Wednesday, October 12, 2022

পবিত্র বাইবেল অনুসারে কি আকাশের পিলার আছে?



লেখক: পাষ্টর জনসন সরকার

অভিযোগঃ গগনমণ্ডলের স্তম্ভ সকল কম্পিত হয়, তাঁহার ভর্ৎসনায় চমকিয়া উঠে।[1]

জবাবঃ  প্রাচীন কাব্যিক রূপক ভাষায় এখানে মূলত পাহাড়- পর্বতের কথা বলা হয়েছে।  ভূমিকম্পের কারণে পাহাড়-পর্বতের কম্পমান অবস্থার কথা এখানে বলা হয়েছে। সাধারণত ভাঁজ পর্বতের নিকট অধিক ভূমিকম্প হয়।[2]

এখানে ব্যবহৃত "স্তম্ভ" শব্দটি হিব্রুতে "আমুদ"। স্ট্রং নাম্বার h5982এর বিশ্লেষণ নীচে দেয়া হল

Strong's h5982

 - Lexical: עַמּוּד

- Transliteration: ammud

- Part of Speech: Noun Masculine

- Phonetic Spelling: am-mood'

- Definition: a pillar, column.

- Origin: Or ammud {am-mood'}; from amad; a column (as standing); also a stand, i.e. Platform.

- Usage: X apiece, pillar.

আমরা এখানে বুঝতে পারছি এই শব্দের অর্থ উলম্ব বা খাড়া স্তম্ভ। আবার কাঠামো বা মঞ্চ অর্থেও এটি ব্যবহৃত হতে পারে। 

এখন আমরা বুঝব, কেন আকাশের স্তম্ভ বলতে পর্বতকেই বাইবেলে বুঝানো হয়েছে। আমরা জানি সুউচ্চ পর্বতগুলো নীচের বায়ুমন্ডল অর্থাৎ যে স্তরে মেঘমালা বিচরণ করে তার উপরে অবস্থান করে। এভাবে এগুলো আকাশের স্তম্ভরূপে প্রতিভাত হয় যা মেঘমালাকে ধরে রাখে। এর ফলে আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়। মূলত পর্বতসমূহের সাথে বায়ুমন্ডলের সরাসরি সম্পর্ক আছে, আকাশের স্তম্ভ হয়ে এগুলো মেঘকে বাধা দেয়, বৃষ্টিপাত ঘটায়।

আমরা যদি এভারেস্ট পর্বত দেখি তবে বিষয়টি বুঝতে পারব। কারন এই পর্বতটির নীচে মেঘ দেখা যায় অর্থাৎ মাটি থেকে শুরু করে মেঘ পর্যত্ন এই পর্বতের উচ্চতা তাই ক্যাবিক ভাষায় আকাশের স্তম্ভ বলতে পাহাড় পর্বতকে বোঝানো হয়েছে।





কুরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে আল্লাহ আকাশকে ধরে রেখেছেন যেন তার মাটিতে না পড়ে যায়ঃ

তুমি কি লক্ষ্য কর না যে, যমীনে যা কিছু আছে এবং নৌযানগুলো যা তাঁরই নির্দেশে সমুদ্রে বিচরণ করে সবই আল্লাহ তোমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। আর তিনিই আসমানকে আটকিয়ে রেখেছেন, যাতে তাঁর অনুমতি ছাড়া তা যমীনের উপর পড়ে না যায়। নিশ্চয় আল্লাহ মানুষের প্রতি বড়ই করুণাময়, পরম দয়ালু।সূরা২২:৬৫ আল-বায়ান

এই আয়াতের তাফসীরকারী জাকারিয়া বলেন,

অর্থাৎ আল্লাহর বিশেষ রহমত যে, তিনি আকাশকে যমীনের উপর ছেড়ে দেন। না। যদি তার রহমত ও শক্তি তা না করত, তবে আসমান যমীনের উপর পড়ে যেত। ফলে এতে যা আছে তা ধ্বংস হয়ে যেত। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “অবশ্যই আল্লাহ আসমানসমূহ ও যমীনকে ধারণ করেন, যাতে তারা ধরে রাখতে পারে না। অবশ্যই তিনি অতি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ণ।” [সূরা ফাতির: ৪১] [সাদী][3]








শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: