লেখকঃ পাষ্টর জনসন সরকার।
অভিযোগঃ
যীশু বলেন: ‘‘আমি যদি নিজের বিষয়ে নিজে সাক্ষ্য দিই তবে আমার সাক্ষ্য সত্যি নয়।’’
(ইউহোন্না ৫/৩১, মো.-১৩) কিন্তু এ পুস্তকেই
(৮/১৪) যীশু বলেন: ‘‘যদিও আমি আমার বিষয়ে নিজে সাক্ষ্য দিই,
তবুও আমার সাক্ষ্য সত্যি।’’ (মো.-১৩)
প্রথম
বক্তব্য অনুসারে যীশুর নিজের বিষয়ে প্রদত্ত তাঁর নিজের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য বা সত্য
নয়। কিন্তু দ্বিতীয় বক্তব্য অনুসারে তা গ্রহণযোগ্য ও সত্য।
জবাবঃ সমালোচকেরা পবিত্র বাইবেল থেকে দুটি ভিন্ন
প্রেক্ষপট থেকে প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দুটি বাক্যেক ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
চলুন আমরা CONTEXT অনুসারে
বিষয়টি সমাধান করি।
১ম CONTEXT:
আমি আপনা হইতে কিছুই করিতে পারি না; যেমন শুনি তেমনি বিচার করি; আর আমার বিচার ন্যায্য, কেননা আমি আপনার ইচ্ছা পূর্ণ করিতে চেষ্টা করি না, কিন্তু আমার প্রেরণকর্তার ইচ্ছা পূর্ণ করিতে চেষ্টা করি। আমি যদি আপনার বিষয়ে আপনি সাক্ষ্য দিই, তবে আমার সাক্ষ্য সত্য নয়। আমার বিষয়ে আর একজন সাক্ষ্য দিতেছেন; এবং আমি জানি, আমার বিষয়ে তিনি যে সাক্ষ্য দিতেছেন, সেই সাক্ষ্য সত্য। তোমরা যোহনের নিকটে লোক পাঠাইয়াছ, আর তিনি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়াছেন। কিন্তু আমি যে সাক্ষ্য গ্রহণ করি, তাহা মনুষ্য হইতে নয়; তথাপি আমি এই সকল কহিতেছি, যেন তোমরা পরিত্রাণ পাও।-যোহন৫:৩০-৩৪;
এখানে দেখা যাচ্ছে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলছেন, তিনি নিজে থেকে কিছু করেন না বরং তিনি পিতা ঈশ্বরের আদেশ অনুসারে কাজ করেন। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তারপরে বলেছেন, “আমি যদি আমার নিজের পক্ষে একা সাক্ষ্য দেই সেই সাক্ষ্য মিথ্যা” অর্থাৎ “তিনি যদি নিজে একা সাক্ষ্য দেন সেই সাক্ষ্য সত্য নয়” (এটাই মূল বিষয়)
“প্রভু যীশু খ্রীষ্টের দাবি হলো তিনি যদি একা তার বিষয়ে
সাক্ষ্য দেন সেটা মিথ্যা হবে” কিন্তু পাঠে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, পিতা ঈশ্বর প্রভু যীশু খ্রীষ্টের
শরীরের মধ্যে থেকে তাঁর বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২য় CONTEXT:
যীশু আবার লোকদের কাছে কথা কহিলেন, তিনি বলিলেন, আমি জগতের জ্যোতি; যে আমার পশ্চাৎ আইসে, সে কোন মতে অন্ধকারে চলিবে না, কিন্তু জীবনের দীপ্তি পাইবে। তাহাতে ফরীশীরা তাঁহাকে কহিল, তুমি আপনার বিষয়ে আপনি সাক্ষ্য দিতেছ; তোমার সাক্ষ্য সত্য নহে। যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, যদিও আমি আপনার বিষয়ে আপনি সাক্ষ্য দিই, তথাপি আমার সাক্ষ্য সত্য; কারণ আমি কোথা হইতে আসিয়াছি, কোথায়ই বা যাইতেছি, তাহা জানি; কিন্তু আমি কোথা হইতে আসি, কোথায়ই বা যাইতেছি, তাহা তোমরা জান না। তোমরা মাংস অনুসারে বিচার করিতেছ; আমি কাহারও বিচার করি না। আর যদিও আমি বিচার করি, আমার বিচার সত্য, কেননা আমি একা নহি, কিন্তু আমি আছি, এবং পিতা আছেন, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন। আর তোমাদের ব্যবস্থাতেও লিখিত আছে, দুই জনের সাক্ষ্য সত্য (দ্বিতীয় বিবরণ ১৯-১৫;)। -যোহন৮:১২-১৭; কেরী
ইহুদিদের কাছে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যখন
ঘোষণা করলেন তিনি এই “জগতের জ্যোতি”
তখন ইহুদিরা প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে বলল তোমার সাক্ষ্য সত্য নয় কারন তুমি নিজেই নিজের
বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছ! প্রভু তাদের মাংসিক চিন্তাধারা দেখে বললেন “আমি যদিও নিজের বিষয়ে
সাক্ষ্য দিই তা সত্য কারন আমি ত একা নই! পিতা আমার মধ্যে আছেন আর শাস্ত্রে ত লেখাই
আছে যে দুই জনের সাক্ষ্য সত্য”
১ম CONTEXT:যোহন৫:৩০-৩৪; অনুসারে প্রভু যীশু দাবি করেছিলেন, “তিনি যদি নিজে একা সাক্ষ্য দেন সেই সাক্ষ্য সত্য নয়”
২য় CONTEXT: যোহন৮:১২-১৭; অনুসারে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, তিনি মোটেই একা সাক্ষ্য দিচ্ছেন না তার সাথে পিতা
ঈশ্বর সয়ং সাক্ষ্য দিচ্ছেন। (যদি প্রভু একা
সাক্ষ্য দিতেন তবে সেটা মিথ্যা হতো কিন্তু
তিনি ত একা সাক্ষ্য দেন নি তার সাথে পিতা ঈশ্বরও সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর পবিত্র
শাস্ত্রের কথা অনুসারে দুই জনের সাক্ষ্য সত্য।)
তাই এখানে বিন্দু পরিমানেও বৈপরীত্য
নাই। সমালোচকেরা CONTEXT না
বুঝে শাস্ত্র পদের ভূল ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।
0 coment rios: