লেখকঃ মাসুদ রানা ।

যীশু খ্রীষ্টের প্রতি বিশ্বাস :
আমরা যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করি বলেই বড়দিন ধুম ধামের সাথে উৎযাপন করি । আর এই খ্রীষ্ট ছিলেন আমাদের জন্য ঈশ্বরের এক বিশেষ উপহার। ঈশ্বর আমাদের অনন্ত জীবন দান করিয়াছেন এবং সেই জীবন তাঁহার পুত্রেই আছে। পুত্রকে যে পাইয়াছে, সে সেই জীবন পাইয়াছে, ঈশ্বরের পুত্রকে যে পায় নাই সে সেই জীবন পায় নাই - ১যোহন ৫:১১,১২ পদ। পবিত্র বাইবেলে নতুন নিয়মে দেখতে পাই গাব্রিয়েল দুত ঈশ্বরের নিকট হইতে গালীল দেশের নাসারৎ নামক নগরে একজন কুমারীর নিকটে প্রেরিত হইলেন। দূত তাহার কাছে আসিয়া কহিলেন, অয়ি মহানুগৃহীতে, মঙ্গল হউক; প্রভু তোমার সহবর্তী । এও কহিলেন মরিয়ম, ভয় করিও না, কেননা তুমি ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাইয়াছ। তুমি গর্ভবতী হইয়া পুত্র প্রসব করিবে,ও তাঁহার নাম যীশু রাখিবে। মরিয়ম প্রথম দিকে আশ্চর্য্য বোধ করেছিল, কেননা সে কোন পুরুষকে জানেনা, এটা কিভাবে সম্ভব ? দূত তখন আশ্বস্থ্য করিলেন, পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবে এবং পরাৎপরের শক্তি তোমার উপর কাজ করিবে। তখন তিনি বিশ্বাস পূর্বক বলিলেন, আমি প্রভুর দাসী, আপনার বাক্যানুসারে আমার প্রতি ঘটুক। এর পরে যোষেফ যখন এই সংবাদ শুনলেন তখন তিনি গোপনে ত্যাগ করিবার মানস করিলেন, কিন্তু সেখানেও প্রভুর এক দূত তাকে বললেন, যোষেফ দায়ুদ সন্তান তোমার স্ত্রী মরিয়মকে গ্রহণ করিতে ভয় করিও না, কেননা তাহার গর্ভে যাহা জন্মিয়াছে তাহা পবিত্র আত্মা হইতে হইয়াছে । আর তখন যোষেফও স্বর্গদূতের কথায় বিশা¦স করে মরিয়মকে গ্রহণ করিলেন। যীশুর জন্মের কথা শুনে বিশ্বাস করেছিল মাঠে চৌকিরত রাখালেরা, বিশ্বাস করেছিল পূর্বদেশীয় পন্ডিতেরা, তাইত তারা তাদের শ্রেষ্ট উপহার নিয়ে তাকে একনজর দেখার জন্য হাজির হয়েছিল বৈৎলেহম নগরে সেই গোয়াল ঘরে । এমনকি পূর্বদেশীয় পন্ডিতদের কথায় হেরোদ রাজাও বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছিল যে, এক রাজা জন্মগ্রহণ করেছেন। শিশু যীশুর জন্মে ভীত হয়ে তিনি যীশুর অনুসন্ধান করেছিল, হেরোদ যীশুর সন্ধান না পাইয়া মহাক্রুদ্ধ হইলেন,এবং পন্ডিতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুই বছর ও তাহার অল্প বয়সের যত বালক বৈৎলেহম ও তাহার সমস্ত পরিসীমার মধ্যে ছিল, লোক পাঠাইয়া সেই সকলকে বধ করাইলো। হেরোদেরও বিশ্বাস ছিল তবে সেই সাথে তার রাজত্ব হারাবার ভয় ছিল। আর আমাদের বিশ্বাস হলো মুক্তির। এটাই খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সাথে অবিশ্বসীদের বড় পার্থক্য।
আজকে তিনি আর সেই ছোট শিশু নয়, তিনি ছবির ফ্রেমে নেই, তিনি আজ আমাদের হৃদয়ে আছেন । কারণ আমরা যখন পাপে মরেছি সেই মূহুর্তে ঈশ্বর আমাদেরকে উদ্ধারের জন্য আমাদের ভালবাসার নিদর্শনস্বরুপ তিনি তার পুত্র যীশুকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
আমাদের আজ ভীষন আনন্দ কারণ আমাদের প্রভু আমাদের পাপের জন্য এই ধরাধামে এসেছিলেন, তাঁকে ঈশ্বর নিজেই পাঠিয়েছিলেন। ১ম যোহন ৪:১৫ পদে যে কেহ স্বীকার করিবে যে, যীশু ঈশ্বরের পুত্র, ঈশ্বর তাহাতে থাকেন, এবং সে ঈশ্বরে থাকে। তাই দেখতে পাই যে, যীশুকে বাদ দিয়ে আমরা ঈশ্বরে থাকতে পারি না এবং ঈশ্বরও আমাদের মধ্যে থাকতে পারেন না। ঈশ্বরকে জানতে হলে প্রথমে যীশুকে জানতে হবে। ১ম যোহন ৪: ২,৩ পদে-- ইহাতে তোমরা ঈশ্বরের আত্মাকে জানিতে পার; যে কোন আত্মা যীশু খ্রীষ্টকে মাংসে আগত বলিয়া স্বীকার করে, সে ঈশ্বর হইতে । আর যে কোন আত্মা যীশুকে স্বীকার না করে, সে ঈশ্বর হইতে নয়; আর তাহাই খ্রীষ্টারির আত্মা।
বড়দনি উৎসব সবার :
বাংলাদশে কৃষ্টি - সংস্কৃতরি দশে। বহু যুগ ধরইে এই দশেরে বভিন্নি র্ধমরে মানুষ মলিনরে কৃষ্টি নয়িে বসবাস করে আসছ।বিভিন্নি র্ধমরে মানুষ একক ও আপন আপন ধারায় ধর্মীয় বশ্বিাস ও ঐতহ্যিে ঈদ, পূজো, বৌদ্ধ র্পূণমিা, বড়দনি ও ইস্টার পালন করে ; তবে ধর্মীয় দকি দয়িে একক; কন্তিু উৎসবে অংশনয়ে সবাই। ঈদ, পূজো, বৌদ্ধ র্পূণমিা ও বড়দনি হোক, উৎসবরে আনন্দে অংশগ্রহণ সবার। এখানইে বাংলাদশেরে মানুষরে বশৈষ্ট্যি। খ্রীষ্ট বশ্বিাসী সবাই র্ধমীয় উৎসব বড়দনি পালন করছ;কিন্তু এই উৎসবে অংশ নচ্ছিে সবাই বশিষেভাবে উৎসবরে মর্মবাণী অন্তরে ধারণ কর; কৃষ্টি -সংস্কৃততিে অংশনিয়ে। বড়দনিে শুভচ্ছো বনিমিয়, পঠিা খাওয়ার আসরে, এমন কি বড়দনিরে র্কীতনে মলিতি হয় অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনরো । বড়দনিরে এমন আন্তঃধর্মীয় মলিন-চত্রি বড়দনিরে এই সত্যকইে ধ্বনতি করে : বড়দনি শান্তি ও মলিনরে দনি, বড়দনি শান্তি ও মত্রৈী স্থাপনরে দনি। বড়দনি আমার, উৎসব সবার । কিন্তু এত সবের পরেও বর্তমান সময়ের সাথে আগেকার সময়ের তুলনা করলে আমার মনে হয় আমদের খ্রীষ্টিয় সমাজের কোথায় যেন ঘাটতি রয়েছে। আমি আমার অভিজ্ঞতায় বর্তমান সময়ে দেখেছি বড়দিন উদযাপনের সময়ে খ্রীষ্টিয় সমাজে অবক্ষয়ের প্রতিফলন । নেই সেই আগেকার সম্পৃতি, ভালোবাসা, জানানো হয় না বড়দিনের শুভেচ্ছা, কীর্তন গানে নাই কোন প্রাণ, অন্য কোন স্থান থেকে কীর্তণ গানের দল আসলে বিরক্তি প্রকাশ করা হয়, এমন কি ঘরের দরজা পর্যন্ত খুলে সামনে আসতেও অনিহা প্রকাশ করা হয় অথচ অন্যধর্মাবলম্বী লোকেরা গানের দল নিয়ে তাদের বাসায় যেতে বলে। বড়দিনের প্রীতিভোজ হলো সম্পৃতির আর একটি বর্হিপ্রকাশ। মন্ডলীগুলোর মধ্যে ভালোবাসা ও সম্পৃতির অভাবের কারণে সেই প্রীতিভোজেও অংশ গ্রহণ থেকে বঞ্চিত করা হয়, বলা হয় এই পরিবার থাকলে আমার পরিবার প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করবে না । অনেক মন্ডলীতে খেলাধুলার আয়োজন করা হয়, দেখা যায় সেখানেও মন্ডলীর মধ্যে অবস্থানরত ছেলে মেয়েদেরকেও দলভেদের কারনে আমন্ত্রন না জানিয়ে বঞ্চিত করা হয় । যাদের মাধ্যমে এই বৈস্যম্যের সৃষ্টি তারাই হয়ত এই সমাজের নেতা, তারাই হয়ত এই সমাজের সদ্দুকি, তারাই হয়ত এই সমাজের ফরিশী। বড় বড় আসন তাদেরই জন্য পাতা থাকে। যে কোন বড় অনুষ্ঠানের সামনের আসনে বসিয়ে পরিচয় দিতে আমাদেরও ভাল লাগে । কিন্তু: বড়দনি শান্তি ও মলিনরে দনি, বড়দনি শান্তি ও মত্রৈী স্থাপনরে দনি। এমন মিলনের বাস্তবায়ন করতেই এবারের বড় দিন আমাদের সবাইকে আহ্বান জানায়
বড়দিনের আহ্বান : পবিত্র বাইবেলে দেখি ত্রানকর্তা প্রভু যীশু এলেন শান্তি ও সম্প্রীতির যে পরিবেশ ও রাজ্য গড়ে উঠবে সে চিত্র প্রতিকী ভাষায় যিশাইয় ফুটিয়ে তুলেছেন । যীশুর আগমনে এই শান্তির রাজ্য বাস্তবায়িত হয়েছে । তাঁর আগমন জাতি গোষ্ঠীকে এক করে তুলেছেন, তাঁর কর্ম জীবনে তিনি অন্ধকে, বধিরকে, খঞ্জকে সুস্থ করেছেন। পাপীকে ক্ষমা করেছেন। ছোট বড়, ধনী-গরীব সবাইকে আপন করেছেন। এমন মিলনের বাস্তবায়ন করতেই এবারের বড় দিন আমাদের সবাইকে আহ্বান জানায়।
বড়দনিরে প্রত্যাশা ও শুভ কামনা
বড়দনি শান্তি ও মত্রৈীর দিন; শান্তি ও মত্রৈীর মহোৎসব। আসুন আমরা সবাই এই বড়দনিে প্রত্যাশা করি আমাদরে প্রত্যকেরে জন্য ও আমাদরে দেশেরে জন্য এই শান্তি ও মত্রৈী। সর্ব্বান্ত করণে প্রচষ্টো চালাই এই শান্তি ও মত্রৈী স্থাপনরে জন্য। এবাররে বড়দিনের আমরা আমাদরে দশেরে হন্দিু-মুসলমি-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সবার জন্য প্রার্থনা করি বড়দিনের শান্তি-আশীর্বাদ যনে বর্ষিত হয় আমাদরে দশেরে সবার উপর। এবাররে বড়দনিরে শুভ কামনা : আমাদরে দশে, আমাদের সমাজ, আমাদের মন্ডলী, আমাদের পরিবার যেন হয় দুর্নিতীমুক্ত, শান্তি ও মত্রৈী, মলিনরে কৃষ্টি এবং সৌর্হাদ্য ও ভ্রাতৃত্বে ভরপুর। হিন্দু-মুসলমি-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান সবার প্রতি শুভ বড়দনিরে শুভচ্ছো! শুভ বড়দনি ! Merry Christmas ! আমেন