লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।
আদিপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ে সৃষ্টির বিবরন দিয়ে শুরু করা হয়েছে,
ইয়াওয়ে এলোহীম (সদাপ্রভু ঈশ্বর) তার দিনের হিসাবে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন।[1] আদিপুস্তকের প্রথম অধ্যায়ে মাছ
সৃষ্টি সময়ে এবং আকাশের পাখি সৃষ্টির সময়ে ইয়াওয়ে এলোহীম আশীর্বাদ করেছেন,
“পরে ঈশ্বর কহিলেন, জল নানাজাতীয় জঙ্গম প্রাণিবর্গে প্রাণিময়
হউক, এবং ভূমির ঊর্ধ্বে আকাশমণ্ডলের বিতানে পক্ষিগণ উড়ূক।তখন ঈশ্বর বৃহৎ তিমিগণের,
ও যে নানাজাতীয় জঙ্গম প্রাণিবর্গে জল প্রাণিময় আছে, সেই সকলের, এবং নানা জাতীয় পক্ষীর
সৃষ্টি করিলেন। পরে ঈশ্বর দেখিলেন যে, সেই সকল উত্তম। আর ঈশ্বর সেই সকলকে আশীর্বাদ করিয়া কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, সমুদ্রের
জল পরিপূর্ণ কর, এবং পৃথিবীতে পক্ষিগণের বাহুল্য হউক।”আদিপুস্তক১:২০-২২;
আবার মানুষ
সৃষ্টির সময়েও ইয়াওয়ে এলোহীম আশীর্বাদ করেছেন,
“পরে ঈশ্বর আপনার প্রতিমূর্তিতে মনুষ্যকে সৃষ্টি করিলেন;
ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতেই তাহাকে সৃষ্টি করিলেন, পুরুষ ও স্ত্রী করিয়া তাহাদিগকে সৃষ্টি
করিলেন। পরে
ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং
পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে,
এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।” (আদিপুস্তক১:২৭-২৮;)
মাছ,পাখি এবং
মানুষ সৃষ্টি করার সময়ে ইয়াওয়ে এলোহীম আশীর্বাদ করেছেন এবং মানুষদের মাছ এবং
পাখিদের উপরে রাজত্বের কথাটি আলাদা করে বলছেন, “পরে ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা
প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয়
জীবজন্তুর উপরে কর্তৃত্ব কর।”(আদিপুস্তক১:২৮;)
মাছ ও পাখি
পাখির সৃষ্টি এবং মানুষের সৃষ্টিকে আলাদা করে শাস্ত্রে চিহ্নিত করেছে আশীর্বাদের
দ্বারা কারন ভূমির পশু সৃষ্টির সময়ে ইয়াওয়ে এই আশীর্বাদ করেন নি, “পরে ঈশ্বর কহিলেন, ভূমি নানাজাতীয় প্রাণিবর্গ, অর্থাৎ
স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী গৃহপালিত পশু, সরীসৃপ ও বন্য পশু উৎপন্ন করুক; তাহাতে সেইরূপ
হইল। ফলতঃ ঈশ্বর স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী বন্য পশু ও
স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী গৃহপালিত পশু ও স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী যাবতীয় ভূচর সরীসৃপ নির্মাণ
করিলেন; আর ঈশ্বর দেখিলেন যে, সেই সকল উত্তম।” (আদিপুস্তক১:২৪-২৫;)
এখন আমরা দেখব
কেন ইয়াওয়ে মাছ,পাখি এবং মানুষকে “আশীর্বাদ করেছেন”
১। মাছ এবং
পাখির মূলত দুটি জন্ম প্রথমে ডিম আকারে জন্ম নেয় পরে তারা নিজেদের আসল রূপে আসে।
পবিত্র বাইবেল অনুসারে প্রতিটা মানুষের দুটি জন্ম হয় একটি পিতা মাতার মধ্য দিয়ে আর
একটি প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে গ্রহন করার পরে জল এবং পবিত্র আত্মার দ্বারা (যোহন১:১২-১৩;৩:৩;৫;)।
২। মাছ চাইলে সে
স্রোতের বিপরীত যেতে পারে, পাখিও অনেক হাওয়া তার দিকে আসলেও সে তার বিপরিত যাওয়ায়
ক্ষমতা রাখে। ঠিক তেমনি যারা খ্রীষ্টকে গ্রহন করে তার দেখানো পথে চলে তারা এই কুলষিত
জগতের বিপরীত চলার সামর্থ রাখে।
[1] “কেননা সহস্র বৎসর তোমার দৃষ্টিতে যেন গত কল্য, তাহা ত চলিয়া
গিয়াছে, আর যেন রাত্রির এক প্রহরমাত্র।”(গীতসংহিতা৯০:৪;)
“কিন্তু প্রিয়তমেরা,
তোমরা এই এক কথা ভুলিও না যে, প্রভুর কাছে এক দিন সহস্র বৎসরের সমান, এবং সহস্র বৎসর
এক দিনের সমান।”(২পিতর৩:৮;)
0 coment rios: