সর্বশেষ

Monday, March 3, 2025

মৌমাছি এবং পিপিলীকার বিষয়ে পবিত্র বাইবেলের আশ্চর্যজনক তথ্য!

মৌমাছি এবং পিপিলীকার বিষয়ে পবিত্র বাইবেলের আশ্চর্যজনক তথ্য!

 

সদাপ্রভুর ব্যবস্থা সিদ্ধ, প্রাণের স্বাস্থ্যজনক; সদাপ্রভুর সাক্ষ্য বিশ্বসনীয়, অল্পবুদ্ধির জ্ঞানদায়ক।– গীতসংহিতা১৯:৪;

লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার

 

মৌমাছিঃ শ্রমিক মৌমাছি এরা সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির। এদের চোখ ছোট, কিন্তু হুল আছে। রাণী ও পুরুষ বাদে অবশিষ্ট সকল সদস্যই শ্রমিক মৌমাছি হলো নারী । এরা নানা দলে ভাগ হয়ে চাকের যাবতীয় কাজ (যথা চাক নির্মাণ করা, ফুলের মিষ্টি রস ও পরাগরেণু সংগ্রহ করা, মধু তৈরী করা , চাকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, চাকে বাতাস দেওয়া চাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি ) সম্পন্ন করে। এদের জন্ম নিষিক্ত ডিম থেকে। এদের আয়ু প্রায় একমাস। মৌমাছির চাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে স্ত্রী মৌমাছি। আর পুরুষ মৌমাছি বা 'ড্রোন' বংশবিস্তার করা ছাড়া কোন কাজই করে না।এমনকি নিজেদের খাবারের জন্য তারা স্ত্রীদের ওপর নির্ভর করে। কেননা পুরুষ মৌমাছির হুল বা মধু আহরণের অঙ্গ নেই।

এ থেকে আমরা বুঝতে পারি,  মধুসগ্রহ থেকে যাবতীয় কাজ নারী মৌমাছিরা করে, পুরুষ মৌমাছি শুধুমাত্র বংশবৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হয় আর অন্য কোন কাজে নয়। পবিত্র বাইবেলেও আজ থেকে  হাজার হাজার বছর পূর্বে খ্রীষ্টপূর্ব (১০১০-৯৭০) স্ত্রী মৌমাছি এবং মধুর চাক নিয়ে কথা বলেছে , যেখানে শিমশোন নারী  মৌমাছি এবং তাদের দ্বারা গঠিত মধুর চাক দেখতে পান।

কিছুকাল পরে তিনি তাহাকে বিবাহ করিতে সেই স্থানে ফিরিয়া গেলেন, এবং সেই সিংহের শব দেখিবার জন্য পথ ছাড়িয়া গেলেন; আর দেখ, সিংহের দেহে এক ঝাঁক মধুমক্ষিকা মধুর চাক রহিয়াছে”বিচারকর্তিগণ ১৪:৮;

এখানে মৌমাছির জন্য যে  হিব্রু শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো (דְּבוֹרִ֛ים (də·ḇō·w·rîm)) এবং আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে এটি নারী বাচক বহু বচনের শব্দ (feminine plural)। পবিত্র বাইবেল যখন নারী মৌমাছি এবং তাদের তৈরী মধুরচাক নিয়ে কথা বলছে সেই যুগে কেউ এটা জানত না যে নারী মৌমাছিরাই মধুসংগ্রহ করে এবং মধুরচাক বানায়। এই কথা বিজ্ঞান অনেক পরে জানতে পেরেছে কিন্তু পবিত্র বাইবেল আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্বে এই তথ্য মানবজাতিকে জানিয়েছে।

পিপিলীকাঃ পিঁপড়ারা হলসামাজিক পোকামাকড়, এবংউপনিবেশ হল একটি পারিবারিক সম্প্রদায় যার প্রতিটি পিঁপড়া একটি অবিচ্ছেদ্য একক সম্প্রদায় ব্যতীত, কোনও একটি ব্যক্তি সঠিকভাবে কাজ করতে বা বেঁচে থাকতে পারে না এবং লার্ভা সম্পূর্ণরূপে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্রমাগত যত্নের উপর নির্ভরশীল সাধারণত তিনটিএকটি উপনিবেশের মধ্যে জাতি , বা শ্রেণী:রাণী, পুরুষ, এবংকর্মী । পুরুষ পিঁপড়ারা তাদের দৈনন্দিন বাসার কাজে কোন ভূমিকা পালন করে না। তারা কেবল অল্প সময়ের জন্য বেঁচে থাকে, সীমিত সংখ্যায় দেখা যায় এবং উপনিবেশের ভার্চুয়াল পরজীবী, যাদের তাদের খাওয়াতে হয়। উর্বর স্ত্রী, রাণী, কেবল একটি কাজ করে: ডিম পাড়া। পিঁপড়ার জীবনচক্রের চারটি পর্যায় রয়েছে - ডিম, লার্ভা, পিউপা এবং প্রাপ্তবয়স্ক - এবং কর্মী পিঁপড়ার জন্য সাধারণত ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ সময়কাল বিস্তৃত হয়।

এ থেকে আমরা বুঝতে পারি, নারী পিঁপড়া কেবল কঠর পরিশ্রম করে পুরুষ পিঁপড়া সন্তান জন্ম দেওয়ার কাজ ছাড়া আর কোন কাজ করে না। এই বিষয়টি বিজ্ঞানিরা অনেক বছর রিসার্চ করে বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। যদিও পবিত্র বাইবেল হাজার হাজার বছর পূর্বেই নারী পিঁপড়ার পরিশ্রম থেকে অলস ব্যক্তিদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছে,

“হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও।” হিতপদেশ৬:৬;

English Standard Version
Go to the ant, O sluggard; consider her ways, and be wise.

এখানে পিঁপড়ার জন্য যে হিব্রু শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে তা হলো נְמָלָ֥ה (nə·mā·lāh) এবং এটি নারীবাচক শব্দ (feminine singular)  পবিত্র বাইবেলের ‘উপদেশক’ পুস্তকটি খ্রীষ্টপূর্ব ৬৯৭ বছর পূর্বের অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে পবিত্র বাইবেল আমাদের এই  তথ্যটি জানিয়েছে যে নারী পিঁপড়া মূলত পরিশ্রম করে কাজ করে পুরুষ পিঁপড়া নয় এবং নারী পিঁপড়া থেকেই অলস ব্যক্তিদের শিক্ষা গ্রহণ করতে বলেছে।

এছাড়াও বর্তমান বিজ্ঞান আমাদের জানায় পিঁপড়াদের মধ্যে রানী, পুরুষ এবং নারী কর্মী থাকা সত্বেও তাদের  পরিচালনা করার মতন কোন শ্রেনী নেই,  “পিঁপড়াদের এই উপনিবেশকে কখনো কখনো সুপার-অর্গানিজম বা দলগতস্বত্তাও বলা হয়, কারণ এরা সবাই মিলে কেবল একটি প্রাণীর মত আচরণ করে এবং অস্তিত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম করে।”[1]

এই তথ্যটি বিজ্ঞানিরা অনেক রিসার্চ করে পেয়েছেন কিন্তু পবিত্র বাইবেল প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বেই আমাদের স্পষ্ট রূপে জানিয়েছে, “ তাহার বিচারকর্তা কেহ নাই, শাসনকর্তা কি অধ্যক্ষ কেহ নাই, তবু সে গ্রীষমকালে তাহার খাদ্য জমা করে,শস্য কাটিবার সময়ে ভক্ষ্য সঞ্চয় করে।”- হিতপদেশ৬:৭-৮;

হাল্লেলূইয়া।



[1] Oster GF, Wilson EO (১৯৭৮) Caste and ecology in the social insects Princeton University Press, Princeton পৃষ্ঠা 21–22 আইএসবিএন 0-691-02361-1


Monday, January 20, 2025

২৪ হাজার নাকি ২৩ হাজার লোক মরেছিল? প্রেরিত পৌল কি পুরাতন নিয়ম থেকে ভূল ঊদৃতি দিয়েছেন?

২৪ হাজার নাকি ২৩ হাজার লোক মরেছিল? প্রেরিত পৌল কি পুরাতন নিয়ম থেকে ভূল ঊদৃতি দিয়েছেন?

 



লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

সমালোচকদের দাবিঃ যাহারা ঐ মহামারীতে মরিয়াছিল, তাহারা চব্বিশ সহস্র লোক।-গণনাপুস্তক ২৫:৯; অথচ প্রেরিত পৌল বলেছেন ২৩ হাজার যদিও পুরাতন নিয়মে ২৪ হাজার লেখা আছে,

আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক ব্যভিচার করিয়াছিল, এবং একদিনে তেইশ হাজার লোক মারা পড়িল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।- ১ করিন্থীয়১০:৮;

জবাবঃ 

আমরা যদি গণনাপুস্তকের ঘটনাটি পড়ে দেখি তবে দেখতে পাই এখানে মহামারীতে মৃত লোকেদের সর্ব মোট সংখ্যা উল্লেখ করেছে এবং এখানে দীর্ঘ মেয়াদি দিনের বিষয়ে দেখতে পাওয়া যায় এবং এখানে এটা বর্ণনা করা হয় নি যে মহামারী কতদিন ঘটেছিলঃ

“পরে ইস্রায়েল শিটীমে বাস করিল, আর লোকেরা মোয়াবের কন্যাদের সহিত ব্যভিচারে লিপ্ত হইল।  সেই কন্যারা তাহাদিগকে আপনাদের দেব-প্রসাদ ভোজনের নিমন্ত্রণ করিল, এবং লোকেরা ভোজন করিয়া তাহাদের দেবগণের কাছে প্রণিপাত করিল। আর ইস্রায়েল বাল্‌-পিয়োর [দেবের] প্রতি আসক্ত হইতে লাগিল; অতএব ইস্রায়েলের বিরুদ্ধে সদাপ্রভুর ক্রোধ প্রজ্বলিত হইল। সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, তুমি লোকদের সমস্ত অধ্যক্ষকে সঙ্গে লইয়া সদাপ্রভুর উদ্দেশে সূর্যের সম্মুখে উহাদিগকে টাঙ্গাইয়া দেও; তাহাতে ইস্রায়েলের উপর হইতে সদাপ্রভুর প্রচণ্ড ক্রোধ নিবৃত্ত হইবে। তখন মোশি ইস্রায়েলের বিচারকর্তৃগণকে কহিলেন, তোমরা প্রত্যেকে বাল-পিয়োরের প্রতি আসক্ত আপন আপন লোকদিগকে বধ কর। আর দেখ, মোশির ও ইস্রায়েল-সন্তানদের সমস্ত মণ্ডলীর সাক্ষাতে ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে এক পুরুষ আপন জ্ঞাতিগণের নিকটে এক মিদিয়নীয়া স্ত্রীকে আনিল, তৎকালে লোকেরা সমাগম-তাম্বুর দ্বারে রোদন করিতেছিল। তাহা দেখিয়া হারোণ যাজকের পৌত্র ইলিয়াসরের পুত্র পীনহস মণ্ডলীর মধ্য হইতে উঠিয়া হস্তে বর্শা লইলেন; আর সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষের পশ্চাৎ পশ্চাৎ কুঠরিতে প্রবেশ করিয়া ঐ দুই জনকে, সেই ইস্রায়েলীয় পুরুষকে এবং পেট দিয়া সেই স্ত্রীকে, বিদ্ধ করিলেন; তাহাতে ইস্রায়েল-সন্তানগণ হইতে মহামারী নিবৃত্ত হইল। যাহারা ঐ মহামারীতে মরিয়াছিল, তাহারা চব্বিশ সহস্র লোক।- গণনাপুস্তক ২৫:১-৯;

 অন্যদিকে প্রেরিত পৌল তার চিঠিতে মহামারীর “একদিনে” মৃত্যুর হিসাব দিয়েছেন মোট মৃত্যুর তালিকা দেন নি। তিনি উল্লেখক করেছেন “এক দিনে ২৩ হাজার লোক মহামারীতে মৃত্যুবরন করেছিল”

“আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক ব্যভিচার করিয়াছিল, এবং একদিনে তেইশ হাজার লোক মারা পড়িল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।”- ১ করিন্থীয়১০:৮;

গণনাপুস্তক ২৫:৯; থেকে জানা যায় মহামারীতে মোট ২৪ হাজার লোক মারা গিয়েছিল এবং ১ করিন্থীয়১০:৮; উল্লেখ করা হয়েছে “এক দিনের” মৃত্যের সংখ্যা তাই এখানে কোন বৈপরীত্ব নেই।

Tuesday, November 5, 2024

মাছ এবং আকাশের পাখিদের সাথে মানুষের সম্পর্ক কি?

মাছ এবং আকাশের পাখিদের সাথে মানুষের সম্পর্ক কি?

 

লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

আদিপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ে সৃষ্টির বিবরন দিয়ে শুরু করা হয়েছে, ইয়াওয়ে এলোহীম (সদাপ্রভু ঈশ্বর) তার দিনের হিসাবে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।[1] আদিপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ে মাছ সৃষ্টি সময়ে এবং আকাশের পাখি সৃষ্টির সময়ে ইয়াওয়ে এলোহীম আশীর্বাদ করেছেন,

পরে ঈশ্বর কহিলেন, জল নানাজাতীয় জঙ্গম প্রাণিবর্গে প্রাণিময় হউক, এবং ভূমির ঊর্ধ্বে আকাশমণ্ডলের বিতানে পক্ষিগণ উড়ূক।তখন ঈশ্বর বৃহৎ তিমিগণের, ও যে নানাজাতীয় জঙ্গম প্রাণিবর্গে জল প্রাণিময় আছে, সেই সকলের, এবং নানা জাতীয় পক্ষীর সৃষ্টি করিলেন। পরে ঈশ্বর দেখিলেন যে, সেই সকল উত্তম। আর ঈশ্বর সেই সকলকে আশীর্বাদ করিয়া কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, সমুদ্রের জল পরিপূর্ণ কর, এবং পৃথিবীতে পক্ষিগণের বাহুল্য হউক।”আদিপুস্তক১:২০-২২;

আবার মানুষ সৃষ্টির সময়েও ইয়াওয়ে এলোহীম আশীর্বাদ করেছেন,

পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন; ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি করিলেন। পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।” (আদিপুস্তক১:২৭-২৮;)

মাছ,পাখি এবং মানুষ সৃষ্টি করার সময়ে ইয়াওয়ে এলোহীম আশীর্বাদ করেছেন এবং মানুষদের মাছ এবং পাখিদের উপরে রাজত্বের কথাটি আলাদা করে বলছেন, “পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।”(আদিপুস্তক১:২৮;)

মাছ ও পাখি পাখির সৃষ্টি এবং মানুষের সৃষ্টিকে আলাদা করে শাস্ত্রে চিহ্নিত করেছে আশীর্বাদের দ্বারা কারন ভূমির পশু সৃষ্টির সময়ে ইয়াওয়ে এই আশীর্বাদ করেন নি, “পরে ঈশ্বর কহিলেন, ভূমি নানাজাতীয় প্রাণিবর্গ, অর্থাৎ স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী গৃহপালিত পশু, সরীসৃপ ও বন্য পশু উৎপন্ন করুক; তাহাতে সেইরূপ হইল। ফলতঃ ঈশ্বর স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী বন্য পশু ও স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী গৃহপালিত পশু ও স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী যাবতীয় ভূচর সরীসৃপ নির্মাণ করিলেন; আর ঈশ্বর দেখিলেন যে, সেই সকল উত্তম। (আদিপুস্তক১:২৪-২৫;)

এখন আমরা দেখব কেন ইয়াওয়ে মাছ,পাখি এবং মানুষকে “আশীর্বাদ করেছেন”

১। মাছ এবং পাখির মূলত দুটি জন্ম প্রথমে ডিম আকারে জন্ম নেয় পরে তারা নিজেদের আসল রূপে আসে। পবিত্র বাইবেল অনুসারে প্রতিটা মানুষের দুটি জন্ম হয় একটি পিতা মাতার মধ্য দিয়ে আর একটি প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহন করার পরে জল এবং পবিত্র আত্মার দ্বারা (যোহন১:১২-১৩;৩:৩;৫;)।

২। মাছ চাইলে সে স্রোতের বিপরীত যেতে পারে, পাখিও অনেক হাওয়া তার দিকে আসলেও সে তার বিপরিত যাওয়ায় ক্ষমতা রাখে। ঠিক তেমনি যারা খ্রীষ্টকে গ্রহন করে তার দেখানো পথে চলে তারা এই কুলষিত জগতের বিপরীত চলার সামর্থ রাখে।

তাই ইয়াওয়ে এলোহীম মাছ,পাখি এবং মানুষ সৃষ্টির সময়ে তাদের আশীর্বাদ করেছিলেন।


[1] কেননা সহস্র বৎসর তোমার দৃষ্টিতে যেন গত কল্য, তাহা ত চলিয়া গিয়াছে, আর যেন রাত্রির এক প্রহরমাত্র।”(গীতসংহিতা৯০:৪;)

 

“কিন্তু প্রিয়তমেরা, তোমরা এই এক কথা ভুলিও না যে, প্রভুর কাছে এক দিন সহস্র বৎসরের সমান, এবং সহস্র বৎসর এক দিনের সমান।”(২পিতর৩:৮;)

 


Wednesday, October 23, 2024

নবী দানিয়েল কি হিন্দুস্থান শাসন করেছিলেন?

নবী দানিয়েল কি হিন্দুস্থান শাসন করেছিলেন?

 


লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

হিন্দু শব্দটি একটি প্রতিশব্দ যা ইন্দো-আর্য এবং সংস্কৃত শব্দ সিন্ধু থেকে উদ্ভূত । যার অর্থ "জলের একটি বৃহৎ অংশ" । এটি সিন্ধু নদীর নাম হিসাবে ব্যবহৃত হতো এবং এর উপনদীগুলিকেও উল্লেখ করা হত। প্রকৃত শব্দ 'হিন্দু' প্রথম দেখা যায়, গ্যাভিন ফ্লাড বলেন, " সিন্ধু (সংস্কৃত: সিন্ধু )" নদীর ওপারে বসবাসকারী লোকদের জন্য একটি ফার্সি ভৌগোলিক পরিভাষা হিসাবে । গেবিন ফ্লাডের মতে, "আসল পরিভাষা হিন্দু প্রথম দেওয়া হয় ফার্সি ভৌগোলিক পরিভাষা থেকে যা দ্বারা সিন্ধু নদীর পাশে বসবাসকারী লোকেদের বোঝানো হত। শব্দটি দিয়ে তখন ভৌগোলিক অবস্থান বোঝানো হত এবং এর দ্বারা কোন ধর্মকে বোঝানো হত না, প্রাচীন কাল থেকে হিন্দুস্থান অনেক শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়ে পরিচালিত হয়েছিল।   

মহারাজা অহশ্বেরশের যাকে Xerxes বলা হয়’ তিনি খ্রীষ্টপূর্ব ৪৮৬ থেকে ৪৬৫ মধ্যে হিদুস্থান থেকে শুরু করে ১২৭টি প্রদেশের উপরে রাজ্যত্ব করতেন, “ঐ অহশ্বেরশ হিন্দুস্থান হইতে কূশ দেশ পর্যন্ত একশত সাতাইশ প্রদেশের উপরে রাজত্ব করিতেন।” (ইষ্টের ১:১)

"তখন তৃতীয় মাসে, অর্থাৎ সীবন মাসের ত্রয়োবিংশ দিনে রাজ-লেখকেরা আহূত হইল, আর মর্দখয়ের সমস্ত আজ্ঞানুসারে যিহূদীদিগকে, ক্ষিতিপালদিগকে, এবং হিন্দুস্থান অবধি কূশ দেশ পর্যন্ত একশত সাতাইশ প্রদেশের মধ্যে প্রত্যেক প্রদেশের অক্ষরানুসারে ও প্রত্যেক জাতির ভাষানুসারে দেশাধ্যক্ষগণকে ও প্রদেশ সকলের প্রধানবর্গকে এবং যিহূদীদের অক্ষর ও ভাষানুসারে তাহাদিগকে পত্র লেখা গেল।"(ইষ্টের৮:৯;)

মহারাজা অহশ্বেরশেরের পুত্র ছিলেন দারিয়াবস তিনি পরবর্তিতে পিতার অধিকারকৃত এলাকগুলোতে রাজ্যত্ব করেন, মাদীয় বংশজাত অহশ্বেরশের পুত্র যে দারিয়াবস কল্‌দীয় রাজ্যের রাজপদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন”(দানিয়েল৯:১) রাজা দারিয়াবস তার রাজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে ১২০ জন ক্ষিতিপাল এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য ৩ জন উচ্চ পদস্থ অধ্যক্ষ নিযুক্ত করেন নবী দানিয়েল ছিলেন তাদের মধ্যে একজন, “দারিয়াবস ইহা বিহিত বুঝিলেন, যেন তিনি রাজ্যের সর্বস্থানে রাজ্যের উপরে একশত বিংশতি জন ক্ষিতিপাল,  এবং তাঁহাদের উপরে তিন জন অধ্যক্ষকে নিযুক্ত করেন; সেই তিন জনের মধ্যে দানিয়েল একজন ছিলেন। ইহার অভিপ্রায় এই, যেন ঐ ক্ষিতিপালেরা উঁহাদের কাছে হিসাব দেন, আর রাজার ক্ষতি না হয়।(দানিয়েল৬:১-২;)

অর্থাৎ নবী দানিয়েল রাজত্ব পরিচলানার কেন্দ্রে ছিলেন তিনি তার সময়ে হিন্দুস্থান (ভারত) সহ অনেক দেশের শাসন করেছিলেন এবং পরিচালনা করেছিলেন।  এ থেকে আমরা শিক্ষা পাই আমাদের নবীর দ্বারাও ইয়াওয়ে এলোহীম হাজার-হাজার বছর পূর্বেও আমাদের ভারতবর্ষকে পরিচালিত করেছিলেন।পরবর্তিকালে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রেরিত থোমা  ৫২ খ্রীষ্টাব্দে হিন্দুস্থানের লোকেদের সত্যের পথে আহব্বান করার জন্য ইস্রায়েল দেশ থেকে যাত্র করে এসেছিলেন এবং তার এই প্রচেষ্টার জন্য ভারতবর্ষে খ্রীষ্টের আলো উদিত হয়েছিল।  

Sunday, October 6, 2024

পবিত্র বাইবেলে ‘বিমান’ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী

পবিত্র বাইবেলে ‘বিমান’ সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী

 

লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

পবিত্র বাইবেলে অসংখ্য ভবিষ্যৎবাণী যার পূর্নতা আমরা দেখতে পাই, পবিত্র বাইবেল যে শুধু আমাদের জীবনের বিষয়ে, খ্রীষ্টের আগমনের বিষয়ে অথবা শেষকাল সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করেছে তা নয় পবিত্র বাইবেল বর্তমান টেকনোকলজি সম্পর্কেও ভবিষ্যৎবাণী করেছে যা শতভাগ সত্য প্রমানিত হয়েছে। তার মধ্যে আমরা দেখব পৃথিবীর ইতিহাসে এক শেষ্ট আবিস্কার বিমান সম্পর্কে


But they that wait upon the LORD shall renew their strength; they shall mount up with wings as eagles; they shall run, and not be weary; and they shall walk, and not faint. - Isaiah 40:31
; King James Bible

 

কিন্তু যাহারা সদাপ্রভুর অপেক্ষা করে, তাহারা উত্তরোত্তর নূতন শক্তি পাইবে; তাহারা ঈগল পক্ষীর ন্যায় পক্ষসহকারে ঊর্ধ্বে উঠিবে; তাহারা দৌড়াইলে শ্রান্ত হইবে না; তাহারা গমন করিলে ক্লান্ত হইবে না।– যিশাইয়৪০:৩১; কেরি (খ্রীষ্টপূর্ব৭৩৯-৬৮১)

ঐতিহাসিক লিওন উরিসের গ্রন্থ এক্সোডাস[1] এই উদ্ধৃতিটি ব্যবহার করেছেন যখন  ইয়েমেন থেকে  ইহুদিদের বিমানে চড়ে ইস্রায়েলে প্রবেশ করে তখন এই ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা পেয়েছিল।  

এই শাস্ত্র পদে স্পষ্ট বলা হয়েছে “মানুষ ঈগল পাখির দুই ডানার /পাখার ন্যায় আকাশে উড়বে” “they shall mount up with wings as eagles;” এখান বিমান তৈরীর ভবিষ্যৎবাণী পাওয়া যায় যা পরে বাস্তবায়িত হয়েছিল।

পবিত্র বাইবেলে এটাও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে সার পৃথিবী থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইহুদিরা “আকাশে উড়ে ইস্রায়েলে ফিরে আসবে”

 তুমি চারিদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, হারা সকলে একত্র হইয়া তোমার কাছে আসিতেছে; তোমার         পুত্রগণ দূর হইতে আসিবে, তোমার কন্যাগণ কক্ষে করিয়া আনীত হইবে তখন তুমি তাহা দেখিয়া দীপ্যমানা হইবে, তোমার হৃদয় স্পন্দন করিবে ও বিকশিত হইবে; কেননা সমুদ্রের দ্রব্যরাশি তোমার দিকে ফিরান যাইবে, জাতিগণের ঐশ্বর্য তোমার কাছে আসিবে। তোমাকে আবৃত করিবে উষ্ট্রযূথ, মিদিয়নের ও ঐফার দ্রুতগামী উষ্ট্রগণ; শিবা দেশ হইতে সকলেই আসিবে; তাহারা সুবর্ণ ও কুন্দুরু আনিবে, এবং সদাপ্রভুর প্রশংসার সুসমাচার প্রচার করিবে। কেদরের সমস্ত মেষপাল তোমার নিকটে একত্রীকৃত হইবে, নবায়োতের মেষগণ তোমার পরিচর্যা করিবে; তাহারা আমার যজ্ঞবেদির উপরে উৎসৃষ্ট হইয়া গ্রাহ্য হইবে, আর আমি আপনার ভূষণস্বরূপ গৃহ বিভূষিত করিব। এ কাহারা উড়িয়া আসিতেছে, মেঘের ন্যায়, আপন আপন খোপের দিকে কপোতের ন্যায়? সত্যই উপকূল সকল আমার অপেক্ষা করিবে, তর্শীশের জাহাজ সকল অগ্রগামী হইবে, দূর হইতে তোমার সন্তানদিগকে আনিবে, তাহাদের রৌপ্য ও সুবর্ণের সহিত আনিবে, তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর নামের জন্য, ইস্রায়েলের পবিত্রতমের জন্য, কেননা তিনি তোমাকে বিভূষিত করিয়াছেন।- যিশাইয়৬০:৪-৯;

এখান থেকে স্পষ্ট বিমানের ধারনা পাওয়া যায় যা বিমান তৈরীর পূর্বেই পবিত্র বাইবেলে ঘোষণা করা   হয়েছে। বিমান তৈরি হয়েছিল ১৭ডিসেম্বর ১৯০৩ খ্রীঃ কিন্তু পবিত্র বাইবেলে  খ্রীষ্টপূর্ব প্রায় ৭৩৯-৬৮১ পূর্বেই বিমান তৈরীর স্পষ্ট ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছি। পবিত্র বাইবেল হলো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট গ্রন্থ যার মধ্যে এমন তথ্য বিস্তারিত ভাবে উল্লেখিত  রয়েছে যা বিশ্বে অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থে উল্লেখিত নেই।

 

Monday, September 23, 2024

পাঁচ হাজার লোককে ঘাসের উপরে খাওয়ানোর রূপক অর্থ

পাঁচ হাজার লোককে ঘাসের উপরে খাওয়ানোর রূপক অর্থ

 


 লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।

“যীশু তাহা শুনিয়া তথা হইতে নৌকা যোগে বিরলে এক নির্জন স্থানে প্রস্থান করিলেন; আর লোকসমূহ তাহা শুনিয়া নানা নগর হইতে আসিয়া স্থলপথে তাঁহার পশ্চাৎ গমন করিল। তখন তিনি বাহির হইয়া বিস্তর লোক দেখিয়া তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, এবং তাহাদের পীড়িত লোকদিগকে সুস্থ করিলেন। পরে সন্ধ্যা হইলে শিষ্যগণ নিকটে আসিয়া তাঁহাকে কহিলেন, এই স্থান নির্জন, বেলাও গিয়াছে; লোকদিগকে বিদায় করুন, যেন উহারা গ্রামে গ্রামে গিয়া আপনাদের নিমিত্ত খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে। যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, উহাদের যাইবার প্রয়োজন নাই, তোমরাই উহাদিগকে আহার দেও। তাঁহারা তাঁহাকে কহিলেন, আমাদের এখানে কেবল পাঁচখানি রুটি ও দুইটি মাছ ছাড়া আর কিছুই নাই। তিনি কহিলেন, সেইগুলি এখানে আমার কাছে আন। পরে তিনি লোকসমূহকে ঘাসের উপরে বসিতে আজ্ঞা করিলেন; আর সেই পাঁচখানি রুটি ও দুইটি মাছ লইয়া স্বর্গের দিকে ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিয়া আশীর্বাদ করিলেন, এবং রুটি কয়খানি ভাঙ্গিয়া শিষ্যদিগকে দিলেন, শিষ্যেরা লোকদিগকে দিলেন। তাহাতে সকলে আহার করিয়া তৃপ্ত হইল; এবং তাঁহারা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া পূর্ণ বারো ডালা তুলিয়া লইলেন। যাহারা আহার করিয়াছিল, তাহারা স্ত্রী ও শিশু ছাড়া অনুমান পাঁচ সহস্র পুরুষ ছিল।” –মথি১৪:১৩-২১;

বর্তমান সময়ে অনেক খ্রীষ্টানদের কাছে এই প্রচার খুবই সাধারন মনে হয় কিন্তু বাস্তবে এই ঘটনাতে খুবই গুরুত্বপূর্ন শিক্ষা র‍য়েছে। পবিত্র বাইবেলের পুরাতন নিয়মে সদাপ্রভুকে (ইয়াওয়েকে) বলা হয়েছে আমাদের মেষপালক,  সদাপ্রভু আমার পালক,আমার অভাব হইবে না। তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান।” গীতসংহিতা২৩:১-২; নূতন নিয়মে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট  বলেছেন, আমিই উত্তম মেষপালক; উত্তম মেষপালক মেষদের জন্য আপন প্রাণ সমর্পণ করে।”-যোহন১০:১১; “আমিই উত্তম মেষপালক; আমার নিজের সকলকে আমি জানি, এবং আমার নিজের সকলে আমাকে জানে,” -যোহন১০:১৪;

ত্রিত্বের ঈশ্বরের মধ্যে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট হলে দ্বিতীয় সত্তা তিনি পুত্র ঈশ্বর যিনি পিতাকে প্রকাশিত করেন।[1]  প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাদের পালক যখন তিনি দেখলেন হাজার-হাজার মানুষ (মেষপাল) তার কাছে এসেছে তিনি তাদের দেখে করুণাবিষ্ট হয়েছিলেন, তিনি প্রথমে প্রেরিতদের বললেন সেই মেষেদের খাদ্যের যোগান দিতে কিন্তু তাদের কাছে যা ছিল তা অল্প ছিল তা দিয়ে ৫ হাজার লোককে খাওয়ানো অসম্ভব ছিল। তখন তিনি তাদের ঘাসের উপরে বসতে[2] আদেশ করলেন যেমন শাস্ত্র বলে, “তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান,” গীতসংহিতা২৩:২; এবং তাদের স্বর্গ থেকে খাবার এনে তাদের এটা বিশ্বাস করালেন যে, সদাপ্রভু তাদের পালক হিসাবে আছেন তাদের অভাব হবে না “পরে তিনি লোকসমূহকে ঘাসের উপরে বসিতে আজ্ঞা করিলেন; আর সেই পাঁচখানি রুটি ও দুইটি মাছ লইয়া স্বর্গের দিকে ঊর্ধ্বদৃষ্টি করিয়া আশীর্বাদ করিলেন, এবং রুটি কয়খানি ভাঙ্গিয়া শিষ্যদিগকে দিলেন, শিষ্যেরা লোকদিগকে দিলেন। তাহাতে সকলে আহার করিয়া তৃপ্ত হইল; এবং তাঁহারা অবশিষ্ট গুঁড়াগাঁড়া পূর্ণ বারো ডালা তুলিয়া লইলেন।”-মথি১৪:১৯-২০;


 



[1] ঈশ্বরকে কেহ কখনও দেখে নাই; একজাত পুত্র,(একজাত ঈশ্বর) যিনি পিতার ক্রোড়ে থাকেন, তিনিই [তাঁহাকে] প্রকাশ করিয়াছেন। যোহন১:১৮;

 

[2]গীতসংহিতা ২৩:২ পদে “শয়ন করান” কথাটি হিব্রু উচ্চারন হচ্ছে (יַרְבִּיצֵ֑נִי (yar·bî·ṣê·nî) যা হিব্রু רָבַץ (rabats) থেকে এসেছে যা হিব্রু বাইবেলে ৩০ বার উল্লেখিত রয়েছে। এই হিব্রু শব্দ পবিত্র বাইবেলে “বসার” ক্ষেতেও অনুবাদ হয়েছে, “পথের পার্শ্বস্থ কোন বৃক্ষে কিম্বা ভূমির উপরে তোমার সম্মুখে যদি কোন পক্ষীর বাসাতে শাবক কিম্বা ডিম্ব থাকে, এবং সেই শাবকের কিম্বা ডিম্বের উপরে পক্ষিণী বসিয়া (רֹבֶ֙צֶת֙) থাকে, তবে তুমি শাবকগণের সহিত পক্ষিণীকে ধরিও না।”দ্বিতীয় বিবরন২৬:৬;