মার্ক১৫:৩১-৩২; পদে লেখা আছে, “আর সেই রূপে প্রধান যাজকেরাও অধ্যাপকদের সহিত আপনাদের মধ্যে তাঁহাকে বিদ্রূপ করিয়া কহিল, ঐ ব্যক্তি অন্য অন্য লোককে রক্ষা করিত, আপনাকে রক্ষা করিতে পারে না; খ্রীষ্ট, ইস্রায়েলের রাজা, এখন ক্রুশ হইতে নামিয়া আইসুক, দেখিয়া আমরা বিশ্বাস বিশ্বাস করিব। আর যাহারা তাঁহার সঙ্গে ক্রুশে বিদ্ধ হইয়া ছিল, তাহারাও তাঁহাকে তিরস্কার করিল”
এখানে লক্ষণিয় বিষয়টি হলো “সময়”। যখন যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশের উপরে দোষ-সূচক অধিলিপি লাগানো হয়ে ছিল এটা ছিল সেই সময়ের কথা[মার্ক১৫:২৬-৩২] যখন দুজন দস্যু যীশু খ্রীষ্টকে বিদ্রূপ করেছিল। কিন্তু লূকের সুসমাচারে উল্লেখ করা হয় নাই যে, কখন যীশু খ্রীষ্টের ক্রুশের উপরে দোষ-সূচক অধিলিপি লাগানো হয়ে ছিল! সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে , “আর তাঁহার উর্ধে এই অধিলিপি ছিল”-লূক২৩:৩৮; যেহেতু মার্ক তার সুসমাচারে এই তথ্যটি উল্লেখ করেছেন সেই জন্য লূক সেটা উল্লেখ করেন নাই, লূকের সুসমাচারে উল্লেখ করা হয়েছে কখন একজন দস্যু তার মন পরিবর্তন করেছিলেন। যীশু খ্রীষ্ট যখন ক্রুশের উপরে প্রথম বাণী উল্লেখ করেন “পিতা ইহাদিগকে ক্ষমা কর, কেননা ইহারা কি করিতছে তাহা জানে না।”[লূক২৩:৩৮;] এই বানীটি শোনার পরে দুই জনের মধ্যে একজন মন পরিবর্তন করেন এবং তখন তিনি অন্য দস্যুর সমালোচনা করেন এবং যীশু খ্রীষ্টকে নিজের রাজা হিসাবে গ্রহন করেন[লূক২৩:৩৯-৪২;] তাই এখানে কোন বৈপরীত্য নেই।
লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।
0 coment rios: