
সমালোচকের
দাবি:
পুরাতন নিয়মের প্রথম পুস্তক Genesis, বাংলায় ‘আদিপুস্তক’ বা ‘পয়দায়েশ’। এ পুস্তকের ২/১৭ শ্লোক (মো.১৩): ‘‘কিন্তু নেকী-বদী-জ্ঞানের বৃক্ষর ফল ভোজন করো না, কেননা যে দিন তার ফল খাবে, সেদিন মরবেই মরবে (surely die)।’’
এ কথাটা ভুল। কারণ আদম (আ.) এ বৃক্ষের ফল ভোজন করেছেন এবং যে দিন এ বৃক্ষের ফল ভোজন করেছেন, সে দিন তিনি মরেননি। বরং এর পরেও ৯০০ বছরের বেশি সময় তিনি জীবিত ছিলেন। (আদিপুস্তক ৫/৫)
জবাব: ইয়াওয়ে এলোহীম আদমকে বলেছিলেন "কিন্তু সদসদ্-জ্ঞানদায়ক যে বৃক্ষ তাহার ফল ভোজন করিও না, কেননা যে দিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে।"আদিপুস্তক২:১৭
আমরা যখন আদিপুস্তক ৩:৬; পদ পড়ি তখন দেখতে পাই আদম এবং হবা দুইজনে সেই ফল খেয়েছিল "নারী যখন দেখিলেন, ঐ বৃক্ষ সুখাদ্যদায়ক ও চক্ষুর লোভজনক, আর ঐ বৃক্ষ জ্ঞানদায়ক বলিয়া বাঞ্ছনীয়, তখন তিনি তাহার ফল পাড়িয়া ভোজন করিলেন। পরে আপনার মত নিজ স্বামীকে দিলেন, আর তিনিও ভোজন করিলেন।"
সমালোচক দাবি করেছেন আদম-হবা সেই দিন ত মরে নি, বরং আদম ৯৩০ বছর বেঁচে ছিলেন(আদিপুস্তক৫:৫) এটা বাইবেলের ভূল!
এটা মোটেই কোন ভূল নয় বরং সমালোচকের বোঝার ভূল!!!
পবিত্র শাস্ত্র আমাদের বলে, আদম-হবা যেদিন সেই ফল খেয়েছিল সেই দিনেই তাদের মৃত্যু হয়েছিল,
ইয়াওয়ে এলোহীমের এক দিন আমাদের এক হাজার বছরের সমান এবং আমাদের এক হাজার বছর ইয়াওয়ে এলোহীমের কাছে এক দিনের সমান। ইয়াওয়ে এলোহীমের দিনের হিসাবে সেই দিনি আদম হবা মরে গিয়েছিল,
“কেননা সহস্র বৎসর তোমার দৃষ্টিতে যেন গত কল্য, তাহা ত চলিয়া গিয়াছে, আর যেন রাত্রির এক প্রহরমাত্র।”- গীতসংহিতা৯০:৪;
“প্রভুর কাছে এক দিন সহস্র বৎসরের সমান, এবং সহস্র বৎসর এক দিনের সমান।”-২পিতর৩:৮;
পবিত্র শাস্ত্র আমাদের বলে আদম ৯৩০ বছর বেঁচেছিলেন
“সর্বসুদ্ধ আদমের নয়শত ত্রিশ বৎসর বয়স হইলে তাঁহার মৃত্যু হইল।”– আদিপুস্তক৫:৫;
আদম ১ হাজার বছরের বেশি জীবিত থাকতে পারেন নাই তার আগেই তিনি মারা গেছেন। ইয়াওয়ে এলোহীমের দিনের হিসাবে সেই দিনেই আদম মারা গিয়েছেন যেহেতু তাঁর একদিন আমাদের ১হাজার বছরের সমান। তাই এখানে কোন ভূল নেই।
0 coment rios: