Wednesday, October 19, 2022

বিজ্ঞান কি পবিত্র বাইবেলকে সমর্থন করে?

 

লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

The heavens declare the glory of God; and the firmament sheweth his handywork. Day unto day uttereth speech, and night unto night sheweth knowledge.There is no speech nor language, where their voice is not heard.[1]

অনুবাদঃ আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে, বিতান তাঁহার হস্তকৃত কর্ম জ্ঞাপন করে। দিবস দিবসের কাছে বাক্য উচ্চারণ করে, রাত্রি রাত্রির কাছে জ্ঞান প্রচার করে। বাক্য নাই, ভাষাও নাই, তাহাদের রব শুনা যায় না।

He hath made the earth by his power, he hath established the world by his wisdom, and hath stretched out the heavens by his discretion.[2]

অনুবাদঃ তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।

For the invisible things of him from the creation of the world are clearly seen, being understood by the things that are made, even his eternal power and Godhead; so that they are without excuse:[3]

অনুবাদঃ ফলতঃ তাঁহার অদৃশ্য গুণ, অর্থাৎ তাঁহার অনন্ত পরাক্রম ও ঈশ্বরত্ব, জগতের সৃষ্টিকাল অবধি তাঁহার বিবিধ কার্যে বোধগম্য হইয়া দৃষ্ট হইতেছে, এই জন্য তাঁহাদের উত্তর দিবার পথ নাই;

For thus saith the LORD that created the heavens; God himself that formed the earth and made it; he hath established it, he created it not in vain, he formed it to be inhabited: I am the LORD; and there is none else.[4]

অনুবাদঃ কেননা আকাশমণ্ডলের সৃষ্টিকর্তা সদাপ্রভু, স্বয়ং ঈশ্বর, যিনি পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন, ও অনর্থক সৃষ্টি না করিয়া বাসস্থানার্থে নির্মাণ করিয়াছেন, তিনি এই কথা কহেন, আমিই সদাপ্রভু, আর কেহ নয়।

পবিত্র বাইবেল কোন বৈজ্ঞানিক সুত্রের গ্রন্থ নয় যেখানে লেখা থাকবে কিভাবে কম্পিউটার, মোবাইল, ইত্যাদি তৈরী করা যায়। কিন্তু পবিত্র বাইবেল যখন বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলে তা শতভাগ সঠিক। পবিত্র বাইবেলে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে যা বিজ্ঞান অবিস্কার করার আগেই পবিত্র বাইবেলের ঈশ্বর ইয়াওয়ে [יהוה‎ ] এলোহীম [אֱלֹהִים] তার পবিত্র বাক্যে উল্লেখ করেছেন। পৃথিবীর যে কোন মানুষকে অবাক করে দেওয়ার মতন বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে পবিত্র বাইবেলে, যা একজন অবিশ্বাসিকেও বিশ্বাস করতে বাধ্য করবে।


“মহাবিশ্ব সম্পর্কে”

মহাবিশ্বের একটা শুরু আছেঃ

এক সময়ে বিজ্ঞানিরা মনে করতেন এই মহাবিশ্বের কোন শুরু ছিল না তবে  বিজ্ঞানি আইনস্টাইন ১৯১৭ সালে দাবি করেন মহাবিশ্বের শুরু আছে এবং এটি সম্প্রসারিত হয়।

Einstein expressed the general opinion in 1917 after de Sitter produced equations that could describe a universe that was expanding, a universe with a beginning.[5]

আর তার এই দাবিকে কোন বিজ্ঞানি ভূল প্রমানিত করতে পারেন নি তার এই দাবিকে সত্য বলে স্বীকার করা হয়। কিন্তু আশ্চর্য জনক বিষয়টি হলো আইনস্টাইন ১৯১৭ সালে দাবি করার হাজার-হাজার বছর আগে পবিত্র বাইবেল বলেছে “মহাবিশ্বের একটি শুরু ছিল” এবং এই “মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে।”

পবিত্র বাইবেল বলে মহাবিশ্বের একটি শুরু ছিলঃ

In the beginning God created the heaven and the earth.[6]

অনুবাদঃ আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করিলেন।

অর্থাৎ কোন একটা সময়ে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছিল এটা আগে থেকেই অস্তিত্বে ছিল না।

পবিত্র বাইবেল বলে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছেঃ

Thus saith God the Lord, he that created the heavens, and stretched them out;[7]

অনুবাদঃ “সদাপ্রভু ঈশ্বর, যিনি আকাশমণ্ডল সৃষ্টি করিয়াছেন ও তাহা বিস্তার করিয়াছেন”কেরী

Thus saith the Lord, thy redeemer, and he that formed thee from the womb, I am the Lord that maketh all things; that stretcheth forth the heavens alone; that spreadeth abroad the earth by myself;[8]

অনুবাদঃ “তোমার মুক্তিদাতা এবং গর্ভাবধি তোমার গঠনকারী সদাপ্রভু এই কথা কহেন, আমি সদাপ্রভু সর্ববস্তু-নির্মাতা, আমি একাকী আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছি, আমি ভূতল বিছাইয়াছি; আমার সঙ্গী কে?”কেরী

I have made the earth, and created man upon it: I, even my hands, have stretched out the heavens, and all their host have I commanded.[9]

অনুবাদঃ “আমি পৃথিবী নির্মাণ করিয়াছি, ও পৃথিবীর উপরে মনুষ্যের সৃষ্টি করিয়াছি; আমি নিজ হস্তে আকাশমণ্ডল বিস্তীর্ণ করিয়াছি, এবং আকাশের সমস্ত বাহিনীকে আজ্ঞা দিয়া আসিতেছি।”কেরী

 He hath made the earth by his power, he hath established the world by his wisdom, and hath stretched out the heavens by his discretion.[10]

অনুবাদঃ “তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন, নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।কেরী

He hath made the earth by his power, he hath established the world by his wisdom, and hath stretched out the heaven by his understanding. [11]

অনুবাদঃ “তিনি নিজ শক্তিতে পৃথিবী গঠন করিয়াছেন। নিজ জ্ঞানে জগৎ স্থাপন করিয়াছেন, নিজ বুদ্ধিতে আকাশমণ্ডল বিস্তার করিয়াছেন।কেরী

 

Space-Time, Matter সম্পর্কেঃ

বিজ্ঞানি আইনস্টাইন বিশ্বাস করতেন আমাদের মহাবিশ্ব গঠনের পিছনে “space-time, matter ,energy[12] রয়েছেবিজ্ঞানি আইনস্টাইনের এই চিন্তা ধারা সম্পূর্ন পবিত্র বাইবেল সমর্থিত।

In the beginning God created the heaven and the earth.[13]

অনুবাদঃ আদিতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করিলেন।

In the beginning (Time)  God created (Energy) the heaven (Space)  and the earth (Matter)

আদিতে (Time) আকাশমণ্ডল (Space) ও পৃথিবী (Matter) ঈশ্বর সৃষ্টি (Energy)  করিলেন।

বিজ্ঞানি আইনস্টাইন এর এই তত্ত্ব আবিস্কারের হাজার-হাজার বছর আগে পবিত্র বাইবেলে ঘোষণা করেছে।


অদৃশ্য এটোমস (পরমানু)  এর দ্বারা দৃশ্যমান জগতের সৃষ্টিঃ

বিজ্ঞান বলে, “All matter in the universe — no matter how big, small, young or old — is made up of atoms[14]

“মহাবিশ্বে বড় কি ছোট পুরানো কি নূতন সব কিছু এটমস এর দ্বারা তৈরী” বিষয়টি বিজ্ঞানীদের জানার আগেই পবিত্র বাইবেল আজ হতে হাজার বছর আগে বলেছে,

Through faith we understand that the worlds were framed by the word of God, so that things which are seen were not made of things which do appear. -Hebrews 11:3

অনুবাদঃ বিশ্বাসে আমরা বুঝতে পারি যে, সমগ্র বিশ্ব ঈশ্বরের আদেশে রচিত হয়েছিল; যার ফলে, যা কিছু এখন আমরা দেখি, তা কোনো দৃশ্য বস্তু থেকে নির্মিত হয়নি (BCV)

পবিত্র বাইবেল সুস্পষ্ট ভাবে বলছে অদৃশ্য বস্তু দৃশ্যমান বস্ত দ্বারা সৃষ্টি হয় নি, এই কথাটি উল্লে কথাটির অর্থ হচ্ছেঃ সব কিছু অদৃশ্য বস্তু দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছে।  অদৃশ্যমান বস্ত হচ্ছে Atoms  যা আমারা আমাদের খালি চোখে দেখতে পাই না। আর এই অদৃশ্য Atoms এর দ্বারাই জগতের সব কিছু সৃষ্টি  হয়েছে।


Big Bang /মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব সম্পর্কেঃ

Big Bang /মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের কথা উঠলেই বর্তমান মানুষের মনে বিজ্ঞানী স্টিফেন হোকিং এর চেহারা ভেসে উঠে কিন্তু সত্য বলতে মোটেই তিনি এই তত্ত্বের আবিস্কারক নন।  এই তত্ত্বের আবিস্কারক  হলেন একজন খ্রীষ্টান ধর্ম গুরু জর্জ এদুয়ার ল্যমেত্র্‌ Georges Édouard Lemaître

বিখ্যাত বেলজীয় বিশ্বতত্ত্ববিদ। তিনি ১৯২৭ সালে প্রস্তাব করেছিলেন যে, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ একটি আদি অবস্থা থেকে শুরু হয়েছিলো। তিনি বলেন সেই আদি অবস্থা ছিল একটি আদি পরমাণু বা Primeval atom। লেমাইট্‌র আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন এবং সেই তত্ত্বে উল্লেখিত ক্ষেত্র সমীকরণসমূহের অনেকগুলো সমাধান করতে সমর্থ হন। এই সমাধানগুলোর উপর ভিত্তি করেই আধুনিককালে মহা বিস্ফোরণ মতবাদ গড়ে উঠেছে।

ল্যমেত্র্‌ বেলজিয়ামের শার্লরোয়া (Charleroi) অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মূলত একজন পুর প্রকৌশলী (Civil Engineer) ছিলেন; এছাড়াও তিনি খ্রিস্টান ধর্মযাজক (priest) হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ব্রিটেনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে (এমআইটি) জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। এমআইটি-তে অধ্যয়নকালে তিনি মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডউইন হাবল এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী হারলো শ্যাপলি দ্বারা প্রভাবিত হন। এই দুজনই প্রসারণশীল মহাবিশ্বের ধারণা গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১৯২৭ সালে বেলজিয়ামের লিউভেন বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ল্যমেত্র্‌ একটি আদি পরমাণুর উল্লেখ করেন যার বিস্ফোরণের ফলে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ শুরু হয়। এই আদি পরমাণুটি ছিল একটি বড়সড় ডিমের মত যা সূর্য অপেক্ষা প্রায় ৩০ গুণ বড়। এর মধ্যে মহাবিশ্বের বর্তমান উপাদানসমূহ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান ছিল। এই আদি পরমাণুটি বর্তমানকাল থেকে ২০ - ৬০ বিলিয়ন বছর পূর্বে অস্তিত্বশীল ছিল বলে তিনি ধারণা করেন।[15]

Big Bang /মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব মূলত পবিত্র বাইবেল থেকেই এসেছে আর এই তত্ত্বের আবিস্কারক কোন অ-খ্রীষ্টান বা কোন সংশয়বাদী  বিজ্ঞানি নন বরং একজন খ্রীষ্ট ধর্ম গুরুর।

Big Bang /মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে প্রথমে আলোর বিস্ফোরণ এর দ্বারাই সৃষ্টি সূচনা হয়েছিল

Original version: NASA

পবিত্র বাইবেলেও এটা সুস্পষ্টভাবে লেখা আছে,  ইয়াওয়ে এলোহীম প্রথম ইয়োমে [দিনে] আলোর সৃষ্টি করেন  And God said, Let there be light: and there was light.[16]

অনুবাদঃ পরে ঈশ্বর কহিলেন, দীপ্তি হউক; তাহাতে দীপ্তি হইল।

Big Bang /মহাবিস্ফোরণ তত্ত্ব অনুসারে প্রথমে আলোর বিস্ফোরণ এর দ্বারাই সৃষ্টি সূচনা হয়েছিল আর পবিত্র বাইবেল অনুসারেও আলোর সৃষ্টির দ্বারাই সৃষ্টি সূচনা হয়েছিল।

আশ্চর্যজনক বিষয় হলো একজন সংশয়বাদী  বিজ্ঞানী [স্টিফেন হোকিং] Big Bang /মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের আবিস্কারক হিসাবে পরিচিতি লাভ করছে অথচ তার জন্মের আগে খ্রীষ্টান ধর্ম গুরু জর্জ এদুয়ার ল্যমেত্র্‌ Georges Édouard Lemaître এটা আবিস্কার করেন অথচ তার নামই কেউ জানে না, কারন তিনি যেহেতু খ্রীষ্টান ধর্ম গুরু তার জন্য এসব খ্রীষ্টধর্ম বিদ্বেষী মিডিয়া তা প্রচার করে না।

 

আলোর বিভক্তি সম্পর্কেঃ

স্যার আইজ্যাক নিউটন আলো বিষয়ে গবেষনা  করেন এবং তিনি দেখন যে সাদা আলো মূলত ৭টি রঙ্গের দ্বারা তৈরি।তিনি দেখেছেন সাদা আলো মূলত বিভক্ত এবং সংযুক্ত  অবস্থায় রয়েছে

 Newton used the seven colour names red, orange, yellow, green, blue, indigo, and violet for segments of the spectrum by analogy with the seven notes of the musical scale.[17]

সাদা আলো সাতটি রঙের মিশ্রণ, প্রিজম এর দ্বারা আলোকে বিভিন্ন রঙে (৭টি রঙ) আলাদা করা যায়। যা আমরা রংধনু দেখতে পাই। আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরন, আপবর্তন, ব্যাতিচার হয়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আলোর একই সাথে কণা ধর্ম ও তরঙ্গ ধর্ম বিদ্যমান। আলো যে বিভক্ত হয় এটা মানুষ জেনেছে ১৬৭২ খ্রীঃ কিন্তু এই কথা পবিত্র বাইবেল হাজার-হাজার বছর আগেই ঘোষণা করেছেঃ

By what way is the light parted, which scattereth the east wind upon the earth?[18]

অনুবাদঃ কোন্‌ পথ দিয়া দীপ্তি বিভক্ত হইয়া যায়, ও পূর্বীয় বায়ু ভুবনময় ব্যাপ্ত হয়?


আলোর গতি পথ সম্পর্কেঃ



বিজ্ঞান বলে, আলো তির্যক তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের আকারে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে গমন করে। মাধ্যমভেদে আলোর বেগের পরিবর্তন হয়ে থাকে। আলোর বেগ মাধ্যমের ঘনত্বের ব্যস্তানুপাতিক। শুন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি, আলোর বেগ অসীম নয়। শূন্যস্থানে আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ২৯,৯৭,৯২,৪৫৮ মিটার বা ১,৮৬,০০০ মাইল। কোন ভাবেই আলোর গতিকে স্পর্শ করা সম্ভব নয়। আলোর কোনো আপেক্ষিক বেগ নেই ।আলোর বেগ সর্বদা সমান। দৃশ্যমান আলো মূলত তড়িৎ চুম্বকীয় বর্ণালির ছোট একটি অংশ মাত্র।[19]

আলোর যে গতিপথ আছে তা মানুষ কিছু দিন আগে জানতে  পেরেছে কিন্তু পবিত্র বাইবেলের ঈশ্বর হাজার-হাজার বছর আগেই আলোর ‘গতি পথ’ নিয়ে কথা বলেছেন,

Where is the way where light dwelleth? and as for darkness, where is the place thereof,[20]

অনুবাদঃ দীপ্তির নিবাসে যাইবার পথ কোথায়? অন্ধকারেরই বা বাসস্থান কোথায়? কেরী

 

 

বায়ুর ওজন সম্পর্কেঃ


বিজ্ঞানিরা একবাক্যে স্বীকার করেন যে বাতাসের ওজন আছে, Air is a real substance and it has weight. That is why it weighs 14.7 pounds per square inch at sea level. What scientists mean when they give this figure is that if a column of air one square inch in size from sea level to the top of the atmosphere above Earth would weigh 14.7 pounds.

বিজ্ঞানিরা এসব জানার আগেই পবিত্র বাইবেলের ঈশ্বর হাজার-হাজার বছর আগেই তার লোকেদের জানিয়েছেন যে বাতাসের ওজন আছে,

To make the weight for the winds; and he weigheth the waters by measure.[21]

 

ব্লেক হোল এবং ড্রাক ম্যাটার সম্পর্কেঃ

ব্লেক হোল এবং ড্রাক ম্যাটার সম্পর্কে বিজ্ঞান কিছু দিন আগে জানতে পরেছে কিন্তু পবিত্র বাইবেল বিজ্ঞান এই কথা জানার হাজার-হাজার বছর আগেই ব্লেক হোল এবং ড্রাক ম্যাটার সম্পর্কে জানিয়েছে,

I clothe the heavens with blackness,[22]

অনুবাদঃ আমি আকাশকে অন্ধকারে আবৃত করি, BCV

And cast ye the unprofitable servant into outer darkness: there shall be weeping and gnashing of teeth.[23]

অনুবাদঃ আর তোমরা ঐ অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দেও; সেই স্থানে রোদন ও দন্তঘর্ষণ হইবে। কেরী 

And the angels which kept not their first estate, but left their own habitation, he hath reserved in everlasting chains under darkness unto the judgment of the great day.[24]  

অনুবাদঃ আর যে স্বর্গদূতেরা আপনাদের আধিপত্য রক্ষা না করিয়া নিজ বাসস্থান ত্যাগ করিয়াছিল, তাহাদিগকে তিনি মহাদিনের বিচারার্থে ঘোর অন্ধকারের অধীনে অনন্তকালীন শৃঙ্খলে বদ্ধ রাখিয়াছেন।

 

পৃথিবীর অবস্থান এবং আকার সম্পর্কেঃ

পৃথিবীর আকার এবং তার অবস্থান নিয়ে প্রাচীন বিজ্ঞানি এবং দার্শনিকদের মধ্যেও অনেক ভূল ধারনা বিরাজ করত প্রথম দার্শনিক থেলিস মনে করতেন পানির উপরে স্থাপিত[25] আবার অনেকেই মনে করতেন পৃথিবী সমতল। মানুষের এমন ভূল ধারনা দূর হয় অনেক পরে। কিন্তু পবিত্র বাইবেল হাজার হাজার বছর আগে থেকেই পৃথিবীর আকার এবং তার অবস্থানের বিষয়ে সঠিক তথ্য মানব জাতিকে দিয়েছেঃ

He stretcheth out the north over the empty place, and hangeth the earth upon nothing.[26]

অনুবাদঃ শূন্য স্থানের উপরে তিনি উত্তর অন্তরিক্ষকে প্রসারিত করেছেন; শূন্যের উপরে তিনি পৃথিবীকে ঝুলিয়ে রেখেছেন। (BCV)

It is he that sitteth upon the circle of the earth,[27]

অনুবাদঃ তিনিই পৃথিবীর সীমাচক্রের উপরে উপবিষ্ট; -কেরী

পবিত্র বাইবেল হাজার-হাজার বছর আগে সুস্পষ্টভাবে বলেছেন পৃথিবী শূন্যের উপরে স্থাপিত এবং পৃথিবী গোলাকার যা বিজ্ঞান কিছু দিন আগে আবিস্কার করেছে।


সমুদ্রের তলদেশে পাহাড় সম্পর্কেঃ

সমুদ্রের তলদেশে যে পাহাড় রয়ছে তা মানুষ অনেক পরে জানতে পরেছে কিন্তু পবিত্র বাইবেল হাজার-হাজার বছর আগে সুস্পষ্টভাবে বলেছে সমুদ্রের নিচে পাহাড় রয়েছেঃ

 The waters compassed me about, even to the soul: the depth closed me round about, the weeds were wrapped about my head.  I went down to the bottoms of the mountains; the earth with her bars was about me for ever: yet hast thou brought up my life from corruption, O Lord my God.[28]

অনুবাদঃ জলরাশি আমাকে ঘেরিল, প্রাণ পর্যন্ত উঠিল, জলধি আমাকে বেষ্টন করিল, মৃণাল আমার মস্তকে জড়াইল। আমি পর্বতগণের মূল পর্যন্ত নামিয়া গেলাম; আমার পশ্চাতে পৃথিবীর অর্গল সকল চিরতরে বদ্ধ হইল; তথাপি, হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রাণকে কূপ হইতে উঠাইলে। -কেরী


সমুদ্র পথগামী প্রাণী সম্পর্কেঃ

পৃথিবীতে অসংখ্য পাখি, মাছ এবং অনেক সামুদ্রিক প্রাণী আছে যারা সমুদ্র পথে যাত্র করে থাকে যা বিজ্ঞানের গবেষণার দ্বারা তথ্যটি প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু পবিত্র বাইবেল বিজ্ঞান এই কথা আবিস্কার করার হাজার-হাজার বছর আগেই ঘোষণা করেছেঃ

The fowl of the air, and the fish of the sea, and whatsoever passeth through the paths of the seas.[29]

অনুবাদঃ শূন্যের পক্ষিগণ, এবং সাগরের মৎস্য, যাহা কিছু সমুদ্রপথগামী।


বরফ যুগের বর্ণনা সম্পর্কেঃ

বিজ্ঞান বলে, বরফ যুগ হলো এমন একটা সময় যখন পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা কমে যায়। এর ফলে আলপাইনের হিমবাহ, মহাদেশীয় এবং মেরু অঞ্চলের বরফের বিস্তার ঘটে। পৃথিবীর জলবায়ু বরফ যুগ এবং গ্রিনহাউজ যুগের মধ্যে পরিবর্তিত হয়।[30]

পবিত্র বাইবেলে আমরা নূহ নবীর ঘটনায় দেখতে পাই যে সেই সময়ে এক মহা প্লাবন হয়েছিল কিন্তু অনেক সংসয়বাদী মানুষেরা এই ঘটনাকে অস্বীকার করে। তবে আমরা যদি শুধু মাত্র অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সঞ্চিত বরফের দিকে দেখি তবে খুব সহজেই বোঝা যায় পৃথিবীকে প্লাবনে ভাসানোর জন্য অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের সঞ্চিত বরফ যথেষ্ট (যদিও অন্য যায়াগার কথা বাদ দিয়েছি)

পৃথিবীর দক্ষিণতম মহাদেশ  অ্যান্টার্কটিক সার্কেল প্রায় সম্পূর্ণ দক্ষিণে অবস্থিত এবং দক্ষিণ মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত, এটিতে ভৌগোলিক দক্ষিণ মেরু রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকা হল পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দ্বিগুণ আয়তন এবং এর আয়তন ১,৪২,০০,০০০ কিমি (৫৫,০০,০০০ মা) । অ্যান্টার্কটিকার বেশিরভাগ অংশই বরফ দ্বারা আবৃত, যার গড় পুরুত্ব ১.৯ কিমি (১.২ মা)।[31]

এই বৃহত্তকার বরফের স্তুপগুলো নবী নূহের সময়ের মহাপ্লাবনের সাক্ষী হয়ে আছে। পবিত্র বাইবেলে পানি কিভাবে বরফে পরিনত হয় তার বর্ণনা রয়েছেঃ

The waters are hid as with a stone, and the face of the deep is frozen.[32]

অনুবাদঃ “যখন জল জমে পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়, যখন জলরাশির উপরের স্তর জমাট বেঁধে যায়?” BCV

প্রাচীন ইস্রায়েলীয় মানুষের পক্ষে এই বর্ণনা দেওয়া অসম্ভব ছিল একমাত্র সত্য ঈশ্বরের পক্ষে তা সম্ভব। নূহ নবীর সময়ে কিভাবে মহা প্লাবনের পানিকে বরফে রুপান্তরিত করা হয়েছিল তার বর্ণনা পবিত্র বাইবেলে রয়েছে,

The breath of God produces ice, and the broad waters become frozen.[33]

অনুবাদঃ “ঈশ্বরের শ্বাস বরফ উৎপন্ন করে, ও প্রশস্ত জলরাশি হিমায়িত হয়ে যায়।” BCV


পানিচক্র সম্পর্কেঃ

বিজ্ঞান বলে, জলচক্র, যা হাইড্রোলজিক চক্র বা হাইড্রোলজিক্যাল চক্র বা পানিচক্র নামেও পরিচিত, এটি একটি জৈব ভূ-রাসায়নিক চক্র যা পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরে এবং নীচে জলের ক্রমাগত গতিবিধি বর্ণনা করে।

জলচক্র বা পানিচক্র হল প্রাকৃতিক প্রভাবে ক্রমাগত রূপান্তরের মাধ্যমে জল-এর চক্রাকারে তথা ক্রমাগত সঞ্চারণশীলতা। এই চক্রকে হাইড্রলজিক্যাল চক্র বা H2O চক্র বলা হয় । এই জলচক্র-এর জন্যেই এই পৃথিবী-তে জল-এর সামঞ্জস্য ব্যাহত হয় না।[34] 

পানি চক্রে যা দেখা যায় বৃষ্টির পানি  ভূমিতে পতিত হয় আবার সেই পানি বাস্প হয়ে মেঘ রূপে জমা হয় এবং পরে আবার  বৃষ্টির পানি হয়ে ভূমিতে ঝরে পড়ে।  বিজ্ঞান এই কথা বলার হাজার-হাজার বছর আগে পবিত্র বাইবেলে পানি চক্রের বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে উল্লেখত রয়েছে।

He draws up the drops of water, which distill as rain to the streams; the clouds pour down their moisture and abundant showers fall on mankind.[35]

অনুবাদঃ তিনি জলের বিন্দু সকল আকর্ষণ করেন, সেইগুলি তাহার বাষপ হইতে বৃষ্টিরূপে পড়ে; মেঘমালা তাহা ঢালিয়া দেয়, তাহা মনুষ্যদের উপরে প্রচুররূপে পতিত হয়। কেরী

এখানে আমরা পানিচক্রের ৩টি ধাপ দেখতে পাই

১। ধাপঃ বাষ্পিভবন

২। ধাপঃ মেঘরুপে জমা

৩।ধাপঃ বৃষ্টি

এই ৩টি ধাপের বিষয়ে পবিত্র বাইবেলে বলা হয়েছে। বাষ্পি ভবনের বিষয়ে প্রাচীন কালের লোকেরা অবগত ছিল না কিন্তু আশ্চর্যজন বিষয় হলো হাজার-হাজার বছর আগে পবিত্র বাইবেলে বাষ্পিভনের বিষয়ে বলা হয়েছে,

he calls for the waters of the sea and pours them out over the face of the land— the LORD is his name.[36]

অনুবাদঃ তিনি সমুদ্রের জলসমূহকে ডাকিয়া স্থলের উপরে ঢালিয়া দেন; সদাপ্রভু তাঁহার নাম। কেরী 

He causeth the vapours to ascend from the ends of the earth; he maketh lightnings for the rain; he bringeth the wind out of his treasuries.[37]

অনুবাদঃ তিনি পৃথিবীর প্রান্ত হইতে বাষপ উত্থাপন করেন, তিনি বৃষ্টির নিমিত্ত বিদ্যুৎ গঠন করেন, আপন ভাণ্ডার হইতে বায়ু বাহির করিয়া আনেন। কেরী

প্রাচীন ইস্রায়ায়েলের এসব বিষয়ে জানার কোন সুযোগ ছিল না যেখানে সেই যুগের লোকেরা অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বে বিশ্বাসি ছিল। এটা পবিত্র বাইবেলের সত্য ঈশ্বর প্রাচীন ইস্রায়ায়েলের লোকেদের জানিয়েছেন।

 

মানব শরীর সম্পর্কেঃ

মাটি থেকে মানুষের সৃষ্টিঃ

বিজ্ঞান আমাদের বলে মানব শরীর গঠিত হয়েছে, অক্সিজেন, কার্বন, হাইড্রোজেন, নাইট্রজেন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস,পটাশিয়াম, সালফার, সোডিয়াম,ক্লোরিন ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি উপাদানের দ্বারা গঠিত।[38] এই উপাদান গুলো আমাদের পৃথিবীতেই রয়েছে অর্থাৎ আমরা এই পৃথিবীর উপাদান দ্বারাই সৃষ্টি হয়েছি।

সেই জন্য পবিত্র বাইবেল বলে প্রথম মানুষ পৃথিবীর মাটি দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে

But now, O Lord, thou art our father; we are the clay, and thou our potter; and we all are the work of thy hand.[39]

অনুবাদঃ “কিন্তু এখন, হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের পিতা; আমরা মৃত্তিকা, আর তুমি আমাদের কুম্ভকার; আমরা সকলে তোমার হস্তকৃত বস্তু।

 And the Lord God formed man of the dust of the ground, and breathed into his nostrils the breath of life; and man became a living soul.[40]

আর সদাপ্রভু ঈশ্বর মৃত্তিকার ধূলিতে আদমকে (অর্থাৎ মনুষ্যকে) নির্মাণ করিলেন, এবং তাহার নাসিকায় ফুঁ দিয়া প্রাণবায়ু প্রবেশ করাইলেন; তাহাতে মনুষ্য সজীব প্রাণী হইল।

 

ভ্রুনের বিকাশ সম্পর্কেঃ

বিজ্ঞান বলে, মায়ের শরীরে নতুন প্রাণ ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠে৷ ভ্রূণের বয়স ৩০ দিন হলে আকারে তা প্রায় ৬ মিলিমিটার দীর্ঘ হয়ে ওঠে৷ মেরুদণ্ড দেখা যায়, হাত ও পায়ের গঠন শুরু হয়৷ এই পর্যায়ে তার কাঠামো হয় পুরুষ অথবা নারীর জননেন্দ্রিয় গঠন করে৷[41] বিজ্ঞান বলে, ভ্রুন ৬ষ্ঠ মাস পর্যন্ত মানব রুপ ধারন করতে থাকে যেমন শরীরের অঙ্গগুলোর বিকাশ ঘটে কিন্তু সপ্তম মাসে শিশুর হাড় গঠন শুরু হয়।

সপ্তম মাসঃ এই পর্যায়ের মধ্যে,শিশু চোখ খুলতে পারে এবং তার চোখের জল বা অশ্রু তৈরী হয়।গর্ভের মধ্যে সে এখন তার আন্দোলনের সাথে আরও বেশ কিছুটা সক্রিয়।এই পর্যায়ে অর্জিত অন্য মাইলস্টোনটি হল শিশুটি হেঁচকি তুলতে শুরু করতে পারে। এই সময়ের মধ্যে তার হাড় এবং দেহস্থ মেদ বা ফ্যাট বিকাশ পেতে শুরু করে। এই মাসের শেষে তার ওজন হয়ে ওঠে প্রায় 3-3½ পাউন্ড মত এবং লম্বায় হয় প্রায় 11 ইঞ্চি মত।[42]

অর্থাৎ প্রথমে মাংস পেশির বিকাশ পরে হাড় গঠন হয়। আপনি হয়তো অবাক হয়ে যাবে যে পবিত্র বাইবেলে ভ্রনের এই বিকাশ সম্পর্কে উল্লেখিত রয়েছেঃ

 Hast thou not poured me out as milk, and curdled me like cheese? Thou hast clothed me with skin and flesh, and hast fenced me with bones and sinews.[43]

অনুবাদঃ তুমি কি দুগ্ধের ন্যায় আমাকে ঢাল নাই? ছানার ন্যায় কি আমাকে ঘনীভূত কর নাই? তুমি আমাকে চর্ম ও মাংস পরিহিত করিয়াছ, অস্থি ও শিরা দিয়া আমাকে বুনিয়াছ; কেরী

পবিত্র বাইবেল আমাদের বলছে মানুষ কিভাবে তরল উপাদান থেকে ঘনীভূত হয় মাংস পেশ সমূহের গঠন হয় তারপরে অস্থি/হাড়ের ঘটন হয়।  আজ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বছর আগের কোন মানুষের পক্ষে এটা বলা সম্পূর্ন অসম্ভব ছিল।


রক্ত সম্পর্কেঃ

বর্তমান বিজ্ঞান বলে, “Blood is the fluid of health, transporting disease-fighting substances to the tissue and waste to the kidneys. Because it contains living cells, blood is alive. Red blood cells and white blood cells are responsible for nourishing and cleansing the body. Without blood, the human body would stop working.[44]

 বিজ্ঞান বলছে রক্ত জীবন্ত এবং রক্ত ছাড়া মানব শরীর কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এই কথা বলার হাজার-হাজার বছর আছে পবিত্র বাইবেল এই কথা ঘোষণা করেছেঃ

For the life of the flesh is in the blood:[45]

অনুবাদঃ “কেননা রক্তের মধ্যেই শরীরের প্রাণ থাকে”কেরী


ঔষধ সম্পর্কেঃ

পবিত্র বাইবেলে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বছর আগে বলা হয়েছে ইয়াওয়ে ঔষধি গাছ সৃষ্টি করেছেন,

And God said, Let the earth bring forth grass, the herb yielding seed, and the fruit tree yielding fruit after his kind, whose seed is in itself, upon the earth: and it was so.[46]

অনুবাদঃ পরে ঈশ্বর কহিলেন, ভূমি তৃণ, বীজোৎপাদক ওষধি ও সবীজ স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী ফলের উৎপাদক ফলবৃক্ষ ভূমির উপরে উৎপন্ন করুক; তাহাতে সেইরূপ হইল। কেরী

ঔষধি গাছ যুগ যুগ ধরে মানব কল্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে যা আমাদের ঈশ্বরের দেওয়া উপহার।

 

খাদ্য সম্পর্কেঃ


শুকরের মাংসের বিষয়েঃ


শুকরের মাংসের উপকারিতার থেকে ক্ষতিকর দিক গুলো বেশি আছে, শুয়োরের মাংসকে অ্যালার্জিক খাদ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। শুয়োরের মাংসের অ্যালার্জি বিরল, কিন্তু খাবারের অ্যালার্জিযুক্ত ব্যক্তিদের সতর্ক হওয়া উচিত। এটি এই কারণে যে শুয়োরের সিরামে প্রোটিন রয়েছে - অ্যালবুমিন এবং ইমিউনোগ্লোবুলিন, যা শরীরে অ্যালার্জির প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে। সুস্পষ্ট কারণে, মাংসে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকে। শুকরের মাংসের ক্ষতি পরজীবী দ্বারা হয়। এই পরজীবীগুলি শুয়োরের পেশী টিস্যুতে পাওয়া যায়, মানবদেহে প্রবেশ করে, তারা হৃদয়ের পেশীতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়, সেখানে সংখ্যাবৃদ্ধি করে, যার ফলে একজন ব্যক্তির জীবন-হুমকি সৃষ্টি করে। [47]

অন্যদিকে পবিত্র বাইবেল হাজার হাজার বছর আগেই শুকরের মাংস খেতে নিষেধ করা হয়েছে,

And the swine, because it divideth the hoof, yet cheweth not the cud, it is unclean unto you: ye shall not eat of their flesh, nor touch their dead carcase.[48]

অনুবাদঃ আর শূকর দ্বিখণ্ড খুরবিশিষ্ট বটে, কিন্তু জাবর কাটে না, সে তোমাদের পক্ষে অশুচি; তোমরা তাহাদের মাংস ভোজন করিবে না, তাহাদের শব স্পর্শও করিবে না।

 

পবিত্র বাইবেলে আরো অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য রয়েছে যা বর্তমান বিজ্ঞান আবিস্কার করার আগে থেকেই পবিত্র বাইবেলে লিপিবদ্ধ রয়েছে (সব উল্লেখ করি নাই)। আমার কাছে যে গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ন  বলে মনে হয়েছে সেই গুলো আমি দেখিয়েছি। পবিত্র বাইবেল হলো মহাবিশ্বের স্রষ্টা ইয়াওয়ে [יהוה‎ ] এলোহীম [אֱלֹהִים] এর বানী যার সাথে পৃথিবীর অন্য কোন  গ্রন্থের কোন তুলনা দেওয়া যায় না। এতো প্রমানের পরেও যদি কেউ দাবি করে ঈশ্বর বলতে কেউ নেই! তবে তাকে পবিত্র বাইবেল এই কথা বলে,

The fool hath said in his heart, There is no God.[49]

অনুবাদঃ মূর্খ নিজের হৃদয়ে বলে, “ঈশ্বর নেই। BCV



[1] Psalm 19:1-3 KJV

[2] Jeremiah 10:12; KJV

[3] Romans 1:20;

[4] Isaiah 45:18;KJV

[6] Genesis 1:1; KJV

[7] Isaiah 42:5;KJV

[8] Isaiah 44:24; KJV

[9] Isaiah 45:12; KJV

[10] Jeremiah 10:12KJV

[11] Jeremiah 51:15; KJV

[13] Genesis 1:1; KJV

[16] Genesis 1:3;KJV

[18] Job 38:24; KJV

[19] Uzan, J-P; Leclercq, B (২০০৮) The Natural Laws of the Universe The Natural Laws of the Universe: Understanding Fundamental Constants পৃষ্ঠা 43–4 আইএসবিএন 978-0-387-73454-5 ডিওআই:10.1007/978-0-387-74081-2 বিবকোড:2008nlu..book

[20] Job 38:19 KJV

[21] Job 28:25 KJV

[22] Isaiah 50:3;KJV

[23] Matthew 25:30; KJV

[24] Jude 1:6KJV

[26] Job 26:7; KJV

[27] Isaiah 40:22; KJV

[28] Jonah 2:5-6; KJV

[29] Psalm 8:8; KJV

[32] Job 38:30; KJV

[33] Job 37:10; NIV

[34] "The Water Cycle" জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৩

[35] Job 36:28 NIV

[36] Amos 9:6;NIV

[37] Psalm 135:7KJV

[39] Isaiah 64:8;KJV

[40] Genesis 2:7; KJV

[43] Job 10:10-11; KJV

[45] Leviticus 17:11; KJV

[46] Genesis 1:11;KJV

[48] Deuteronomy 14:8;KJV

[49] Psalm 14:1KJV

 


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: