Wednesday, December 11, 2019

প্রেরিত পৌল কি নিজেকে পিতা বলে সদপ্রভু ঈশ্বরকে অসম্মান করেছেন?



লেখকঃ মি. জনসন সরকার।
সমালোচকদের দাবিঃ “ঈশ্বর এমমাত্র পিতা! নাকি সাধু পৌল একমাত্র পিতা” [১করিন্থীয় ৪:১৫;]?
সমালোচকদের দাবির যৌক্তিক জবাবঃ প্রেরিত পৌল কখনই নিজেকে ঐশ্বরিক সত্তা হিসাবে কারো কাছে কোন সময়ে প্রচার করেন নি। ১করিন্থীয় ৪:১৫; যদি আমার পড়ে দেখি তবে আমরা আসল বিষয় টি বুঝতে পারব।
“কেননা যদিও খ্রীষ্টে তোমাদের দশ সহস্র পরিপালক থাকে, পিতা অনেক নয়; কারন খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচারের দ্বারা আমি তোমাদিগকে জন্ম দিয়াছি।”-১করিন্থীয় ৪:১৫; এখানে প্রেরিত পৌল নিজেকে পিতা বলে দাবি করেন নি। যারা সুসমাচারের সত্য জানেনা তাদের কাছে এমন মনে হতে পারে কিন্তু সত্য বলতে বিষয়টি তেমন নয়।
পবিত্র শাস্ত্র নিজেই এই বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করে,
“কিন্তু যত লোক তাঁহাকে [খ্রীষ্টকে] গ্রহণ করিল, সেই সকলকে, যাহারা তাঁহার নামে বিশ্বাস করে তাঁহাদিগেক, তিনি ঈশ্বরের সন্তান হবার অধিকার দিলেন। তাঁহারা রক্ত হইতে নয়, মাংসের ইচ্ছা হইতে নয়, মানুষের ইচ্ছা হইতেও নয়, কিন্তু ঈশ্বর হইতে জাত।”- যোহন ১:১২-১৩;
এই কথার অর্থ হলোঃ “যারা খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করেছিল তাদের তিনি ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার ক্ষমতা দিলেন” ঠিক তেমনি প্রেরিত পৌল বলেছেন তিনি “প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সুসমাচারের দ্বারা তাদের জন্ম দিয়েছেন”। এর মানে তিনি তাদের পিতা হয়ে যান নি! বরং তিনি খ্রীষ্টের সুসমাচারের দ্বারা তাদের ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন যেমন খ্রীষ্ট তার সময়ের লোকেদের দিয়েছিলেন [যোহন ১:১২;]। প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন নুতন জন্ম হওয়াটা খুবই জরুরী, কারন ঈশ্বরের সন্তানরূপে নুতন জন্ম না নিলে কেউ স্বর্গ রাজ্য দেখতেও পারবেনা এবং সেখানে যেতেও পারবেনা  [যোহন ৩:৩-৬;]কারন এক অ-খ্রীষ্টান একবার জন্মগ্রহন করে কিন্তু একজন খ্রীষ্টান দুইবার জন্ম গ্রহন করে তার দ্বিতীয় জন্ম হয় জল এবং পবিত্র আত্মা হতে।
“ফলতঃ কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে, তবে নূতন সৃষ্টি হইল; পুরাতন বিষয়গুলি অতীত হইয়াছে, দেখ, সেইগুলি নূতন  হইয়া উঠিয়াছে”-২করিন্থীয় ৫:১৭;
প্রেরিত পৌল তাঁর করিন্থীয় মন্ডলীর লোকেদের এটাই বোঝানোর জন্য এই কথাটি লিখেছিলেন কিন্তু সমালোচকেরা এর নিগুরতত্ত্ব না বুঝেই নিজেদের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়েছেন যা কোন ভাবেই পবিত্র বাইবেলে দৃষ্টিকোন থেকে সমর্থন পায় না।

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.