সমালোচকেরা প্রায় এই দাবিটি করে থাকে যেখানে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন , “পুত্র নিজে থেকে কিছু করতে পারে না” প্রভু যীশু খ্রীষ্ট কি এটাই বুঝিয়েছেন যে তাঁর নিজের কোন ক্ষমতা নেই?
আসুন আমরা পুরা CONTEXT
দেখিঃ
“অতএব যীশু
উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, সত্য, সত্য,
আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, পুত্র আপনা হইতে কিছুই করিতে পারেন না, কেবল পিতাকে যাহা করিতে
দেখেন, তাহাই করেন; কেননা তিনি যাহা যাহা করেন, পুত্রও
সেই সকল তদ্রূপ করেন। কারণ পিতা পুত্রকে ভালবাসেন, এবং আপনি যাহা যাহা করেন, সকলই তাঁহাকে
দেখান; আর ইহা হইতেও মহৎ মহৎ কর্ম তাঁহাকে দেখাইবেন, যেন তোমরা আশ্চর্য মনে কর। কেননা পিতা
যেমন মৃতদিগকে উঠান ও জীবন দান করেন, তদ্রূপ পুত্রও যাহাদিগকে ইচ্ছা, জীবন দান করেন। কারণ পিতা
কাহারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচার-ভার পুত্রকে দিয়াছেন, যেন সকলে
যেমন পিতাকে সমাদর করে, তেমনি পুত্রকে সমাদর করে। পুত্রকে যে সমাদর করে না, সে পিতাকে
সমাদর করে না, যিনি তাঁহাকে পাঠাইয়াছেন। ”[1]
প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন, “তিনি নিজে
নিজে কিছু করেন না , কিন্তু পিতাকে যা কিছু করতে দেখেন তাই করেন” যেমন পিতা
ঈশ্বর সৃষ্টি করেছিলেন তার দেখা দেখি
তিনিও সৃষ্টির কাজে নিয়জিত ছিলেনঃ “কিন্তু
যীশু তাহাদিগকে এই উত্তর দিলেন, আমার পিতা
এখন পর্যন্ত কার্য করিতেছেন, আমিও করিতেছি।”[2]
পিতা ঈশ্বর পুত্র ঈশ্বরকে প্রেম করেন এবং যা কিছু করেন তার সব পুত্রকে দেখান, কোন
কিছুই বাদ দেন না। পুত্র পিতার দেখা দেখি নিজেও সব কিছু করতে পারেন। যেমন পিতা
মৃতদের উঠান তেমনি পুত্রও উঠানঃ “কেননা পিতা যেমন
মৃতদিগকে উঠান ও জীবন দান করেন, তদ্রূপ পুত্রও যাহাদিগকে ইচ্ছা, জীবন দান করেন।”[3]
“কেননা পিতার যেমন আপনাতে জীবন আছে, তেমনি তিনি পুত্রকেও
আপনাতে জীবন রাখিতে দিয়াছেন।”[4]
অর্থাৎ একজন পিতাকে দেখে যেমন তার
সন্তান অনুকরন করে ঠিক তেমনি পিতা ঈশ্বরকে পুত্র ঈশ্বর অনুকরন করেন। তাই যারা দাবি
করে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট নিজের শক্তিতে কিছু করতে পারেন না তা সঠিক নয়। এখানে সমালোচকেরা
একটু চালাকি করে থাকে তারা যোহন ৫অধ্যায় ৩০ পদকে CONTEXT ছাড়া ব্যবহার করেছেন কারন ৫অধ্যায়
১৯-২৩ পদে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বিষয়টি আগেই পরিস্কার করে দিয়েছেন।
0 coment rios: