
লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।
সমালোচকের দাবিঃ মথি বলেন: ‘‘এভাবে ইব্রাহিম থেকে দাউদ পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ; দাউদ থেকে ব্যাবিলনে বন্দী করে নিয়ে যাবার সময় পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ; ব্যাবিলনে বন্দী হবার পর থেকে মসীহ্ পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ।’’ (মথি ১/১৭, মো.-০৬)
এ কথাটা ভুল। কারণ এখানে বলা হয়েছে: যীশুর বংশ তালিকা তিন অংশে বিভক্ত, প্রত্যেক অংশে ১৪ পুরুষ, তাহলে মোট ৪২ পুরুষ। এ কথাটা সুস্পষ্ট ভুল। মথির ১/১-১৭-র বংশ তালিকায় যীশু থেকে অবরাহাম পর্যন্ত ৪২ পুরুষ নয়, বরং ৪১ পুরুষের উল্লেখ রয়েছে। যে কোনো পাঠক গণনা করলেই তা দেখবেন। তবে কেউ যদি দাবি করেন যে, ৪১ ও ৪২ একই সংখ্যা তবে তার দাবি বিবেচনা করতে হবে; কারণ খ্রিষ্টধর্মে তিনে এক হয় বা তিন ও এক একই সংখ্যা বলে বিশ্বাস করতে হয়।
জবাবঃনা এখানে কোন ভুল নেই, কারন মথি ১:১৭ পদে সাধু মথি লিখেছেন, “এইরূপে অব্রাহাম অবধি দায়ূদ পর্যন্ত সর্বসুদ্ধ চৌদ্দ পুরুষ; দায়ূদ অবধি বাবিলে নির্বাসন পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ; এবং বাবিলে নির্বাসন অবধি খ্রীষ্ট পর্যন্ত চৌদ্দ পুরুষ”
অব্রাহাম থেকে দায়ূদ পর্যন্ত ১৪ পুরুষ
দায়ূদ থেকে ব্যাবিলনে নির্বাসন এর পর্যন্ত ১৪ পুরুষ
অর্থাৎ নবী দায়ূদ ২ বার গননার মধ্যে আসেছেন , তাকে দুই বার গোনা হয়েছে অব্রাহাম থেকে তার পর্যন্ত এবং ব্যাবিলনে নির্বাসন পর্যন্ত। তাহলে এখানে বিষয়টি তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন যিনি নিজেই এই তালিকা করেছেন। আমরা যদি সাধু মথির ব্যাখ্যা অনুসারে বংশ তালিকা করি তবে আমরা দেখতে পাই সেখানে মূলত কোন ভুল নেই সেখানে ৪২ জনের তালিকা করা হয়েছে। তাই এখানে কোন ভূল নেই।
0 coment rios: