
সমালোচকের দাবিঃ বাইবেল বলছে, ভাইয়ের জীবদ্দশায় ভাবীকে বিয়ে করলে তাদের সন্তান হবে না এবং চাচী বা মামীর সাথে সহবাস করলে তাদের সন্তান হবে না। লেবীয় ২০/২০-২১: কি. মো.-২০০৬: ‘‘যদি কেউ চাচী বা মামীর সংগে সহবাস করে, তবে সে তার চাচা বা মামার অসম্মান করে। এর জন্য তাদের দু’জনকেই দায়ী করা হবে। তারা সন্তানহীন অবস্থায় মরবে। ভাই জীবিত থাকা অবস্থায় যে তার স্ত্রীকে বিয়ে করে সে একটা জঘন্য কাজ করে। এতে সে তার ভাইয়ের অসম্মান করে। তাদের কোন সন্তান হবে না।’’ কি. মো.-২০১৩: আপন ভাইয়ের স্ত্রীর ইজ্জত নষ্ট করাতে তারা নিঃসন্তান থাকবে।’’
কথাগুলো বাস্তবে ভুল। এরূপ অগণিত মানুষ অনেক সন্তান-সন্ততির পিতামাতা হয়েছেন। ভাইয়ের তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ভাইয়ের জীবদ্দশায় বিবাহ করে সন্তান-সন্ততি লাভ করা মানুষের অভাব নেই। তেমনি চাচী বা মামীর সাথে ব্যভিচার করার কারণে ব্যভিচারী বা ব্যভিচারিণী নিঃসন্তান মারা গিয়েছে বলেও কোনো প্রমাণ নেই।
জবাবঃ এখানে বলা হয়েছে চাচী/মামীর সাথে সহবাস করা অনুচিত যে এই ধরনের খারাপ কাজ করবে তাদের জন্য শাস্তি হবে তারা মৃত্যু পর্যন্ত সন্তান নিতে পারবে না। কেন নিতে পারবে না? কারন নবী মোশীর সময়ে ইয়াওয়ে এলোহীম এই আইন “LAW” দিয়েছেন, “কোনও জারজ লোক বা তার বংশধর সদাপ্রভুর লোকদের সমাজে যোগ দিতে পারবে না; তার দশম পুরুষ পর্যন্তও তা করতে পারবে না।” -দ্বিতীয় বিবরন২৩:২;
যেহেতু কোন জারজ লোক এবং তার ১০ম বংশধর পর্যন্ত ইস্রায়েলের সমাজে যোগ দিতে পারবেন না, সেই জন্যই যারা নিজের চাচী/মামীর সাথে সহবাস করে তাদের নিঃসন্তান থাকার জন্য ইয়াওয়ে এলোহীম আইন দিয়েছেন। যা নিঃশন্দেহে উত্তম নিয়ম। কারন সেই লোকেরা যদি সন্তান গ্রহন করে তবে তারা কেউ ইস্রায়েলের সমাজে যোগ দিতে পারবে না। আর যেহেতু তারা ইস্রায়েলের সমাজে যোগ দিতে পারবে না তাই তাদের জন্ম দিয়েও কোন লাভ নেই।
কিন্তু সমালোচক মহোদয় যেভাবে অভিযোগটা করেছেন মনে হচ্ছে উনি চাচি/মামির সাথে সহবাসের বিরুদ্ধে ইয়াওয়ে এলোহীমের আইনটি মানতে পারেন নি।
0 coment rios: