
একজন মুসলিম দা’ইয়ী কিছুদিন
আগে বাবিলনীয় উপকথা ইনুমা ইলিশের বর্ণনা দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন বাইবেলের সামসংগীত বা
গীতসংহিতা ১৮ এর কথা গুলো ইনুমা ইলিশ থেকে ধার করা হয়েছে, এবং এর মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছেন
বাইবেলের কাহিনী পেগানিজম থেকে ধার করা। কিন্তু এটি যে বৃথা চেষ্টা তা আজ আমরা প্রমাণ করব।
তিনি কি লিখেছেন তা আমরা দেখিঃ পহেলা বৈশাখ এলেই অনেকে মাথায় পান্তা-ইলিশ ঘোরে। আজকে আমি অবশ্য পান্তা-ইলিশ নিয়ে লিখছি না। বরং অন্য ধরণের এক ‘ইলিশ’ নিয়ে লিখছি।
.
প্রাচীন ব্যাবিলনে অনেক দেব-দেবী উপাসনা হতো। সেই দেব-দেবীদের কাহিনী আছে ‘ইনুমা ইলিশ’ গ্রন্থে। প্রাচীন ব্যাবিলনের প্রধান দেবতা ছিলেন মারডুক (Marduk)। তিনি ছিলেন বজ্রদেবতা। [১] মারডুকের কাহিনী বর্ণনা করতে গিয়ে ‘ইনুমা ইলিশ’ গ্রন্থে বলা হয়েছে, সে মুখ খুললে তা থেকে বেরিয়ে আসতো অগ্নিশিখা। [২] মারডুকের ছিলো ঝড়ো মেঘের রথ যাতে চড়ে বাতাসে উড়ে তিনি আক্রমন করতেন সাগরের দেবী তিয়ামাতকে। [৩] তিনি তীর নিক্ষেপ করে শত্রুকে আক্রমণ করতেন। তার চতুর্দিকে ছিলো বজ্র আর আগুনের শিখা। শত্রুকে ঘিরে ধরবার জন্য তিনি চতুর্দিকে বাতাস প্রবাহিত করতেন। [৪] এভাবে তিনি শত্রুকে পরাজিত করেন। এরপর দেখা যায় পৃথিবীর সূচনা। প্রাচীন ব্যাবিলোনিয়ানদের ‘ইনুমা ইলিশ’ গ্রন্থে এসব কাহিনী বর্ণিত আছে।
.
এবার নিচের লাইনগুলোর দিকে লক্ষ করুন। দেখুন তো কোনো মিল খুঁজে পান কিনা—
.
8 ঈশ্বরের নাক দিয়ে ধোঁয়া বেরিয়ে এলো| ঈশ্বরের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো জ্বলন্ত অগ্নিশিখা| তাঁর দেহ থেকে জ্বলন্ত আগুন বিচ্ছুরিত হতে লাগলো|
9 আকাশমণ্ডল বিদীর্ণ করে প্রভু নীচে নেমে এলেন! একটি ঘন কালো মেঘের ওপর তিনি দাঁড়িয়েছিলেন|
10 বাতাসের পাখায় চড়ে তিনি আকাশের এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে উড়ে বেড়াচ্ছিলেন| বাতাসের ওপর ভর করো, তিনি সুদূর শূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছিলেন|
11 প্রভু একটা ঘন কালো মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন, সেই মেঘ তাঁকে তাঁবুর মত ঘিরেছিল| তিনি ঘন বজ্রময় মেঘের মধ্যে লুকিয়েছিলেন|
12 তারপর মেঘ ভেদ করে ঈশ্বরের আলোকময় ঔজ্জ্বল্য বেরিয়ে এলো| সেখানে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি এবং বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা দিল|
13 আকাশ থেকে প্রভু বিদ্যুতের মত ঝলসে উঠলেন! পরাত্পরের রব শোনা গেল| সেখানে তখন শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রসহ অগ্নিময় বিদ্যুতের ঝলক ছিল|
14 প্রভু তাঁর তীরসমূহনিক্ষেপ করে শত্রুদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেন| প্রভু তীরের মত ক্ষিপ্রগতিতে অনেকগুলো অশনিপাত করলেন এবং লোকরা বিভ্রান্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়লো|
15 প্রভু আপনি উচ্চস্বরে আপনার আজ্ঞা দিলেন এবং তীব্র বেগে বাতাস বইতে শুরু করলো| জল পেছনে সরে গেল এবং আমরা সমুদ্রের তলদেশ দেখতে সমর্থ হলাম| আমরা পৃথিবীর ভিত দেখতে পেলাম| [৫]
.
কী বুঝলেন? হুবহু ‘ইনুমা ইলিশে’র কাহিনী না? মজার ব্যাপার হলো উপরের এগুলো কিন্তু ‘ইনুমা ইলিশ’ না। উপরের এগুলো খ্রিষ্টানদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের সামসঙ্গীত (Book of Psalms) এর ১৮ নং অধ্যায় থেকে নেয়া হয়েছে। যেখানে হুবহু ব্যাবিলোনিয়ান পৌত্তলিকদের দেব-দেবীর কাহিনী থেকে কপি করে “ঈশ্বরেরে বাণী” (?) লেখা হয়েছে। ব্যাবিলোনিয়ান মূর্তিপুজারীদের কাহিনী বাইবেলে কী করে এলো এটা জানা খুব কঠিন কিছু নয়। মূর্তিপুজারী বনী ইস্রাঈল নিজ পাপের জন্য কিভাবে ব্যাবিলনে নির্বাসিত হয়েছিলো এই কাহিনী বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের অনেক জায়গাতেই উল্লেখ আছে। সেখানে দীর্ঘকাল থাকার সময় সেখানকার মূর্তিপুজারীদের কাহিনীগুলো যে তারা নিজেদের কিতাবে টুকে নিয়েছিলো, এটা একদম প্রকাশ্য দিবালোকের মতোই পরিষ্কার। এইসব কাহিনীকে টুকতে গিয়ে তারা নিজেদের কিতাবের ঈশ্বরকে ব্যাবিলোনিয়ান বজ্রদেবতায় পরিনত করেছে। এটা যে পৌত্তলিকদের কল্পকাহিনী এটা বুঝতে আপনাকে 'ইনুমা ইলিশ' নিয়েও ঘাটাঘাটি করারও প্রয়োজন নেই। যিনি সর্বশক্তিমান স্রষ্টা, তাঁকে নিজে নিজে কখনো শত্রুর সাথে এইভাবে যুদ্ধ করতে হয় না। কারণ সবাই তো তাঁর বান্দা। এমন কাহিনী শুধু পৌত্তলিকদের পুরাণেই সম্ভব। সাধারণ খ্রিষ্টান ভাইদেরকেও যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে "আপনাদের ঈশ্বর কি মেঘের রথে উড়ে তীর দিয়ে শত্রুর সাথে যুদ্ধ করেন? তাঁর মুখ দিয়ে কি আগুন বেরোয়?" আমার মনে হয় ফিতরাত থেকে তারা "না" সূচক উত্তরই দেবেন। সামসঙ্গীত ১৮ নং অধ্যায়ের এই কাহিনী দেখালে হয়তো তারা অনেকেই চমকে উঠবেন।
লেখার ফেসবুক লিংকঃ https://www.facebook.com/100000561910678/posts/4338047269557294/
জবাবঃ আমরা দেখি এই দা’ইয়ী এর লেখার প্রথম অংশই বাইবেলের সাথে
সাংঘর্ষিক। তিনি লিখেছেন মারদুকের এসব ঘটনার পরেই ঘটে “এরপর দেখা যায় পৃথিবীর সূচনা।“ এই
অংশটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাইবেলের সৃস্টির বর্ননায় আমরা এধরণের কোন ঘটনা
দেখতে পাইনা। তিনি মারদুকের বিচ্ছিন্ন কিছু বর্ণনার সাথে বাইবেলের বুক অব
সামস(গীতসংহিতা) এর ১৮ অধ্যায়ের মিল খুঁজে পেয়েছেন। ইনুমা ইলিশ থেকে যে অংশগুলো গীতসংহিতা ১৮ এর
সাথে মেলে তা দিয়ে জোড়াতালি মেরে তিনি এই পোস্টটি সাজিয়েছেন। এভাবে প্রচেষ্টা নিলে
অনেক বিষয়ের সাথে অনেক বিষয়ের মিল খুঁজে পাওয়া অসম্ভব কিছু না। এখন আমরা দেখব এই
বর্ণনা কি আসলেই ইনুমা ইলিশ থেকে সংগৃহীত, না তা আসলে বাইবেলে প্রথম দিকের একটি বই
“ এক্সোডাস” বা “যাত্রাপুস্তক” থেকে উৎসারিত যা ইহুদীদের ব্যাবিলনে নির্বাসনের
কয়েকশত বছর পূর্বেই লেখা হয়েছিল।
যাত্রাপুস্তক
১৪ অধ্যায়
19তখন ইস্রায়েলীয় সৈন্যের আগে আগে যাওয়া ঈশ্বরের দূত সরে গিয়ে তাদের পিছু পিছু গেলেন এবং মেঘস্তম্ভ তাদের সামনে থেকে সরে গিয়ে তাদের পিছনে গিয়ে দাঁড়াল; 20তা মিশরের শিবির ও ইস্রায়েলের শিবির, এই দুইয়ের মধ্যে আসল; আর সেই মেঘ ও অন্ধকার থাকল, কিন্তু সেটা রাতে আলো দিল এবং সমস্ত রাত একদল অন্য দলের কাছে আসল না। 21মোশি সমুদ্রের উপরে তাঁর হাত বাড়ালেন, তাতে সদাপ্রভু সেই সমস্ত রাতে শক্তিশালী পূর্ব দিকের বায়ু দিয়ে সমুদ্রকে সরিয়ে দিলেন ও তা শুকনো জমিতে পরিণত করলেন, তাতে জল দুই ভাগ হল। 22আর ইস্রায়েল সন্তানেরা শুকনো পথে সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করল এবং তাদের ডান ও বাম দিকের জল দেওয়ালের মত হল। 23পরে মিশরীয়েরা, ফরৌণের সব ঘোড়া ও রথ এবং ঘোড়াচালকরা তাড়া করে তাদের পিছু পিছু সমুদ্রের মধ্যে প্রবেশ করল। 24কিন্তু রাতের শেষ দিনের সদাপ্রভু অগ্নি ও মেঘস্তম্ভ থেকে মিশরীয় সৈন্যদের উপরে নজর রাখলেন ও মিশরীয়দের সৈন্যকে ব্যাকুল করে তুললেন।
যাত্রাপুস্তক
১৫ অধ্যায়
8তোমার নাকের নিঃশ্বাসে জল এক সাথে জড়ো হল;
স্রোতগুলি স্তূপের মত দাঁড়িয়ে গেল;
সমুদ্রগর্ভে জলরাশি জমাট বাঁধলো।
যা যাত্রাপুস্তক
১৯
4‘ 4আমি মিশরীয়দের প্রতি যা করেছি এবং যেমন ভাবে ঈগল পাখীর ডানা দিয়ে বহন করেছি এবং আমার কাছে নিয়ে এসেছি, তা তোমরা দেখেছ।
17পরে মোশি ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা করার জন্য লোকদেরকে শিবির থেকে বের করে দিলেন, আর তারা পর্বতের নিচে দাঁড়িয়ে থাকলো। 18সীনয় পর্বত সম্পূর্ণ ভাবে ধোঁয়ায় ঢেকে গেল, কারণ সদাপ্রভু আগুন এবং ধোঁয়ার সঙ্গে তার উপরে নেমে আসলেন, আর ভাঁটার ধোঁয়ার মত তা থেকে ধোঁয়া উঠতে লাগল এবং সমস্ত পর্বত খুব কাঁপতে লাগল।
যাত্রাপুস্তক ২০
18তখন সব লোক মেঘগর্জ্জন, বিদ্যুৎ, তূরীধ্বনি ও ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ পর্বত দেখল; যখন লোকেরা সেটি দেখল, তারা ভীত হল এবং দূরে দাঁড়িয়ে থাকলো।
আমরা পরিস্কারভাবে দেখছি গীতসংহিতা ১৮ অধ্যায়ের বর্ণনা মোটেই ইনুমা ইলিশ থেকে কপি করে নয় বরং যাত্রাপুস্তকে ঈশ্বর যেভাবে নিজেকে প্রকাশ করেছিলেন তারই পুনঃপ্রকাশ মাত্র।
একটি আকর্ষণীয় বিষয় এই ইনুমা ইলিশ থেকেই
আপনাদের দেখাই। আমরা অনেকেই জানি আল্লাহ নামটি দুটি অংশ নিয়ে গঠিত , আল+লাহ,
আল্লাহ বলতে একটি নির্দিষ্ট ঈশ্বর কে বুঝায় যা কোন প্রপার নাম নয়। ইনুমা ইলিশে লাহ
নামের দুটি দেবতার নাম পাওয়া যায়। ইনুমা ইলিশের এক নম্বর ট্যাবলেটের ১০ নম্বর
পংক্তিতে ও তিন নমবর ট্যাবলেটের ৬৮ এবং ৬৯ পংক্তিতে আমরা এদের নাম উল্লেখ দেখতে
পাই। এদের একজন লাহ মু ওআরেকজন লাহ আমু।
67 Kaka went. He directed his steps
68 To Lah(mu and Lah(amu, the gods his fathers.
69 He prostrated himself, he kissed
the ground before them,
ইনুমা ইলিশের লিংক এখানে দেয়া হল।
https://www.worldhistory.org/article/225/enuma-elish---the-babylonian-epic-of-creation---fu/
আবার যদি আমরা আরদা ভিরাজ এবং মিরাজের বর্ণনা
পাশাপাশি মেলাই তবে পুরো কনসেপ্টের মাঝে আশ্চর্য মিল খুঁজে পাই যদিও আরদা ভিরাজ
পারস্যের যরথ্রুস্ট ধর্মের একটি স্বর্গ ভ্রমণের বর্ণনা, যেখানে আরদা ভিরাজ নামে
একজন ধার্মিক ব্যক্তি স্বর্গদুতদের ও ধার্মিক ব্যক্তিদের সাথে স্বর্গ নরক পরিদর্শন
করেন। তিনি স্বর্গের বিভিন্ন স্তর , পুলসিরাতের মত সেতু , নরকের বিভিন্ন স্থান ও
এদের শাস্তির বিবরণ দেখেন এবং সবশেষে সৃষ্টিকর্তা ‘ওহরমাজদ” এর সাথে কথা বলেন।
The Book of Arda VIraf; Chapter 101:
13. And he, the creator Ohrmazd, the most munificent of spirits,
said (14) thus: 'Speak thou forth, Arda Viraf, to the Mazdayasnians of the
world, (15) thus: 'There is only one way of piety, the way of the primitive
religion, and the other ways are all no ways.
Link: The Book of Arda Viraf (avesta.org)
বাইবেলের
বিরূদ্ধে লিখতে গিয়ে উপরোক্ত দা’ইয়ী ইনুমা ইলিশ এর বিভিন্ন অংশ থেকে জোড়াতালি দিয়ে
এটা বুঝাতে চেয়েছেন যে, বাইবেলের গীতসংহিতা এর লেখক তাঁর লেখায় ইনুমা ইলিশ থেকে অনুপ্রাণিত
হয়েছেন। কিন্তু আমরা দেখিয়ে দিলাম এরকম উপমার ব্যবহার বহু আগেই বাইবেলে ছিল যখন ইস্রায়েলীরা
ব্যাবিলনে নির্বাসনে যায়নি। কিন্তু অন্যদিকে মিরাজের বর্ণনার সাথে আরদা ভিরাজের বর্ননার
প্রায় পুরো মিলই আমরা দেখতে পাই। শুধু কিছু পাত্র এর নাম পরিবর্তন হয়েছে। স্বর্গদুতদের
নামের স্থানে ইসলামি স্বর্গদুতদের নাম ও ধার্মিক
ব্যক্তিদের স্থানে নবীদের নামের উল্লেখ হয়েছে। এবং পুরো কাহিনীতে কিছু সংযোজন ও বিয়োজন
ঘটেছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন –
যিনি সর্বশক্তিমান স্রষ্টা, তাঁকে নিজে নিজে কখনো শত্রুর সাথে এইভাবে যুদ্ধ করতে হয় না। কারণ সবাই তো তাঁর বান্দা। এমন কাহিনী শুধু পৌত্তলিকদের পুরাণেই সম্ভব।
ঈশ্বর কি যুদ্ধ করেন? অবশ্যই ঈশ্বরের
ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধের প্রয়োজন নেই, কারণ তিনি এধরণের কাজের উর্ধে। এ কথাগুলো
অবশ্যই রূপকভাবে ঈশ্বর বলেছেন তাঁর ভক্তদের সাথে নিজ সম্পৃক্ততা বুঝাতে। আমরা
কুরআনেও এমন নিদর্শন দেখি-
সুরা ৮ আয়াত ১৭
তিনি আরেকটি কথা উল্লেখ করেছিলেন যা খুবই
আপত্তিজনক। সেটি আমরা একটু খেয়াল করি-
যেখানে হুবহু ব্যাবিলোনিয়ান পৌত্তলিকদের দেব-দেবীর কাহিনী থেকে কপি করে “ঈশ্বরেরে বাণী” (?) লেখা হয়েছে।
এখানে তিনি ঈশ্বরের
বাণী-কে প্রশ্নবোধকে রেখে অন্য ধর্মের বিশ্বাসকে উপহাস করেছেন। আমরাও অন্য ধর্মের
বাণীকে ঈশ্বর থেকে এসেছে বলে স্বীকার করি না। কিন্তু কাউকে উপহাস বা ছোট করার
মানসিকতা আমরা ধারণ করি না। আমরা ধর্মীয় বিষয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক সন্মানজনক আলোচনায়
বিশ্বাসী। তাঁর এমন মনোভাব আসলে কুরআনকেই অস্বীকার করার সামিল। কারণ কুরআন বলে –
কুরআন ৬/১১৫
কোন ঈশ্বর যদি এই কথা বলে থাকেন তাহলে
তাঁর অনুসারীদের এটা বুঝতে হবে যে, এটা চীরন্তন সত্যের দিকে ইঙ্গিত করছে। অর্থাৎ
অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের জন্য এই কথাগুলো প্রযোজ্য। যদি বলা হয় এটা কুরআন সম্পর্কে
বলা হয়েছে আগের কিতাব সম্পর্কে নয়, তাহলে ঈশ্বরের অক্ষমতাই প্রকাশ পায়, যা অসম্ভব
বিষয়।
0 coment rios: