লেখক: পাষ্টর জনসন সরকার।
সমালোচকের দাবি: মুসলিম (আরবি:مسلم-অর্থ: স্ব ইচ্ছায় আত্মসমর্পণকারী, অনুগত) হলো সেই লোক যে নিজের ইচ্ছাকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে, যীশু (ঈসা) আ: বলেছেন,"কেননা আমার ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য আমি স্বর্গ হইতে নামিয়া আসি নাই; কিন্তু যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহারই ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য।" যোহন৬:৩৮;
যেহেতু ঈসা (আ:) আল্লাহর কাছে নিজেকে আত্মসমর্পন করেছিলেন তাই তিনি মুসলিম ছিলেন।
জবাব: সমালোচকেরা প্রভু ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] এর কথার সম্পূর্ন ভূল ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন তিঁনি মোটেই ইসলাম ধর্মের অনুসারি ছিলেন না যে তিনি মুসলিম হতে যাবেন। আসুন আমরা মূল Context দেখি:
"কেননা আমার ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য আমি স্বর্গ হইতে নামিয়া আসি নাই; কিন্তু যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহারই ইচ্ছা সাধন করিবার জন্য। আর যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহার ইচ্ছা এই, তিনি আমাকে যে সমস্ত দিয়াছেন, তাহার কিছুই যেন না হারাই, কিন্তু শেষ দিনে যেন তাহা উঠাই। কারণ আমার পিতার ইচ্ছা এই, যে কেহ পুত্রকে দর্শন করে ও তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন পায়; আর আমিই তাঁহাকে শেষ দিনে উঠাইব।"(কেরী) যোহন ৬:৩৮-৪০;
প্রভু ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] বলেছেন "তিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসেছেন তার পিতার ইচ্ছা পালন করার জন্য"
১। খ্রীষ্টানরা একবাক্যে বিশ্বাস করেন প্রভু ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] এর অস্তিত্ব আগে থেকেই ছিল তিনি স্বর্গে বাস করতেন এবং এক নিদৃষ্ট সময়ে তিনি মানুষের রুপ ধারন করে জন্ম লাভ করেন (যোহন১:১-১৪; ৮:৫৮;)। নিশন্দেহে ইসলাম এই বিশ্বাসকে সমর্থন করে না।
২।ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] বলেছেন, "যারা তাঁকে বিশ্বাস করে তাদের তিনি শেষ বিচারে জীবিত করে তুলবেন"
পৃথিবীর শতভাগ খ্রীষ্টানরা এই কথাটি বিশ্বাস করেন, কিন্তু মুসলিমরা কি এটা বিশ্বাস করবেন "যে ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] শেষ দিনে মানুষদের পুনরুত্থান ঘটাবেন" নিশ্চয়ই না।
৩। ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] ইয়াওয়ে [יהוה]এলোহীম[אלהים] কে "পিতা" বলতেন। কোন মুসলিম কি তাদের আল্লাহকে "পিতা" বলতে পারবে? নিশ্চই না (তবে ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] কি ধরনের মুসলিম ছিলেন?)
৪।ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] বলেছেন তাঁর পিতার ইচ্ছা হলো,"যে কেহ পুত্রকে দর্শন করে ও তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন পায়; "
পবিত্র বাইবেলের কথা অনুসারে খ্রীষ্টানরা ইয়াওয়ে [יהוה]এলোহীম[אלהים] কে পিতা বলেন এবং ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] কে পুত্র বলেন। কোন মুসলিম কি আল্লাহকে পিতা এবং ঈসাকে পুত্র বলে বিশ্বাস করেন? নিশ্চিয়ই না। (তবে ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] কিভাবে মুসলিম হতে পারেন?)
৫। পিতার ইচ্ছা কি? সেটা ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] বলেছেন, ,"যে কেহ পুত্রকে দর্শন করে ও তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন পায়; "
পবিত্র বাইবেল অনুসারে খ্রীষ্টানরা বিশ্বাস করে ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] যে কোন মানুষকে অনন্তজীবন দিতে পারেন, সমস্ত পাপ ক্ষমা করতে পারেন, এটাই মূলত পিতার ইচ্ছা যে "সবাই পুত্রের উপরে বিশ্বাস করে অনন্তজীবন লাভ করবে"(যোহন৩:১৬-১৭)। কিন্তু সমালোচকেরা পিতা ইচ্ছা বলতে ভিন্ন কথা বোঝানোর চেষ্টা করেন যা আদৌ এই Context এ ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] বলেন নি।
বাক্য বিশ্লেষণ করে প্রমানিত হয় ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] মোটেই মুসলিম ছিলেন না, সে সময় ইসলাম ধর্ম বলতে কোন ধর্ম ছিল না। ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের পূর্বে পৃথিবীর কোন ইতিহাসে ইসলাম ধর্মের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এমনকি কুরআনে কোন জায়গায় লেখা নেই, "ঈসা মসীহ মুসলিম ছিলেন।"
ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] কোন ধর্মের অনুসারি ছিলেন?
ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] নিজের মুখে বলেছেন তিনি ইহুদি ছিলেন,
"তোমরা যাহা জান না, তাহার ভজনা করিতেছ; আমরা যাহা জানি, তাহার ভজনা করিতেছি, কারণ যিহূদীদের [ইহুদিদের] মধ্য হইতেই পরিত্রাণ।যোহন ৪:২২; (কেরী)
এছাড়াও তিনি ইহুদি রব্বি ছিলেন,
"তিনি রাত্রিকালে যীশুর নিকটে আসিলেন, এবং তাঁহাকে কহিলেন, রব্বি, আমরা জানি, আপনি ঈশ্বরের নিকট হইতে আগত গুরু; কেননা আপনি এই যে সকল চিহ্ন-কার্য সাধন করিতেছেন, ঈশ্বর সহবর্তী না থাকিলে এই সকল কেহ করিতে পারে না।" যোহন ৩:২; (কেরী)
"আমিই তাঁহাকে লইয়া যাইব। যীশু তাঁহাকে বলিলেন, মরিয়ম। তিনি ফিরিয়া ইব্রীয় ভাষায় তাঁহাকে কহিলেন; রব্বূণি! ইহার অর্থ হে গুরু।" যোহন ২০:১৬;(কেরী)
মুসলিমরা তাদের ধর্ম গুরুকে ইমাম বলেন রব্বি বলেন না কারন ইহুদিরা তাদের ধর্মগুরুদের রব্বি বলেন। তাই ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] মোটেই মুসলিম ছিলেন না তিনি ইহুদি ছিলেন, তিনি মসীহ [খ্রীষ্ট] ছিলেন যারা তাকে অনুসরন করে তারাই খ্রীষ্টান।
কুরআন অনুসারে কি ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] মুসলিম ছিলেন?
একবাক্যে না, কারন সমগ্র কুরআনে এমন কোন আয়াত নেই যেখানে স্পষ্ট লেখা আছে "ঈসা মসীহ মুসলিম ছিলেন"।
কুরআনে মুসলিম হওয়ার সংঙ্গা দেওয়া আছে, An-Nisa' 4:65
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا۟ فِىٓ أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا۟ تَسْلِيمًا
English - Sahih International
But no, by your Lord, they will not [truly] believe until they make you, [O Muhammad], judge concerning that over which they dispute among themselves and then find within themselves no discomfort from what you have judged and submit in [full, willing] submission.
Bengali - Bayaan Foundation
অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।
কুরআন অনুসারে যারা হযরত মুহাম্মদের দেওয়া বিচারের রায়, ফয়সালা বিনা দ্বিধায় যারা মেনে চলবে তারা মুসলিম।
ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] এর পৃথিবীতে অবস্থান কালে হযরত মুহাম্মদের জন্মই হয় নি, তো তার নিয়ম পালন ত দূরের কথা। তাই কুরআন অনুসারেই ইয়েশূয়া হা ম্যাসিয়াঁক[ישוע המשיח] মুসলিম ছিলেন না তিনি মসীহ (খ্রীষ্ট) ছিলেন (সূরা ৩:৪৫)।
0 coment rios: