খ্রিস্টানদের বিশ্বাস হলো ----
হযরত ঈসা মসীহকে যখন তারিকাবন্দী দেওয়া হচ্ছিল, তখন এই পাকরূহ-ই কবুতর আকৃতিতে অবতীর্ণ হয়ে ঈসা মসীহের সত্তায় মিশে গিয়েছিল (মথি ৩:১৬)
পরবর্তীতে হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে যখন আকাশে তুলে নেওয়া হয়েছিল তখন পঞ্চাশত্তমী ঈদের দিন এই প্রাক রুহ-ই আগুনের জিহ্বা আকারে এসে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর শীষ্যবর্গের উপর বসে ছিল (প্রেরিত ২:১-২২)
কিন্তু অতি দুঃখের কথা হল---- তারা তাদের বাইবেল থেকে পাক রুহের খোদা হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো প্রমাণ পেশ করতে পারেনা ।
⛔ জবাব দিয়েছেনঃ দানিয়েল স্টিফেন।
⛔জবাবঃ পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের আত্মা। এখানে পুরাতন নিয়মের "ঈশ্বরের আত্মা"-ই যে ঈশ্বর এবং এই "ঈশ্বরের আত্মা"-ই যে নতুন নিয়মে উল্লিখিত " পবিত্র আত্মা"-ই সে বিষয়ে আমরা জানব। নীচের রেফারেন্সগুলো খেয়াল করি।
রেফারেন্সঃ
ঈশ্বর আত্মা, তাই যারা তাঁর উপাসনা করে, তাদের আত্মায় ও সত্যে উপাসনা করতে হবে।
যোহন 4:24
শুরুতে ঈশ্বর আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করলেন। এমতাবস্থায় পৃথিবী নিরবয়ব ও ফাঁকা ছিল, গভীরের উপরের স্তরে অন্ধকার ছেয়ে ছিল, এবং ঈশ্বরের আত্মা জলের উপর ভেসে বেড়াচ্ছিলেন।
আদি পুস্তক 1:1-2
যখন তিনি ও তাঁর দাস গিবিয়াতে পৌঁছালেন, শোভাযাত্রা করে আসা ভাববাদীদের সঙ্গে তাঁর দেখা হল; ঈশ্বরের আত্মা প্রবল পরাক্রমে তাঁর উপর নেমে এলেন, এবং তিনিও তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ভাববাণী বললেন। যখন তাঁর পূর্ব-পরিচিত লোকেরা ভাববাদীদের সঙ্গে সঙ্গে তাঁকেও ভাববাণী বলতে দেখল, তারা তখন পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করল, “কীশের ছেলের হোলো-টা কী? শৌলও কি ভাববাদীদের মধ্যে একজন?”
1 শমূয়েল 10:10-11
তখন পিতর বললেন, “অননিয়, এ কী রকম হল, শয়তান তোমার অন্তরকে এমন পূর্ণ করল যে, তুমি পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যা বললে এবং ভূমির বিক্রয়লব্ধ অর্থের কিছু অংশ নিজের জন্য রেখে দিলে? বিক্রি করার পূর্বে তা কি তোমারই ছিল না? আর বিক্রি করার পরেও সেই অর্থ কি তোমারই অধিকারে ছিল না? এরকম একটি কাজ করার কথা তুমি কী করে চিন্তা করলে? তুমি মানুষের কাছে নয়, কিন্তু ঈশ্বরেরই কাছে মিথ্যা বললে।”
প্রেরিত 5:3-4
তখন পিতর সেই এগারোজনের সঙ্গে উঠে উচ্চকণ্ঠে জনতাকে সম্বোধন করলেন, “সহ-ইহুদি ও জেরুশালেমে বসবাসকারী আপনারা সকলে, আমাকে এই ঘটনার কথা আপনাদের কাছে ব্যাখ্যা করতে দিন; আমি যা বলি, তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এই লোকেরা মত্ত নয়, যেমন আপনারা মনে করছেন। এখন সকাল নয় টা মাত্র! আসলে ভাববাদী যোয়েল এই ঘটনার কথাই ব্যক্ত করেছিলেন:
“ঈশ্বর বলেন, ‘অন্তিমকালে,
আমি সব মানুষের উপর আমার আত্মা ঢেলে দেব।
তোমার পুত্রেরা ও কন্যারা ভাববাণী বলবে,
তোমার যুবকেরা দেখবে দর্শন ও
তোমাদের প্রবীণেরা দেখবে স্বপ্ন।”
প্রেরিত 2:14-17
(আর তারপর,
আমি সমস্ত মানুষের উপরে আমার আত্মা ঢেলে দেব।
তোমাদের পুত্রেরা ও কন্যারা ভাববাণী বলবে,
তোমাদের প্রবীণেরা স্বপ্ন দেখবে,
তোমাদের যুবকেরা দর্শন পাবে।
যোয়েল 2:28)
📛 মন্তব্যঃ আমরা যোহন ৪ঃ২৪ পদ এবং আদিপুস্তক ১ঃ১-২ পদ থেকে জানলাম ঈশ্বর আত্মা। নতুন ও পুরাতন উভয় নিয়মের থেকে এ বিষয়টি আমাদের কাছে পরিস্কার হল।
পুরাতন নিয়মের প্রথম শমুয়েল ১০ঃ১০-১১ পদে আমরা দেখলাম ঈশ্বরের আত্মা পরাক্রমের সাথে শৌলের উপর নেমে আসলে তিনি নবী হিসাবে ভাববানী বলেছেন। একই ঘটনা ঘটেছিল যখন পবিত্র আত্মা শিষ্যদের উপর নেমে এসেছিল যখন তারা বিভিন্ন ভাষায় কথা বলেছিলেন। পিতর এই ঘটনাকে পুরাতন নিয়মের যোয়েল নবীর ভবিষ্যৎবাণীর পরিপূর্ণতা বলেছেন যা আমরা প্রেরিত ২ঃ১৪-১৭ পদে দেখি। তাহলে পুরাতন নিয়মে বলা ঈশ্বরের আত্মাই যে পবিত্র আত্মা এটি আমাদের কাছে আবার পরিস্কার হল। পিতর প্রেরিত ৫ঃ৩-৪ পদে পবিত্র আত্মার কাছে মিথ্যা বলাকে ঈশ্বরের কাছেই মিথ্যা বলা বলে উল্লেখ করেছেন।
আমরা দেখব যীশু পবিত্র আত্মা ও ঈশ্বরের আত্মাকে কিভাবে দেখেছেন। আমরা মার্ক ১ঃ১০ পদের সাথে লুক ৪ঃ১৮-১৯ পদের তুলনা দেখব।
রেফারেন্সঃ
যীশু জলের মধ্য থেকে উঠে আসা মাত্র দেখলেন, আকাশ উন্মুক্ত হয়ে গেছে এবং পবিত্র আত্মা কপোতের মতো তাঁর উপরে অবতরণ করছেন। আর সেই মুহূর্তে স্বর্গ থেকে এক স্বর ধ্বনিত হল: “তুমি আমার পুত্র, আমি তোমাকে ভালোবাসি, তোমারই উপর আমি প্রসন্ন।”
মার্ক 1:10-11
“প্রভুর আত্মা আমার উপর অধিষ্ঠিত,
কারণ দীনহীনদের কাছে সুসমাচার প্রচারের জন্য
তিনি আমাকে অভিষিক্ত করেছেন।
দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার জন্য;
তিনি আমাকে বন্দিদের কাছে মুক্তি প্রচার করবার জন্য প্রেরণ করেছেন,
অন্ধদের কাছে দৃষ্টিপ্রাপ্তি প্রচার করার জন্য,
নিপীড়িতদের নিস্তার করে বিদায় করার জন্য,
প্রভুর প্রসন্নতার বছর ঘোষণা করার জন্য।”
তারপর তিনি পুঁথিটি গুটিয়ে পরিচারকের হাতে ফেরত দিয়ে আসন গ্রহণ করলেন। সমাজভবনে সকলের দৃষ্টি তাঁর উপরে নিবদ্ধ হল। তিনি তাঁদের প্রতি এই কথা বললেন, “আজ এই শাস্ত্রীয় বাণী তোমাদের কর্ণগোচরে পূর্ণ হল।”
লূক 4:18-21
✡️ মার্ক ১ঃ১০-১১ পদে উল্লিখিত পবিত্র আত্মা যা যীশুতে অবস্থিতি করেছিলেন সেই পবিত্র আত্মাই যে ঈশ্বরের আত্মা তা পুরাতন নিয়মের রেফারেন্স দিয়ে যীশু নিজেই নিশ্চিত করেছেন লুক ৪ঃ১৮-২১ পদের মাধ্যমে।
সুতরাং এ বিষয়টি আবারো প্রতিষ্ঠিত হল "ঈশ্বরের আত্মা" হলেন ঈশ্বর নিজে আর পুরাতন নিয়মের "ঈশ্বরের আত্মা"-ই নতুন নিয়মের "পবিত্র আত্মা"।
পবিত্র আত্মা কি ঈশ্বরের আত্মা?
অভিযোগঃ " পাক রুহ খোদা নয় "
0 coment rios: