪৭;

[27] সূরা :৫৯;

[28] সূরা ১৫:২৬;

[29] সূরা ৩৮:৭১-৭২;

[32] সূরা ১৯:১৬-১৯;

[33] সূরা৬৬:১২;

[34] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পৃঃ১২৮;

 

[35] আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া পৃঃ১২৯;

 

[38]  Psalm 89:27KJV

[40] John14:9; KJV

[41] যোহন১৫:২৪;

[42] যোহন১৬:২৭-৩০;

[43] যোহন১৪:৯;

[45] ইব্রীয়১০:৫;

[46] যোহন১৬:২৭-৩০;

[47] যোহন১৪:৯;

[48] যোহন৮:৪২

[49] যোহন১৬:৩০;

[50] 2Timothy 3:16-17NKJV

 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: