
“পরন্তু যিহূদা-সন্তানগণ যিরূশালেম-নিবাসী যিবূষীয়দিগকে অধিকারচ্যুত করিতে পারিল না; যিবূষীয়েরা অদ্যাপি যিহূদা-সন্তানগণের সহিত যিরূশালেমে বাস করিতেছে।”[1]
পবিত্র বাইবেলে হতে জানা যায় যিরূশালেমের নূতন নামকরন করে “যিবূষ” রাখা হয়েছি,
“কিন্তু ঐ ব্যক্তি সেই রাত্রি বিলম্ব করিতে অসম্মত হইল; সে উঠিয়া যাত্রা করিয়া যিবূষের অর্থাৎ যিরূশালেমের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল; তাহার সঙ্গে দুইটি সজ্জিত গর্দভ ছিল; আর তাহার উপপত্নীও সঙ্গে ছিল।”[2]
ইস্রায়েলীয়দের সাথে অনেকবার পরজাতিদের যুদ্ধ হয়েছিল একবার যিহোশূয় পরজাতিদের হারিয়ে দিয়ে যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিল[3] কিন্তু পরে যিহূদার লোকেরা ইস্রায়েলীয়দের সাথে যুদ্ধ করে পুনরায় তা দখল করে নেয়,
“আর যিহূদা-সন্তানগণ যিরূশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া তাহা হস্তগত করিল ও খড়্গধারে আঘাত করিল, এবং আগুন দিয়া নগর পোড়াইয়া দিল।”[4]
নবী যিহোশূয় যখন ইস্রায়েলের অবশিষ্ট ৭টি বংশের মধ্যে গুলিবাটের দ্বারা দেশ ভাগ করছিলেন[5] তখন বিন্যামীন বংশের যিরূশালেম এলাকার নাম লাভ করে।[6]
কিন্তু তারা যিবূষীয়দের দেশ হতে অধিকার চ্যুত করে নি কিন্তু তারা যিবূষীয়দের সাথে বসবাস করেছিল,
“পরন্তু বিন্যামীন-সন্তানগণ যিরূশালেম-নিবাসী যিবূষীয়দিগকে অধিকারচ্যুত করিল না; যিবূষীয়েরা অদ্যাপি যিরূশালেমে বিন্যামীন-সন্তানদের সহিত বাস করিতেছে।”[7]
পরে নবী দায়ূদ তার সময়ে যিরূশালেমকে পুনরায় জয় করেন,
“পরে রাজা ও তাঁহার লোকেরা দেশনিবাসী যিবূষীয়দের বিরুদ্ধে যিরূশালেমে যাত্রা করিলেন; তাহাতে তাহারা দায়ূদকে কহিল, তুমি এই স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবে না, অন্ধেরা ও খঞ্জেরাই তোমাকে তাড়াইয়া দিবে। তাহারা ভাবিয়াছিল, দায়ূদ এই স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন না। কিন্তু দায়ূদ সিয়োনের দুর্গ হস্তগত করিলেন; তাহাই দায়ূদ-নগর।”[8]
সমালোচক মূলত ইতিহাস না জেনে না বুঝেই যে মূর্খের মতন প্রশ্ন করেছেন যা প্রমানিত।
[1] যিহোশূয়১৫:৬৩;
[2] বিচারকর্তৃগণ১৯:১০;
[3] যিহোশূয়১০:১;২৬;৪২;
[4] বিচারকর্তৃগণ১:৮;
[5] যিহোশূয়১৮:১-৬;
[6] যিহোশূয়১৮:২৮;
[7] বিচারকর্তৃগণ১:২১;
[8] ২শমূয়েল৫:৬-৭;
0 coment rios: